শিশুপাঠ্য গল্প- 'পাখির ছানা' -ভোরের কাগজ- ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

শিশুপাঠ্য গল্প- 'পাখির ছানা' -ভোরের কাগজ- ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

received_1936962073223529_1


http://www.bhorerkagoj.com/epaper/2017/12/27/index.php


পাখির ছানা : মো. রহমত উল্লাহ্‌


ভোরের কাগজ, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭



>বাড়ির উঠানে বেগুন গাছ। বেগুন গাছে টুনির বাসা। শিমুল উঁকি দেয় বাসায়। দেখে দু’টি ডিম। খুব খুশি হয়। বলে, ওয়াও। কয়েকদিন পর। ডিম দেখতে যায় শিমুল। দেখে দু’টি ছানা। চিঁ চিঁ করে। বড় হয়নি পাখা। খুশি হয় আরো বেশি। বলে, ওয়াও, ওয়াও। বড় হোক। ক’দিন পর নিব।


কয়েকদিন পর। ছানা আনতে যায় শিমুল। দেখে বাসা খালি। ছানারা নেই। খুব মন খারাপ হয়। কেমন জানি ফাঁকা লাগে। পাখির ছানা তার চাই। শিমুল ছুটে যায় বনবাদাড়ে। বাড়ির পাশেই কাঁঠাল বাগান। তার ঢালেই বনবাদাড়। সেখানে অনেক পাখি। বাসা তো থাকবেই। খুঁজতে থাকে পাখির বাসা। এগিয়ে যায় লতাপাতা ঠেলে। পাখির বাসা পায়। আশা করে ছানা পাবে। উঁকি দেয় বাসায়। ডিম পায়। ছানা পায় না। খুঁজতে থাকে আবার। তাকায় এদিক-ওদিক। দাঁতই গাছ। মনকাঁটা গাছ। ডেফিলা কাঁটা গাছ। লাউগুঁড়ি গাছ। আরো কত রকম গাছ। লতাপাতায় জড়ানো। কাঁটা গাছই বেশি। চলাচল করা কঠিন। কাঁটার ঘা লাগবেই। অনেক লাগছে শিমুলের গায়ে। অথচ টেরই পায়নি সে। তার গায়ের রং ফরসা। বয়স ছয় কি সাত। সে তুলনায় বেশ বড়। হঠাৎ শুনে চিঁ চিঁ। পাখির ছানার ডাকাডাকি। মনে হয় কাছেই। এইতো, মনকাঁটা গাছে। হাত বাড়ায় কাঁটার ফাঁকে। খুব সাবধানে। ধরে ফেলে দু’টি ছানা। মুখে তার বীরের ছবি। রওনা দেয় বাড়ির দিকে। কিচিরমিচির করে মা পাখি। আসে শিমুলের পিছুপিছু।


খাঁচায় আটকানো পাখির ছানা। খাঁচার দরজা খোলে শিমুল। খাবার দেয় ছানাদের। উঠানের গাছতলায়। যেখানে আসে মা পাখি। এটি তাদের নিয়মিত কাজ। হঠাৎ ফুড়ৎ। ছুটে যায় একটা ছানা। উড়ে যায় মায়ের কাছে। আহ্হা করে শিমুল। খুব মন খারাপ হয় তার।


কয়েকদিন পর। উঠানে বসে আছে শিমুল। ছটফট করে খাঁচার পাখিটা। কামড় দেয় খাঁচার গায়ে। কিচকিচ করে। আসতে চায় বাইরে। বসতে চায় মায়ের পাশে। উড়তে চায় ভাইয়ের সাথে। খাঁচার বাইরে তার মা। খাঁচার উপরে তার ভাই। তারাও কামড়ায় খাঁচায়। কাটতে চায় খাঁচা। কামড় দেয় জোরছে। ছড়িয়ে দেয় পাখা। করে কিচকিচ, কিচকিচ। যেন বকাবকি দেয় শিমুলকে। খুব খেয়াল করে শিমুল। দেখে, বাইরের ছানাটা বড়। খাঁচার ছানাটা ছোট। বাইরের ছানাটা সবল। খাঁচার ছানাটা দুর্বল। বাইরের ছানাটা হাসিখুশি। খাঁচার ছানাটা মনমরা। বাইরের ছানাটা ঝলমলে। খাঁচার ছানাটা মলিন। ভালো নেই খাঁচার ছানাটা। মায়া হয় শিমুলের। অপরাধী লাগে নিজেকে। খাঁচার কাছে যায় শিমুল। সরে যায় বাইরের পাখিরা। ছটফট করে খাঁচার পাখিটা। শিমুল খুলে দেয় খাঁচা। পাখি উড়ে যায় ফুড়–ৎ। হাততালি দেয় শিমুল। ফেলে দেয় পাখির খাঁচা।



http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2017/12/27/171897.php#.WkO8lcjrDHg.facebook

বিবেক জাগানো ছড়া- 'সংবাদ শিরোনাম'

বিবেক জাগানো ছড়া- 'সংবাদ শিরোনাম'

(বিবেক জাগানো ছড়া)



সংবাদ শিরোনাম


মো. রহমত উল্লাহ্



নেতা কর্মী কেডার খুন


প্রতিপক্ষ ভোটার খুন


হুজুর পুলিশ আমলা খুন


জনপ্রতিনিধি খুন!



গুম হয়েছে অংশীদার


এসিড মুখে বালিকার


সবকিছুতে দখলদার


শেষে দখল শৌচাগার!



মা বোন বধূ বিক্ষত


বিচারকে বিব্রত


মেধাবীরা বঞ্চিত


নকল রোধী লাঞ্ছিত!



নির্যাতিত সাংবাদিক


অবহৃত সাহিত্যিক


দুর্ঘটনায় শতাধিক


চাঁদবাজি দিদ্বিদিক!



চাকরিচ্যুত বিরোধী


ভিটা-মাটি খায় নদী


লুট তালিকায় গবাদি


পোকায় খাচ্ছে শস্যাদি...



:দুঃসংবাদের দুঃখ আর


সইবো কত বারে বার!


সংবাদদাতা ভাই আমার


সুখের খবর দাও এবার।<



 

বিবেক জাগানো ছড়া- 'ন্যায়-নীতিহীন সাংবাদিক'

বিবেক জাগানো ছড়া- 'ন্যায়-নীতিহীন সাংবাদিক'

(বিবেক জাগানো ছড়া)


ন্যায়-নীতিহীন সাংবাদিক


মো. রহমত উল্লাহ্‌



কিছু কিছু সাংবাদিক


তিলকে বানায় পাকা তাল


মিথ্যে কিবা কল্পনাতে


দেয় উড়িয়ে রাঙা পাল!



গুরু বিষয় লঘু করে


লঘু বিষয় খুব গুরু


ইচ্ছে মত তথ্য দিয়ে


খবর ছেড়ে দেয় উড়ো!



সম্মানিরে হেয় করে


র্নিদোষীরে কয় দোষী


হাত মিলিয়ে দোষির সাথে


ভীষণভাবে হয় খুশি!



খবর শুনে বিবেকবানে


ফিস্ ফিসিয়ে মুখ খুলে


বিভ্রান্ত হন সাধারণে


আতঙ্কিত র্দুবলে!



অসহায়ে সব হারিয়ে


হত্যা করে নিজের প্রাণ


অনেক সময় বির্তকিত


হয়ে পরে দেশের মান!



:সাংবাদিকের শত্রু এ সব


ন্যায়-নীতিহীন সাংবাদিক


দেশ ও জাতির স্বার্থে সবাই


করতে হবে এদের ঠিক!<

বিবেক জাগানো ছড়া- 'এক জাতিতে শত দল'

বিবেক জাগানো ছড়া- 'এক জাতিতে শত দল'

(বিবেক জাগানো ছড়া)



এক জাতিতে শত দল


মো. রহমত উল্লাহ্‌



একজনে আজ বোমা মারে


আরেক জনের গায়ে


কেউবা হেসে চালায় ছুরি


অন্য জনের পায়ে!



কতক মানুষ দিচ্ছে দাওয়াত


ঘরে ঘরে যেয়ে


দিনে রাতে ছুটছে তারা


নিজের কামই খেয়ে!



আর কতকে দোষ ধরে খুব


ধর্মীয়দের কর্মে


ইচ্ছে মতো চালায় জীবন


নেই মনোযোগ ধর্মে!



ধর্ম কায়েম করার কথা


বলে মুখে মুখে


সাধারণের বুঝা কঠিন


কী আছে কার বুকে!



:এক জাতিতে শত দল


তাইতো এত অমঙ্গল!<

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'বোমা'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'বোমা'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)



বোমা


মো. রহমত উল্লাহ্‌



বোমা ফাটে শিক্ষালয়ে


মিটিং মিছিল বাজারে


বাড়ি গাড়ি কারখানাতে


গির্জা মন্দির মাজারে!



দলে দলে দোষাদেষী


নিরাপদে বোমাবাজ


আতঙ্কিত দেশ ও জাতি


হতাহত সবাই আজ!



:দেশটা যখন বোমা হবে


স্পি¬ন্টার হবে জনগণ


বোমাবাজের কবর হবে


স্বস্তি পাবে সাধারণ!<


 

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'বন্যা হলে'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'বন্যা হলে'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


বন্যা হলে


মো. রহমত উল্লাহ্‌



বন্যা হলে সাধারণের


দুর্বিসহ দুঃখ বারে


সত্যিকারের আপন মানুষ


চিনে নেবা সুযোগ বাড়ে!



ব্যবসায়ীদের অসৎ আয়ের


হাজার রকম রাস্তা বাড়ে


হঠাৎ করে সব জিনিসের


অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ে!



বানবাসিদের নামে পাওয়া


অনুদানের পাল্লা বাড়ে


ছোট বড় লুটেরাদের


কালো টাকার পাহাড় বাড়ে!



বন্যাগেলে ফল ফসলে


ঋণদাতাদের অংশ বাড়ে


গণিমিয়ার ঋণের বোঝা


দিনে দিনে বাড়েই বাড়ে!

গণপাঠ্য ছড়া- 'বৈশাখী গড়মে' -প্রথম আলো- ০২ জুন ২০০৪ এবং নরসিদীর কথা- ১৮ মে ২০০৪

গণপাঠ্য ছড়া- 'বৈশাখী গড়মে' -প্রথম আলো- ০২ জুন ২০০৪ এবং নরসিদীর কথা- ১৮ মে
২০০৪

Rhyme-1 (FILEminimizer)(গণপাঠ্য ছড়া)


বৈশাখী গড়মে


মো. রহমত উল্লাহ্‌


নদীতে যায় বনের বানর


শালিক নামে পানিতে


মন বসেনা খেলাধুলায়


গল্পে কিবা গণিতে!


 

ইঁদুর শিয়াল পায়রাছানা


রয়না স্বাধের আস্তানায়


জিহ্বা মেলে হাঁপায় কুকুর


শোয়না বিড়াল বিছানায়!



আগেই পাকে লিচু কাঁঠাল


পঁচন ধরে তরমুজে


প্রখর রোদে রং লেগে যায়


কচিঁ আমের সবুজে!



বৃদ্ধ শিশু খায়না খাবার


দেয়না জামা গায়েতে


সখের কেনা জুতা মুজা


যায়না রাখা পায়েতে!



ফ্যান ঘুরে না, মাথা ঘুরে


এ বৈশাখী গরমে


মানুষ এবং পশু পাখির


মেজাজ এখন চরমে!<


IMG_20180425_132048_3

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ইল্লি বিল্লি'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ইল্লি বিল্লি'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


ইল্লি বিল্লি


মো. রহমত উল্লাহ্‌



ইঁদুর বিড়াল ইল্লি বিল্লি


ভরে গেছে নগর পল্লি!



ইল্লি বিল্লি মিলায় হাত


দুধের সরটা খিলায় রাত !!



এদের ভিষণ যন্ত্রনায়


সাধারণের জীবন যায় !!!

গণপাঠ্য ছড়া- 'বাঙালির ফাস্টফুড' -নরসিংদীর কথা- ০৪ মে ২০০৪

গণপাঠ্য ছড়া- 'বাঙালির ফাস্টফুড' -নরসিংদীর কথা- ০৪ মে ২০০৪

IMG_20180425_132103_4(ছড়া)



বাঙালির ফাস্টফুড


মো. রহমত উল্লাহ্‌



চিড়া মুড়ি মুড়কি মোয়া


বাতাসা মুড়ালি


খজা গজা কদমা নাড়ু


খেজুরের পাটালি



ফুলপিঠা পাতাপিঠা


ঝিকিমিকি জিলাপি


ভাঁফা মেরা চিতই পিঠা


তিলে ভরা তিলাপি



কলার পিঠা তালের পিঠা


লাড্ডু বড়া খই সন্দেশ


কাঠালপিঠা পাকনপিঠা


শত পিঠার বাংলাদেশ !




এসব খেয়ে যুগে যুগে


আমরা আছি ভেরিগুড


তাইতো বলি বিশ্বসেরা


বাঙালিদের ফাস্টফুড !!

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'হুঁশিয়ারী'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'হুঁশিয়ারী'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


হুঁশিয়ারী


মো. রহমত উল্লাহ্‌


মানবতার শত্রু যারা


জেনে রাখো আমরা কারা-


জানি জান-প্রাণ তুচ্ছ করা


ভাষা ও দেশ মুক্ত করা!


আরো কী কী করতে পারি


জানে অতিত স্বৈরাচারী!


যতই করো অসদাচার


এক হবোনা ভাবছো আবার?


যখন শত্রু চিনতে পারি


তখন ঠিকই মিলতে পারি


সব ভেদাভেদ ভুলতে পারি


সকল ভালো করতে পারি!


মিলেছিলাম যেমন করে


বায়ান্নতে একাওরে


মিলবো আবার তেমন করে


সোনার বাংলা তুলবো গড়ে!<

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'গণ-পিটুনি'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'গণ-পিটুনি'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)



গণ-পিটুনি


মো. রহমত উল্লাহ্‌




চোর ডাকাত নিহত জনতার হাতে


সন্ত্রসী চাঁদাবাজ গণ-পিটুনিতে!



এ আইন হাতে কেন নিল জনগণ,


অপরাধীদের নাকি ভাই প্রশাসন?



আরো যদি বেড়ে যায় মানষের জ্বালা


এরপর শুরু হবে অন্যদের পালা!



নেতা পুলিশ মন্ত্রী শত লাট ভাই


জনতার আদালতে কারো ক্ষমা নাই!

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'যুদ্ধ' (২০০৩)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'যুদ্ধ' (২০০৩)

IMG_20180425_131816_3(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


যুদ্ধ


মো. রহমত উল্লাহ্‌



কর্ম ফেলে অস্ত্র নিলাম


ন’মাসেতো শত্রু গেল!


নিজেই নিজের শত্রু হলাম!



কর্মে যেই আর হাত গেলনা


দরিদ্রতা বেড়েই গেল!



এখনো তাই আটকে আছি


দাতা নামক গ্যঁড়াকলে


শত্রুতাতো রয়েই গেল!!

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'চেতনা' -নরসিংদীর কথা- ১৫ এপ্রিল ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'চেতনা' -নরসিংদীর কথা- ১৫ এপ্রিল ২০০৩

 IMG_20180425_131816_6(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


চেতনা


মো. রহমত উল্লাহ্‌



‘রক্তদিব, তেল দিব না


যতক্ষণই আছে জান’


ইরাকিরা এই শপথে


লাখে লাখে দিচ্ছে প্রাণ!



ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনীরা


করছে ভিষণ অপরাধ


হচ্ছে মিছিল দেশে দেশে


হচ্ছে তীব্র প্রতিবাদ!



আমরাওতো নেই পিছিয়ে


বুশ বিরোধী মিছিলে


মূর্তি পোড়াই ফাঁসে ঝুলাই


সাদা চামড়া নিই ছিলে!



অথচ এই মার্কিনিরা


চেয়ে লোলুপ দৃষ্টিতে


হাত ঢুকাতে হচ্ছে তৈরি


এ মাটিরও খনিতে!



নেই প্রতিবাদ নেই প্রতিরোধ


রক্ষা করতে নিজের গ্যাস


নেই সে নেতা নয় যেন তা


একাওরের বাংলাদেশ!<


(পরিমার্জিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'দ্বৈতাচার'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'দ্বৈতাচার'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


দ্বৈতাচার


মো. রহমত উল্লাহ্‌



সন্ত্রাসী যে দলের হোক


নিশ্চয়ই সে খারাপ লোক,


‘আমার দলে নেই তারা’


বলে সকল নেতারা!



-‘জেনে রেখো দেশবাসি


সাস্তি পাবে সন্ত্রাসী,


মাফ পাবেনা কেউ তারা’


বলে মন্ত্রী, এমপিরা।



ধরা পড়লেই দলের হয়


সরকারিদের জামিন হয়


মারা পড়লেই শহিদ(?)হয়


বিরোধীদের মিছিল হয়!



:প্রশ্রয়দাতার দ্বৈতাচারে


সন্ত্রাসীদের পাখা বাড়ে!



:দ্বৈতনীতির এ নেতা


রুখে দাড়াও জনতা!


 

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নৈরাজ্য' -নরসিংদীর কথা- ২৯ অক্টোবর ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নৈরাজ্য' -নরসিংদীর কথা- ২৯ অক্টোবর ২০০২

IMG_20180425_131939_4(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


নৈরাজ্য


মো. রহমত উল্লাহ্‌


দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া


উঠছে কেবল উর্ধ্বে


সাধারণের ক্রয় ক্ষমতা


নয় নাগালের মধ্যে!


সন্ত্রাসীরা লাগাম ছাড়া


যা খুশি তাই করছে


প্রতিবাদ করতে গেলেই


টুঁটি চেপে ধরছে!


প্রতিপক্ষ খুনের শোয়


খুনীরা সব ব্যস্ত


চাঁদাবাজি করার কাজে


ক্যাডারেরা ন্যস্ত!


বিরোধীরা চাকরি হারায়


সরকারিদের ফন্দি?


অপরাধী ঘুরে বেড়ায়


প্রতিবাদী(?) বন্দী!


দুর্নীতি আর সজনপ্রীতি


চলছে নানা ক্ষেত্রে


অবশেষে মারামারি


হচ্ছে দলে- গোত্রে!


:মিষ্টি কথায় মগ্ন থেকে


ভুল হয়েছে জনতার


হাড়ে হাড়ে পাচ্ছে যে টের


মর্মটা  কী সে কথার! //


[সংশোধিত- ২০১৭]

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'যে মশার পা দুই খানা' -নরসিংদীর কথা- ০৩ ডিসেম্বর ২০০২ ও বিচিত্রা- ১৪ মার্চ ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'যে মশার পা দুই খানা' -নরসিংদীর কথা- ০৩ ডিসেম্বর
২০০২ ও বিচিত্রা- ১৪ মার্চ ২০০৩

IMG_20180425_131837_2IMG_20180425_132004_4(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


যে মশার পা দুইখানা


মো. রহমত উল্লাহ্‌



দিবা-রাতি সারাক্ষণ


নানা মশার আক্রমন!


ম্যালেরিয়া ডেঙ্গুজ্বর


ফাইলেরিয়া করে ভর!


কিউলেক্স এডিস এ্যনোফিলিস


করা যাবে ঠিকই ফিনিস!



যে মশার পা দুইখানা


যখন তখন দেয় হানা


বাড়ি গাড়ি দোকানে


শিক্ষা-চাকরি সব খানে...


নারী শিশু গুরুজন


পায়না রেহাই কোন জন!



:কুরাজনীতির খোলসে


সে মশারা শোয় বসে


বাড়ছে তারা জ্যামিতিক


তাদের বিষণ যন্ত্রণায়


টিকে থাকাই হচ্ছে দায়!!


:এ মশাদের নির্যাতন


সইবে কত জনগণ?


[সংশোধিত- ২০১৭]

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ভালো আছি'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ভালো আছি'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


ভালো আছি


মো. রহমত উল্লাহ্‌


অসাম্য পৃথিবীতে


বঞ্চিত হতে হতে


পুষ্টিহীনতায় দুঃখ-বেদনায়


মনে হয় গিয়ে আছি


মরণের কাছাকাছি!


কানামাছি হয়ে তাই


মিছেমিছি বলে যাই


ভালো আছি, ভালো আছি...! //

কবিতা- একান্ত ব্যক্তিগত

কবিতা- একান্ত ব্যক্তিগত

(কবিতা)


একান্ত ব্যক্তিগত


মো. রহমত উল্লাহ্‌


কিছু কিছু ব্যক্তিগত কথা,


থাকা ভালো ব্যক্তিগত কাজ;


কিছু কিছু মতামত, ভালো-


একান্ত প্রিয় কিছু ব্যক্তিত্ব।



গল্প- কবিতা ও পরিবেশ,


গুনগুনিয়ে গাওয়ার গান


নিজস্ব কিছু স্টাইল, ভালো-


আলাদা রকমের পছন্দ;


মনেমনে কিছু অহংকার


পৃথক ভঙ্গির অভিমান


একটু অন্যরকমের বাঁচা


আরো ভাল অমর মরণ। //


[২০০৩, নরসিংদী ]


 

 

কবিতা- কবিতা

কবিতা- কবিতা

(কবিতা)


কবিতা


মো. রহমত উল্লাহ্‌


কবিতা আমার


প্রিয়ার কপোলে গাঢ়  কালো তিল,


এলোচুলে দোলা, লাল ঠোঁটে হাসি!


কবিতা আমার


ঊর্বর ভূমি, লাঙলের ফলা,


সোনালি ফসল, বাংলার চাষী!


কবিতা আমার


ছেলে হারা মা'র শান্তনা বাণী;


শুকনো মাটিতে বৃষ্টি যেমন!


কবিতা আমার


দুরন্ত শিশু, উড়ন্ত পাখি,


কাঙ্ক্ষিত ভোর, মুক্ত কানন!


কবিতা আমার


ভয়হীন রাত, পূর্ণিমা চাঁদ,


গভীর ঘুমের ছোঁয়া দেয়া পরি!


কবিতা আমার


নৌকার পাল, বিমানের পাখা,


স্বপ্ন দেখার লাল রং ঘুড়ি!


কবিতা আমার


দীঘির পানিতে শাপলার হাসি,


সবুজের ভীড়ে দোয়েলের গান!


কবিতা আমার


স্বর্ণের খনি, মুক্তার ঝিনুক,


প্রাণের অধিক প্রাণময় প্রাণ!


কবিতা আমার


স্পন্দিত বুকে জয়ের চেতনা,


শত্রু হণন বুলেট বারুদ!


কবিতা আমার


শেকল ভাঙার শক্ত হাতুড়ি,


আঁধার তাড়ানো সকালের রুদ।


কবিতা আমার


স্বাধীন হবার মুক্তিমন্ত্র,


পতাকা তোলার সবল ঐক্য!


কবিতা আমার


প্রগতির পথ- চির কল্যাণ


সত্য- সুন্দর- অমর বাক্য! //


[১৭ জুন ২০০৩, পলাশ, নরসিংদী ]

গজল- আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ

গজল- আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ
গজল- আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ

গীতিকার- মোহাম্মদ আলী

আল্লাহ নামের মধুর পেয়ালা যেজন পিয়াছে

পিপাসা শুধু তাহার বেড়েই চলেছে।

একাগ্র চিত্তে যারা এই নাম জপেছে।

ক্ষুধা তৃষনা তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে।

এই নামের গুনে আকাশ পথে উঠতে পারে

দেশ হতে দেশান্তরে ছুটতে পারে।

এই নামে পাপিয়া ডাকে কুহু কুহু

এই নাম আওলিয়া জপে আল্লাহু আল্লাহু

এই নাম সুধার পেয়ালা যেজন পিয়াছে।

ইহকালে এই নামের পাগল হইবে যে জন,

পরকালে পাইবে সে বেহেস্ত রতন।

গান- প্রতিষ্ঠান গড়া

গান- প্রতিষ্ঠান গড়া
গান- প্রতিষ্ঠান গড়া

গীতিকার- মোহাম্মদ আলী

স্কুল কলেজ আর যত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

গড়ে তোলে দেশের যারা ধনি মহত প্রাণ।

শিক্ষা পেলে সভ্য হয় দেশের নর নারী

তাড়াতাড়ি আসেন ভাই বোনেরা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ি।

শিক্ষা পেলে ভদ্র হয়, নম্র হয়, আর হয় ধর্মভীরু

মনুষত্ব অর্জনের শিক্ষাই চাবিকাঠি শুরু।

চটকলে চট হয়, জুতার কলে হয় জুতা

মানুষ হওয়ার প্রতিষ্ঠানে হয় না কেন তা?

বিএ, এমএ পাশ করলে সৎ মানুষ হয় না

আর্ট করতে পারলেই তারে শিক্ষিত বলা যায় না।

চালকের দোষ না মেকারের দোষ?

একটু চিন্তা করে সবে দেখুন।

ধর্মপ্রাণ চালক ছাড়া হয় না সৎজন। ঐ

গজল- প্রভু দয়াময়

গজল- প্রভু দয়াময়
গজল- প্রভু দয়াময়

গীতিকার- মোহাম্মদ আলী

এই দেহের মালিক প্রভু দয়াময়

প্রভু, তুমি যদি দয়া কর আমার কিসের ভয়?

মাটির মানুষ বানাইয়া

শয়তানরে দিলা পাশে দাঁড় করাইয়া।

স্রোতের উলটা গুন টানিতে

আমায় তুমি আদেশ দিলা। ঐ

চলার পথে আবর্জনা, দাম আর কচুরিপানা;

চলতেতো আর পারি নাকো বড় কষ্ট হয়। প্রভু দয়াময়। ঐ

রহমান, রহিম নাম নিয়া

দিলাম নৌকা ছাড়িয়া

কী করবে শয়তান দাড় টানিয়া?

আমার প্রভু যদি কান্ডারি হয়। ঐ

নৌকা আমার পারে যাবে এই ভরসা হয়

নবীর নামের দুরদ যদি আমার দিলে রয়। ঐ

গজল- সোনার পাখি

গজল- সোনার পাখি
গজল- সোনার পাখি

গীতিকার- মোহাম্মদ আলী

দেখবি যদি আয়রে মনা, দেখবি যদি আয়

সোনার পাখি বিরাজ করে দেহ পিঞ্জিরায়। ঐ

কোন পথ দিয়া আসে পাখি, কোন পথ দিয়া যায়

জ্ঞানীরা বুঝতে পারে, মূর্খে টের না পায়। ঐ

পাখির পথে আসে পাখি, পাখির পথে যায়

শত চেষ্টা করেও তারে ধরা নাহি যায়। ঐ

গোসত পোলাও দুগ্ধ কলা দিয়া তারে যতই পোষা যায়

পোষ মানে না অচিন পাখি, তবু পোষতে হয় সবায়। ঐ

যেদিন এই নিঠুর পাখি করবে শূন্যে উড়া

শূন্য খাঁচা পড়ে থাকবে, আসবে না আর ফিরা। ঐ

পাখি আছে খাঁচার আদর সকলেই করে

পাখি ছাড়া শূন্য খাঁচা দেখলে ভয় করে। ঐ

এমন পাখির খাঁচা নিয়া কিসের বাহাদুরি?

দুদিন পরে যা মাটির সাথে করবে গড়াগড়ি। ঐ

 

গজল- কৃতজ্ঞতা

গজল- কৃতজ্ঞতা
গজল- কৃতজ্ঞতা

গীতিকার- মোহাম্মদ আলী

প্রভু, আমার ডাক পৌঁছে না

ডাক পৌঁছিলে সাড়া দিতা

আমিতো তোমার পর না।

ডাকের নামে ভাঁওতাবাজি

তাইতো তুমি শোন না।

প্রভু, আমার ডাক পৌঁছে না।

ডাকার মত ডাকতে পারলে

কে বলে তুমি শোন না? ঐ

এক, ডেকেছিল ইউসুফ নবী

পুস্কার পেল মিসরের বাদশাহি।

ইব্রাহীম নবীর ডাকের গুনে

নমরুদের আগুনেও পুড়ে না। ঐ

হস্ত পদ চক্ষু কর্ন বিবেক বুদ্ধি করলা দান

না চাহিতে সবই দিলা

(ভারজার প্রেমে বান্ধি না)

কৃতজ্ঞতার অভাব হেতু তোমায় পাইলাম না। ঐ

 

গজল- আজরাইলের ডাক

গজল- আজরাইলের ডাক
গজল- আজরাইলের ডাক

গীতিকার- মোহাম্মদ আলী

তুমি জাননি রে, তুমি কোন দেশের নাইয়া

রঙের তরী সাজাইয়া, চলছ এত ব্যস্ত হইয়া।

আমার হাতে তোমার পরোয়ানা-

যাওরে তুমি লইয়া। ঐ

নৌকাতে পাল তুলিয়া বসে আছো হাল ধরিয়া

ভাবছো মনো, একটানে যাইবা পার হইয়া।

সেই পালের টানে সাধের নৌকা গেল রে তলাইয়া। ঐ

এই পরোয়ানা পাইয়া

কত রাজা মহাজন তরী করল সৃজন।

পারি দিতে পারলো না রে এই পরোয়ানা পাইয়া। ঐ

বেহেস্ত বানাইল সাদ্দাম, পুরিল না আশা

এই পরোয়ানা পাইয়া। ঐ

গজল- রোজহাসরে

গজল- রোজহাসরে
গজল- রোজহাসরে

গীতিকার- মোহাম্মাদ আলী

রোজহাসরে বিচারপতি বসিবে যখন

ঝররা ঝররা হিসাব লবে, হবে না বেশকম তখন।

বিচারপতির আদেশ ধরো

ফরজ ওয়াজিব পালন করো

আর সুন্নতের উকিল বায়না করো

খালাস পাইলে পাইতে পারো। ঐ

হাসরের ঐ কঠিন দিনে

চলবে না রে উকিল বিনে

উকিলের নাম ভুল হইলে

সব হবে তোর আমল ভুল।

মক্কা কাননের ফুল

মোহাম্মাদ রসুল, মোহাম্মদ রসুল। ঐ

ধনের গরব, মিল ফেক্টোরি

উচ্চ শিক্ষার বাহাদুরি

চলবে না রে সেই পুরী।

ভেবে দেখনা, সুন্নত ছাড়া টাকা দিয়া

সেই উকিলের বায়না হয় না। ঐ

গজল- আমি এখন বন্দি কবরে

গজল- আমি এখন বন্দি কবরে
গজল- বন্দি কবরে

গীতিকার- মোহাম্মদ আলী

আমি এখন বন্দি কবরে।

স্ত্রী পুত্র আত্মীয়রা সংগে নাই মোর কেউ রে, আমি একা বন্দি কবরে।

ষাট সত্তর খেলাঘরে খেলেছিলাম নেশায় পড়ে

হঠাত আজরাইল এসে বন্দি করে নিয়ে এলো মোরে। ঐ

সঙ্গীরা সব খেলায় মত্ত, পরের কাজে আছে ব্যস্ত

নিজের কাজে উদাস মনা, ধর্ম-কর্মে সময় পায় না। ঐ

হায়রে, আমার কথা কেউ ভাবে না, যারা ছিল আপন জনা;

ডাকলে শুনে না, হায়রে ডাকলে কেউতো শুনে না।

আমি পাপি গুনাহগার বন্দি একজনা। ঐ

কবর হইতে উঠাইয়া আমারে যে যাবে নিয়া

ঝররা ঝররা হিসাব করে জেলখানাতে দিবে।

বিচারে দোষী যারা হবে, দোষী যারা হবে। ঐ

 

গজল- কবরে মুরদার কান্না

গজল- কবরে মুরদার কান্না
গজল- কবরে মুরদার কান্না

গীতিকার- মোহাম্মদ আলী

মনা, দেখনা ভাবিয়া, একটু মন দিয়া, দেখনা ভাবিয়া।

যখন হলো সমন জারি-

দালানকোঠা জমিদারি, আসতে হলো সবই ছাড়ি। ঐ

মনরে-

আদর করে, সোহাগ করে, পুষেছিলাম যারে;

তারা হস্ত-পদ বন্ধন করে, মনকির-নকিরের হাওলা করে, দিল জামিন ছাড়ি। ঐ

অন্ধকার সে কারাগারে, সাপ-বিচ্ছু বিরাজ করে, চল্লিশ হাজার বতসর ধরে, থাকতে হবে পড়ি। ঐ

মনরে-

জানতাম যদি এতো তাড়াতাড়ি সমন আমার হবে জারি;

তবে কি নামাজ-রোজা না করিয়া আসতাম খালি হাতে!

মন আমার কেমন করে, সর্বক্ষণ অশ্রু ঝরে;

এখন উপায় কী করি, ওরে মন বেপারি এখন কী করি, এখন উপায় কী করি? ঐ

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'স্বাধীনতার ঘোষণা' -নরসিংদীর সংবাদ- ০৩ এপ্রিল ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'স্বাধীনতার ঘোষণা' -নরসিংদীর সংবাদ- ০৩ এপ্রিল ২০০৩

P_20180511_113822_1(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


স্বাধীনার ঘোষণা
মো. রহমত উল্লাহ্‌


জানতে হবে, মানতে হবে?
একাত্তরের ২৬(?)শে মার্চ
ব্যারাক থেকে ছুটে এসে
জিয়া দিলেন ঘোষণা:
স্বাধীন কর দেশ খানা!
হেমিলনের শিশুর মত
অমনি সবাই দৌড়ে এসে
তাড়াল সব পাক সেনা!
স্বাধীন হল দেশ খানা!


স্বাধীনতা নেই কি আর?
জানা কিবা জানাবার?
কবে কখন কে দিয়েছে
বাঙালিত্মের ধারণা,
বুকের ভেতর কে জাগালো
স্বাধীনতার চেতনা,
কখন থেকে কীভাবে হয়
আন্দোলনের সুচনা?
অগ্নিঝরা বায়ান্নতে
কারাবন্দির অনশনে
ছয় দফা - এগার দফায়
যুক্ত ছিল কোন দাবি,
উর্ধ্বে ওঠার ইঙ্গিত বহ্
কোন সে বীরের আঙ্গুল ছিল
বীর বাঙালীর সকল সফল
আন্দোলনের মূল চাবি?


কোন নেতার দল জিতেছিল
নির্বাচনে সত্তরে
তের বছর বন্দি ছিলেন
কাদের নেতা কি করে?


কোন্ সে পুরুষ দিয়েছিল
সাত কোটি প্রাণ এক করে
কার প্রেরণায় যুদ্ধে গেল
প্রাণের মায়া ত্যাগ করে?
জোর গলায় কে বলেছিল-
বাঙালীরা মানবেনা আর
আইয়ুব খানের দুঃশাসন,
ঐতিহাসিক রেইস কোর্সে
একাত্তরের সাতই মার্চে
কে দিয়েছে এই ভাষণ?
"...আমি প্রধান মন্ত্রীত্ব চাইনা
দেশের মানুষের অধিকার চাই।
...এর পর যদি একটা গুলি চলে
এর পর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়
...আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি...
...প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায়
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে
সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলুন।
আমাদের যা কিছু আছে
তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকুন।
রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো
এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।
এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
জয় বাংলা!"


এর পরে কি থাকে বাকি যুদ্ধ পরিকল্পনা,
স্বাধীনতার ঘোষণা?


তাই বলে কি জানবোনা
বেলাল ভাইদের স্বাধীন করা
“স্বাধীন বাংলা বেতার” হতে
একাওরের সাতাশে মার্চ
প্রচারিত ইরেজিতে
জিয়ার মুখের ঘোষণা-
"On behalf of our great leader,
the supreme commander
of Bangladesh
sheikh Mujbur Rahman;
we hereby proclaum
the mdependence of Baugludish.
...May Allah kulp us, joy Bangla."


 

তথ্য সুত্র: (ক)“আমি বিজয় দেখেছি” এম আর আখতার মুকুল
(খ)“বাংলাদেশের তারিখ” বিচার পতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান)


(পরিমার্জিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'শহিদমিনার' -নরসিংদীর কথা- ০৫ নভেম্বর ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'শহিদমিনার' -নরসিংদীর কথা- ০৫ নভেম্বর ২০০২

IMG_20180425_132004_5(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


শহিদমিনার
মো. রহমত উল্লাহ্‌


বীরবাঙলির রক্তে গড়া
বিজয় চিহ্ন এই মিনার
নির্যাতিতের শক্তি সাহস
যোগায় বাড়ায় বারেবার!


প্রতিবাদে প্রতিরোধে
মুখর হলে পাদদেশ
জনগণের সমর্থনে
গর্জে উঠে সারাদেশ!


এই মিনারে দেখে যারা
পূর্বসুরির পরাজয়;
বন্ধি করে, আড়াল করে
মনে মনে ভাঙতে কয়।


:ধ্বং করা সম্ভাবনা
সত্য জয়ের চেতনা!

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'জনতার কন্ঠ' -নরসিংদীর সংবাদ- ২৯ মে ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'জনতার কন্ঠ' -নরসিংদীর সংবাদ- ২৯ মে ২০০৩

IMG_20180425_132037_2(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


জনতার কন্ঠ
মো. রহমত উল্লাহ্‌


সব খবরের অন্তঃ খবর
কে দিতে চায় সত্য কবর
প্রকাশ করাই এর প্রিয়!


গণতন্ত্র স্বাধীনতা
ইতিহাসের আসল পাতা
রাখতে অটুট সক্রিয়!


জনগণের প্রাণের কথা
সাধারণের দুঃখ ব্যাথা
নিজের মনে করে সে!


অনিয়ম ও নির্যাতনে
প্রতিবাদী উচ্চারণে
জনতারই কন্ঠ যে!


:হয় কথনো বিনশ্বর
নিপীড়িতের কন্ঠস্বর?

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'বলা নিষেধ'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'বলা নিষেধ'

IMG_20180425_131919_6(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


বলা নিষেধ
মো. রহমত উল্লাহ্‌


সন্ত্রাসী হানাদার
ধর্ষনকার মার্ডারার
অবৈধ দখলদার
সাধুতার লেবাসধার..!
যার যা খুশি করতে থাকুক
শুধু আমার পক্ষে থাকুক
পেতে পারে ফুলাসন!


মুখ বুজে সব সইতে হবে
“ভালো আছি” কইতে হবে
মনে রেখ জনগন!
অন্যরকম ভাষণ দিলে
এদের কথা বলতে গেলে
শাস্তি হবে অবর্ণন!!


: বললে যদি হয় ক্ষতি
থাকলে এরা নয় ক্ষতি?


(পরিমার্জিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ইতিহাস বিকৃতি' -নরসিংদীর সংবাদ- ০৫ জুন ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ইতিহাস বিকৃতি' -নরসিংদীর সংবাদ- ০৫ জুন ২০০৩

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


ইতিহাস বিকৃতি
মো. রহমত উল্লাহ্‌


ইচ্ছে করেই বলছে কথা
সত্য করে বিকৃত
তার নেতাই বড় নেতা
আর সকলে ধিকৃত!


মিথ্যে সুনাম প্রচার করে
নিজের দলে নেয় টেনে
মিথ্যে বলায় হারেনা কেউ
মিথ্যেটাই নেয় মেনে!


বিতর্কিত হচ্ছে নেতা
গোটা জাতি বিভক্ত
দিনে দিনে এ রাজনীতি
হচ্ছে আরো বিক্ষত!


হানাহানি লেগেই আছে
তুচ্ছ লাভের কারণে
দেশের প্রতি কারো যেন
ভালবাসা নেই মনে!


আসল কথা আড়াল করে
ভারী করে নিজের দল
স্বার্থ হাসিল হয়ত হবে
আসবে নেমে অমঙ্গল!


:ইতিহাস কি জমিজমা
জবর দখল করা যায়?
:ইতিহাসকে লুটতে গেলে
লুটেরাই ডুবে যায়।<


IMG_20180425_132037_3

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নামকরণ' -নরসিংদীর কথা- ২৪ মে ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নামকরণ' -নরসিংদীর কথা- ২৪ মে ২০০২

IMG_20180425_132017_4(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


নামকরণ


মো. রহমত উল্লাহ্‌


যখনই যে যায় ক্ষমতায়
তখনই সে নাম রেখে যায়


পিতার মাতার ভাবীর নামে
নিজের নেতার স্বামীর নামে


ইস্কুল কলেজ স্টেডিয়াম
বিমান বন্দর পার্ক উদ্যান
রাস্তা সংস্থা গোরস্থান (মাজার ?)!


এ্যভিনিউ হাসপাতাল
হোস্টেল সেতু নগর খাল
একাডেমি কারখানায়
সব খানেই নাম ঝুলায়!
যেই ক্ষমতা বদলে যায়
নাম সুনামও উল্টে যায়!


: কর্মে যদি না বাচে কেউ
নামে কি আর বাঁচা যায়?


(পরিমার্জিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নকল পরীক্ষা'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নকল পরীক্ষা'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


নকল পরীক্ষা


মো. রহমত উল্লাহ্‌


ছাত্র শিক্ষক গার্জিয়ান
নেতা কর্মী ক্যাডার খান
ফটোস্ট্যাটার নোট লেখক
মাইক্রো নোটের প্রকাশক
আয়া পিয়ন দাড়োয়ান
গৃহ শিক্ষক জানের জান
আমলা পুলিশ প্রশাসন
এমপি মন্ত্রী মূল আসন...
সবাই যেনো চায় নকল।
:নকলে কি হয় আসল?


:নকল হলে পরীক্ষা
কেমনে হবে সুশিক্ষা?
:চলছে নকল চলবেই
নকল মানুষ ফলবেই?

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি' -নরসিংদীর কথা- ২০ আগস্ট ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি' -নরসিংদীর কথা- ২০ আগস্ট ২০০২

IMG_20180425_132004_1(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি


মো. রহমত উল্লাহ্‌


শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষানেই
শুভ কাজের দীক্ষা নেই!


মানুষ থাকার নেই উপায়
মানুষ গড়ার আঙিনায়!


আসে মানুষ ফিরে লাশ
নিয়মকানুন সব বিনাশ!


পুস্তক কলম ছেড়ে দিয়ে
মারনাস্ত্র হাতে নিয়ে
উঠে বসে দলের কথায়
কুড়াল মারে নিজের মাথায়!


: এমন হলে রাজনীতি
দরকারটা কি এই নীতি?

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'সবুজ গাঁয়ে করুণ সুর' -নরসিংদীর কথা- ১১ জুন ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'সবুজ গাঁয়ে করুণ সুর' -নরসিংদীর কথা- ১১ জুন ২০০২

IMG_20180425_132017_2(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


সবুজ গাঁয়ে করুণ সুর


মো. রহমত উল্লাহ্‌


জ্ঞানী গুনী গুরুজনে
ভাবে বসে মনে মনে
করে শুধু হায় হুতাশ
এ দেশটাতে হলো কি!


কুরাজনীতি দলাদলি
কটুকথা বলাবলি
চাঁদাবাজি খুন সন্ত্রাস
পাড়া গাঁয়ে ছিল কি?


উচ্ছেদ দখল ধর্ষণের
এমন অনেক ঘটনা
সংবাদদাতা জানেনা!


নির্যাতিত হচ্ছে যে
খুজঁবে সুযোগ ঠিকই সে।


ধ্বংস যখন সম্প্রীতি
ঘটবে আরো অপ্রীতি!


সবুজ গাঁয়ে করুণ সুর
মনে পড়ে একাত্তুর!


কবি জসিম উদ্দিনের
শান্ত গাঁয়ের সুখ দিনের
কবর হলো রচনা।
:কীকরে তা যায় মানা!?

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ঘুমের গান'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ঘুমের গান'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


ঘুমের গান


মো. রহমত উল্লাহ্‌


ঘুম ঘুম আয়
আয় আয় ঘুম!


ছোট আম্মুর চোখে
আয় আয় ঘুম!


মায়িশা মণির চোখে
আয় আয় ঘুম!


হাতে দিলাম চুম
আয় আয় ঘুম!


পায়ে দিলাম চুম
আয় আয় ঘুম!


কপালে দিলাম চুম
আয় আয় ঘুম!


চোখে দিলাম চুম
আয় আয় ঘুম!


চোখের পাতা বন্ধ
এলো বুঝি ঘুম!


দ্রুম দ্রুম দ্রুম
গুলি কি বা বোম!!


উঠল কেদেঁ মায়িশা
পালিয়ে গেল ঘুম...!

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'এসিডবাজ' -নরসিংদীর কথা- ০৮ জুলাই ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'এসিডবাজ' -নরসিংদীর কথা- ০৮ জুলাই ২০০৩

IMG_20180425_132048_1(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


এসিডবাজ


মো. রহমত উল্লাহ্‌


প্রতিবাদী বোনের মুখ
পাপশুন্য শিশুর বুক
বাবা এবং ভাইয়ের গা
স্নেহ প্রবণ আমার মা...


প্রতিদিনই কেউনা কেউ
ঝলসে যাচ্ছে এসিডে।


হাত পা নাক কান চোখ হারা
বিভৎস হয় চেহারা


মা করেনা ঘুমের গান
সোনামণির নেই যে প্রাণ


জ্বলছে আগুন বিরামহীন
নিপীড়িতের হৃদপিন্ড!


এসিড দগ্ধ হয়ে-যে
দুর্বিসহ কাটায় দিন
আরো বেশি কষ্ট পায়
অবহেলায় নিত্যদিন!


মহারাজের মত ঘুরে
ঘৃণার পাত্র এসিডবাজ
তার মাথায়ও পাচ্ছে শোভা
বড় বড় দলের তাজ!


অপরাধী কোলে নিয়ে
নীতি বুলি দেয় নেতা
ভুক্তভোগি পায়না বিচার
জানে কি তা জনতা!<

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ঘুষ' -নরসিংদীর কথা- ০৬ মে ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ঘুষ' -নরসিংদীর কথা- ০৬ মে ২০০৩

IMG_20180425_132037_1(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


ঘুষ


মো. রহমত উল্লাহ্‌


বদলি নিয়োগ পদোন্নতি
ঘুষ দিলে হয় তড়িগড়ি
পেতে হলে অবসর ভাতা
গিলাতে হয় ঘুষের বড়ি!


ভর্তি হতেও ঘুষ দিতে হয়
নামি দামি প্রতিষ্ঠানে
ঘুষনা দিলে হয়না সুযোগ
লেখাপড়ায় নাচে গানে!


টেলিফোটা রাখতে সচল
ঘুষ দিতে হয় মাসে মাসে
ঘুষ না দিলে বিদ্যুতের বিল
শুধুই শুধুই বেশি আসে!


পেতে হলে সুচিকিৎসা
ঘুষ দিতে হয় হাসপাতালে
টাকা দিতে ব্যর্থ হলে
গরিব রোগি যায় পাতালে!


: ঘুষ ছাড়া কি হয়না কিছু?
: তবে লাগে অন্যকিছু।
: এভাবে আর কতদিন?
: মানুষ গুলো আসল মানুষ
হতে লাগবে যতদিন।<

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'খুন' -নরসিংদীর কথা- ০৪ মার্চ ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'খুন' -নরসিংদীর কথা- ০৪ মার্চ ২০০৩

5_10_18 7_40 AM Office Lens_4(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


খুন


মো. রহমত উল্লাহ্‌


নেতা কর্মী কেডার খুন
ছাত্র পুলিশ আমলা খুন


প্রতি পক্ষ ভোটার খুন
কর্মচারি কামলা খুন!


খুন হয়েছে সাংবাদিক
নারী পুরুষ শতাধিক


শিল্পী কবি সাহিত্যিক
রাষ্ট্রপতি রাজনীতিক!


প্রকৌশলী চিকিৎসক
সমাজসেবী অধ্যাপক


সভাপতি সম্পাদক
শিল্পপতি আর সাধক


বাড়ছে খুনের তালিকা
শেষ হবেনা এ লিখা!


সজন করে হাহাকার
খুনিদেরই জয় জয়কার!


খুন হয়েছে বোন ও ভাই
খুনের বিচার চাই-ই চাই!


খুন হয়েছে বাবা মা
কোন বিধানে হয় ক্ষমা?


:সেই বিচারের কাঠগড়ায়
দেখবো কারে কে বাচায়!

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'চাঁদাবাজি' -নরসিংদীর কথা- ০২ জুলাই ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'চাঁদাবাজি' -নরসিংদীর কথা- ০২ জুলাই ২০০২

IMG_20180425_132017_1(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


চাঁদাবাজি
মো. রহমত উল্লাহ্‌


জমি বাড়ি বাউন্ডারি
ব্যবসা ফেরি রিক্সা গাড়ি


চাকরি কৃষি ঠিকাদারি
ইয়ে বিয়ে যাত্রা জারি...


যা-ই করেন ভাল মন্দা
দিতে হবে মোটা চাঁন্দা!


জন্মদিন ও মৃত্যু দিবস
পুনর্মিলন মাহফিল উরস


সংবর্ধনা সম্মেলন আর
ইফতারপার্টি পিকনিক খাবার


ক্লাব সমিতি লীলা খেলা
নিউইয়ার পরব মেলা...


নানা রকম ছুঁতা করে
টাকা রাখে ফিতা ধরে!


অন্য দলের ভোটার হলে
সত্য কথা বলতে গেলে


হানা দিয়ে দ্বারে দ্বারে
চাঁদা ধরে বারে বারে!


মানুষ যতই কষ্টে মরুক
অনটনে উপোস করুক


চাঁদাবাজের করাল হাতে
চেপে ধরে দিনে রাতে!!


: চাঁদা বাজি থামবে কি?
: জনগণে মিলবে কি?


(পরিমার্জিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'দখল'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'দখল'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


দখল


মো. রহমত উল্লাহ্‌


বাড়ি গাড়ি হোস্টেল
বেবি টেম্পো ট্রাক রেল
হাট বাজার গুলিস্তান
ঘাট পুকুর গোরস্তান!


টার্মিনাল টেন্ডার
ভার্সিটি শৌ'গার
কারখানা প্রতিষ্ঠান
দুর্বলের ধন-মান!


অফিস পার্ক ফুটপাথ
গরিবের নুন ভাত
গলি পাড়া ইউনিয়ন
থানা পুলিশ প্রশাসন...


সব কিছুতে নেয় দখল
পক্ষে গেলে ফলাফল!


ক'দিন লুটে (?) এ দল
ক'দিন লুটে (?) ও দল!


:নির্বাচন মানে সন্ত্রাসী বদল?

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- '৫৪ ধারা' -নরসিংদীর কথা- ১০ সেপ্টেম্বর ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- '৫৪ ধারা' -নরসিংদীর কথা- ১০ সেপ্টেম্বর ২০০২

IMG_20180425_131939_1(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


৫৪ ধারা


মো. রহমত উল্লাহ্‌


এমপি মন্ত্রী সাবেক হলে
অন্য দলের ভোটার হলে-
৫৪ তে আটক করে
জামিন আর্জি বাতিল করে
হাত পা বেঁধে পিটায় মাড়ায়
সর্ব অঙ্গে হামলা চালায়!


ডিটেনশনে পাঠায় জেলে
কী না করে মরে গেলে?


মনে করে ক্ষমতা
এ সব করার বৈধতা!


বলে সকল সরকারই
'এই ধারা খুব দরকারি'!


চলে গেলে ক্ষমতা
পাল্টে ফেলে সে কথা!


রাজধানীতে ধরে লাইন
'বাতিল কর কাল আইন'!


: রাজনীতিতে নীতি নাই
সবখানে অশান্তি তাই!


(সংশোধিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'কেমন বিচার'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'কেমন বিচার'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


কেমন বিচার


মো. রহমত উল্লাহ্‌


নির্যাতিতের দুঃখ লিখে চিত্র তুলে
বন্দি হলে সাংবাদিক,
নির্যাতনের প্রমাণ সাক্ষী থাকা
অপরাধ কি সাংঘাতিক!


নির্যাতন করে যারা
ধন মান সব লুটে যারা,
করে যারা দেশান্তর,
বীরদর্পে ঘুরে তারা
আনন্দে মাতোয়ারা,
তারাই(?) যেন দেশের বর!<

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'জনতার মঞ্চ' -নরসিংদীর সংবাদ- ০৫ জুন ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'জনতার মঞ্চ' -নরসিংদীর সংবাদ- ০৫ জুন ২০০৩

IMG_20180425_132037_4(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


জনতার মঞ্চ


মো. রহমত উল্লাহ্‌


যন্ত্রণা কি কম দিয়েছে
এই বাঙ্গালি জনতায়,
পরাজয়ের সে সব কথা
সহজে কি ভুলা যায়?


বায়ান্নতে রক্ত দিল
উর্দ্দু ভাষার বিরুদ্ধে
চুয়ান্নতে ভোট দিয়েছে
মুসলিমলীগের বিরুদ্ধে!


সবাই দিল জোর সমর্থন
ছেষট্টিতে ছয় দফায়
সওরের সেই নির্বাচনে
ইয়াহিয়ায় হেরে যায়!


উনসওরে ঘটাল কি
ভয়াবহ অভ্যুত্থান
একাওরের গন্ডগোলে
ভেঙ্গে দিল পাকিস্তান!


কারফিউ মার্শাল-ল হাঁ/না ভোট
কোন কিছুই মানেনা
বে-আদবের অনুসারী
মাথা নত জানেনা!


যখন তখন হঠাৎ করে
ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়
সব ভেদাভেদ পায়ে দলে
একই মঞ্চে উঠে যায়!


চাকুরি তো দুরের কথা
এর পরে কি এই জনতা
দেশের ভেতর রাখা যায়??


:এই মনোভাব প্রয়োগ করে
শান্তিতে কি থাকা যায়?


(পরিমার্জিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'বিজিত নির্যাতন' -নরসিংদীর কথা- ৩০ এপ্রিল ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'বিজিত নির্যাতন' -নরসিংদীর কথা- ৩০ এপ্রিল ২০০২

IMG_20180425_131919_4(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


বিজিত নির্যাতন


মো. রহমত উল্লাহ্‌


গণতান্ত্রিক কৌশলে
নির্বাচনে হার হলে-


প্রার্থী কর্মী সাপোর্টার
নেতা নেত্রী আর ভোটার


ভাই বাবা মা গুরুজন
পুত্র কণ্যা আপন জন


মুরগি বিড়াল গরুমাছ
বাড়ি গাড়ি জমি গাছ...


সবই যদি যায় দলে
ধন মান ও প্রাণ লুট হলে
ভোট দিতে কেউ আসবে কি?


: গণতন্ত্র বাচবে কি?


(পরিমার্জিত-২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'অসাধু ভোটারের প্রত্যাশা' -নরসিংদীর কথা- ০৮ অক্টোবর ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'অসাধু ভোটারের প্রত্যাশা' -নরসিংদীর কথা- ০৮ অক্টোবর
২০০২

IMG_20180425_132004_6


নরসিংদীর কথা- ০৮ অক্টোবর ২০০২


(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


অসাধু ভোটারের প্রত্যাশা


মো. রহমত উল্লাহ্‌


খুনিরা চায় - অবিচার
সুদখোরা - বেশি হার!


স্বৈরাচারী - স্বনিয়ম
ঘুষখোরেরা - অনিয়ম!


সন্ত্রাসীরা - চায় সংঘাত
চোর ডাকাতে - কালরাত!


অছাত্ররা - নকল চায়
অশিক্ষকে - সুযোগ চায়!


মাতালে চায় - হেরোইন
ঋণখেলাপি - আরো ঋণ!


কালোবাজারি - দাম বাড়ুক
চোরাকারবারি - ফাঁক থাকুক!


দলীয়রা - সব দখল
ধুর্তরা চায় - ঘোলাজল!


চাঁদাবাজে - সবই চায়
ফাঁকিবাজও - বেতন চায়।


:এরাই যদি দল করে
ক্ষমতা নেয় ছল করে
নিয়মকানুন কুপোকাত
করবে এসব বাজিমাত
জনগণের মাথায় হাত!<

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নির্বাচনের যোগ্যতা' -নরসিংদীর কথা- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নির্বাচনের যোগ্যতা' -নরসিংদীর কথা- ২৪ সেপ্টেম্বর
২০০২

IMG_20180425_131919_2(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


নির্বাচনের যোগ্যতা


মো. রহমত উল্লাহ্‌


সাদা কালো যাই হোক
বেশি টাকা আছে যার
নমিনেশন সেই পায়
রায় লাগেনা জনতার।


সচেতনে না দিক ভোট
সমস্যা নয় পাশ করা
টাকা হলে সবই হয়...
নিয়মকানুন কাত করা।


নয় সততা ন্যায়নীতি
জিততে হলে টাকা চাই!
পথ খোঁজে তাই লুট করার
জিতে গেলে কথা নাই।


: কালো টাকায় মাপা হয়
নির্বাচনের যোগ্যতা!
: কোন সুদিনে দূর হবে
জনগণের অজ্ঞতা?


(পরিমার্জিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ভালোরা সব যাচ্ছে সরে' -নরসিংদীর কথা- ০৪ জুন ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ভালোরা সব যাচ্ছে সরে' -নরসিংদীর কথা- ০৪ জুন ২০০২

IMG_20180425_132017_6(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


ভালোরা সব যাচ্ছে সরে


মো. রহমত উল্লাহ্‌


অপকর্মের নায়ক যারা
তারাই বুঝি প্রার্খী সেরা?


স্বধর্মীয় লেবাস ধরে
ঝুলায় ছবি মোড়ে ঘরে,
জামার ভেতর অস্ত্র রাখে
বাইরে দিয়ে আতর মাখে।


সাঙ্গপাঙ্গ দেখায় যে মুড
দিতে হবে তাদেরকে ভোট,
বলে এসে কানের কাছে
'ভোট না দিলে খবর আছে!'


খুব বিপাকে ভোটারেরা
পাশ করে কম সৎলোকেরা!


সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে
ভালোরা সব যাচ্ছে সরে!


: নিয়ম নীতি গণতন্ত্র
দিনে দিনে যাচ্ছে মরে।


(পরিমার্জিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ


মো. রহমত উল্লাহ্‌


সামনে যাবার চাকা
ঊর্ধে উঠার পাখা
শক্তি দেবার সূর্য্য
মুক্ত হবার তুর্য,
ঐক্যে থাকার তন্ত্র
সত্য জয়ের মন্ত্র
স্বপ্ন দেখার মন প্রাণ
সবই হলো খান্ খান্
করলো জারি কু-অধ্যাদেশ
অবাক হলো এ বিশ্ব-দেশ।


'খুনের বিচার চাইতে মানা'
এ কোন ধর্ম নেইতো জানা!
খুনি পাবে পদ পুরস্কার
এটা আবার কেমন বিচার?
ন্যায্য-নীতি ধংসাদেশে
নৈরাজ্যই বারে শেষে।


:মানবতার এমন ক্ষতি
নেয় কি মেনে কোন জাতি?

কবিতা- মানুষ এবং পশু

কবিতা- মানুষ এবং পশু

মানুষ এবং পশু


মো. রহমত উল্লাহ্‌



মানুষেরা লুটে মানুষের ধন


পশুরা কি লুটে?


স্বজাতিরে খুন মানুষেরা করে


পশুরা কি করে?


প্রিয়জন ভাঙে আশা ভরা বুক


পশুরা কি ভাঙে?


মানুষে মানুষ করে ধর্ষণ


পশুরা কি করে?


একে অপরের স্বাধীনতা কাড়ে


পশুরা কি কাড়ে?


মানুষেরা মনে বিদ্ধেষ পুষে


পশুরা কি পুষে?


এসব মানুষ এমন মানুষ


পশুরাও হরে! #


[২৩ ডিসেম্বর ২০১২, মোহাম্মদদপুর, ঢাকা।]


 

ছড়া- গ্রীষ্মের গরমে

ছড়া- গ্রীষ্মের গরমে

গ্রীষ্মের গরমে
মো. রহমত উল্লাহ্


নদীতে যায় বনের বানর
শালিক নামে পানিতে
মন বসে না খেলাধুলায়
গল্পে কিবা গণিতে!


ইঁদুর-শেয়াল পায়রাছানা
রয় না স্বাধের আস্তানায়
জিহ্বা মেলে হাঁপায় কুকুর
শোয় না বিড়াল বিছানায়!


আগেই পাঁকে লিচু কাঁঠাল
পঁচন ধরে তরমুজে
প্রখর রোদে রঙ লেগে যায়
কচি আমের সবুজে!


বৃদ্ধ-শিশু খায় না খাবার
দেয় না জামা গায়েতে
সখের কেনা জুতা-মুজা
যায় না রাখা পায়েতে!


ফ্যান ঘুরে না, মাথা ঘুরে
গ্রীষ্মকালের গরমে!
মানুষ এবং পশু-পাখির
মেজাজ এখন চরমে!!

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'প্রেট্রোল বোমার আগুনে'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'প্রেট্রোল বোমার আগুনে'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


প্রেট্রোল বোমার আগুনে
মো. রহমত উল্লাহ্‌


দেশটা যখন চলছে ভালো
সব সাধারণ শান্তিতে
কতক লোকের ঘুম আসেনা
গদির নেশায় ভ্রান্তিতে।


যারাই এখন বলছে কথা
'নির্বাচন' এর দাবিতে
তারাই যেনো দিচ্ছে মোচড়
প্রেট্রোল বোমার চাবিতে।


দেশের মানুষ যাচ্ছে পোড়ে
প্রেট্রোল বোমার আগুনে
রাজাসনের স্বপ্নে বিভোর
নিষ্ঠুর নেত্রী ফাগুনে!


:এমনতরো নির্যাতন


নেয় কি মেনে জনগণ?

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ক্রস ফায়ার' -সাপ্তাহিক এখন- ০১ অক্টোবর ২০০৪

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ক্রস ফায়ার' -সাপ্তাহিক এখন- ০১ অক্টোবর ২০০৪

IMG_20180425_131939_2(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


ক্রস ফায়ার
মো. রহমত উল্লাহ্‌


শীর্ষে উঠা সন্ত্রাসীদের
বাঁচার মেয়াদ শেষ হলে
যায় বাহিনীর হেফাজতে
অনেক মানুষ তাই বলে।


কী জানি কী তথ্য দিয়ে
ক্রস ফায়ারে যায় পড়ে!
ফসকা গেরো দেয় তারে?


গড-ফাদারের মুখের মুখোস
অক্ষুন্নই রয়ে যায়!


:কার ঘাড়ে এই খুনের দায়?


[সংশোধিত- ২০১৭]

কবিতা- ঈদ

কবিতা- ঈদ
ঈদ
মো. রহমত উল্লাহ্

ঈদের চাঁদের মত বাঁকা
বিবেকের ঘুর্ণিপাকে বন্দি
আধা মধ্যবিত্ত মানুষের
স্বপ্নভঙ্গুর ললাটে আঁকা! //

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'হরতাল' -নরসিংদীর কথা- ০৯ জুলাই ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'হরতাল' -নরসিংদীর কথা- ০৯ জুলাই ২০০২

IMG_20180425_132017_3(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য-ছড়া)
হরতাল
মো.রহমত উল্লাহ্


‘ইস্কুল কলেজ খুলবে না
গাড়ি ঘোড়া চলবে না’...!


বিরোধীদের মিছিলে
সরকারিরা নুন্ দিলে-
ফাটায় বোমা ছিটায় তেল
ঠেঁকায় চাকা উঠায় রেল!


বলেছে যারা ‘নড়বে না’
ক্ষুধায় তারা মরবে না।


আমরা যারা খেটে খাই
লেখাপড়া করতে যাই
হাসপাতালে যেতে চাই
মরে পোড়ে হচ্ছি ছাই।


বাড়ছে অভাব বাড়ছে লাস
চিকন গলায় লাগছে ফাঁস!


:এই হরতালে বুঝা যায়


জনগণের আসল রায়?


[পরিমার্জিত-১৯ মার্চ ২০১২]

প্রবন্ধ- বন্ধ করুন শিক্ষার্থীদের টিসি বিষয়ক হয়রানি' -ভোরের কাগজ- ২০ ডিসেম্বর ২০১৭

প্রবন্ধ- বন্ধ করুন শিক্ষার্থীদের টিসি বিষয়ক হয়রানি' -ভোরের কাগজ- ২০ ডিসেম্বর
২০১৭
P_20171221_095747_1বন্ধ করুন শিক্ষার্থীদের টিসি বিষয়ক হয়রানি
ভোরের কাগজ, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭ |
মো. রহমত উল্লাহ্
>বিভিন্ন কারণে প্রায় সারা বছর ধরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে হয় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা বাবা-মায়ের বদলিযোগ্য চাকরির কারণে এবং আরো ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ইচ্ছায় বারবার বদল করে থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই বদল যে কেবল শিক্ষা বর্ষের শুরুতেই হয় তা নয়। বছরের প্রথমার্ধে, মাঝামাঝিতে, শেষার্ধে তথা যে কোনো সময় হতে পারে।

এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে অধ্যয়নরত থাকাবস্থায় কোনো শিক্ষার্থী যদি বছরের মাঝামাঝি অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে একই শ্রেণিতে ভর্তি হতে চায় তো তার বর্তমান প্রতিষ্ঠান থেকে টিসি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে। কেননা সে এই শেণিতে বর্তমানে পড়ছে এর প্রমাণ হচ্ছে টিসি। সে ক্ষেত্রে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে যে মাস পর্যন্ত বেতন-ফি পরিশোধ করে যায় তার পরের মাস থেকে নতুন প্রতিষ্ঠান বেতন-ফি চার্জ করা যুক্তিযুক্ত হলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। শিক্ষার্থীদের অতি তাগিদে যেহেতু নতুন প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছে সেহেতু তাদের জিম্মি করে বছরের শুরু থেকে হিসাব করে সব ফি আদায় করছে তার নতুন প্রতিষ্ঠান। তদুপরি এমনো হয় যে, তার ছেড়ে আসা প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের শেষদিন পর্যন্ত বেতন-ফি আদায় না করে টিসি দিতে চায় না। ফলে একজন শিক্ষার্থী বদলির কারণে তার অভিভাবককে অনেক সময়ই গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ/তিনগুণ টাকা।

শিক্ষা বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করার পর কোনো শিক্ষার্থীর প্রতিষ্ঠান বদল করার প্রয়োজন হলে আগে যে হারে ঘাটে ঘাটে ভোগান্তি ও বৈধ-অবৈধ পথে অর্থ ব্যয় হতো এখন অনলাইন ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে তা কিছুটা কমেছে। যদিও এই ব্যবস্থাটি আরো বেশি গতিশীল হওয়ার দাবি রাখে। তবে এইরূপ আবেদনকারী শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে পূর্বাপর উভয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই যুক্তিযুক্ত প্রাপ্যের অধিক টাকা আদায় করে থাকে। বোর্ডের ইস্যুকৃত টিসির আদেশে এই সংক্রান্ত নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন যে, কোন প্রতিষ্ঠান কোন মাস পর্যন্ত বেতন-ফি নিতে পারবে।

শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় জানুয়ারি মাসে। নতুন বছরের শুরুতে বিভিন্ন কারণে অনেক বেশি শিক্ষার্থী বদল করে থাকে প্রতিষ্ঠান। সেক্ষেত্রে শুধু একটি টিসি পেপার সংগ্রহ করার জন্য পূর্ণ বছরের সেশন ও অন্যান্য চার্জ এবং জানুয়ারি মাসের বেতন দিয়ে তাদের ভর্তি হতে হয় আগের প্রতিষ্ঠানে। তদুপরি টিসি ফি দিয়ে টিসি পেপারটি নিয়ে গিয়ে অনুরূপ বেতন-ফি আবার পরিশোধ করে পুনরায় ভর্তি হতে হয় কাক্সিক্ষত নতুন প্রতিষ্ঠানে। এ সংক্রান্ত দুই-একটা বাস্তব উদাহরণ দিই, যা আমি নিজেই প্রত্যক্ষ করেছি। (ইচ্ছা করেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের নাম গোপন রাখা হলো।)

উদাহরণ-১। ঢাকা শহরের লালবাগ এলাকায় অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় একজন কোমলমতি শিক্ষার্থী অত্যন্ত ভালোভাবে পাস করেছে। ২০১৬ সেশনে সে খুলনায় অবস্থিত অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষাসমূহে অংশ নিয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাই ঢাকার লালবাগে অবস্থিত তার আগের প্রতিষ্ঠানটিতে সে ২০১৬ সেশনে ৭ম শ্রেণিতে আর ভর্তি হয়নি এবং হবে না; কিন্তু খুলনায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠান তাকে ভর্তির জন্য টিসি চাওয়ার কারণে বেকায়দায় পড়েছে সে। কারণ খুলনায় টিসি ছাড়া তাকে ভর্তি করবে না, আর ঢাকায় আবার ভর্তি না হলে তাকে টিসি দেয়া হবে না! ঢাকার প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য হচ্ছে- আমাদের এখানে ভর্তিই যদি না হয় তো আমরা টিসি দিব কীভাবে? তার শ্রেণি, শাখা, রোল কী লিখব? অর্থাৎ তাদের নির্ধারিত অ্যাডমিশন ফিসহ অন্যান্য ফিসমূহ দিয়ে ভর্তি হয়ে তাদের শিক্ষার্থী হওয়ার পরে তারা টিসি দিবে। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, এই শিক্ষার্থী তো এখানে ক্লাস করবে না, পড়বে না, তাহলে তাকে এতসব মাসিক ও বার্ষিক ফি দিতে হবে কেন? তাছাড়া সে ভর্তি না হওয়ার ফলে ঢাকার প্রতিষ্ঠানে যে আসনটি খালি হবে সেটি তো আর এক বছর ফাঁকা থাকবে না। ওয়েটিং লিস্ট থেকে টেনে আরেক জনকে ভর্তি করা হবে এবং তার কাছে থেকেও সব বেতন-ফি আদায় করা হবে। একই আসনের বিপরীতে একই সেশনে দুজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা আদায় করা কি বাণিজ্য নয়? সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কি এইরূপ অন্যায় বাণিজ্য করতে পারে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে? তাদের উত্তর হচ্ছে- ‘এত কথা বলে লাভ নেই, এটিই এই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম!’ অপরদিকে খুলনার সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বক্তব্য হচ্ছে- ‘আমাদের এখানে ভর্তি করতে হলে টিসি লাগবে।’ সেখানে প্রশ্ন হচ্ছে- ‘এই শিক্ষার্থী তো এখন কোথাও ভর্তি নেই, তো তাকে টিসি দিবে কে? কিংবা তাকে ভর্তি করতে টিসি লাগবে কেন? সে/তার অভিভাবক যদি লিখে দেয় যে, সে অন্য কোথাও ভর্তি নেই তাহলে কি চলবে না?’ কিংবা তার আগের প্রতিষ্ঠান যদি লিখে দেয় যে, ‘অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যাপারে তাদের কোনো আপত্তি নেই, তাহলে কি তাকে ভর্তি করা যায় না?’ [যদিও বিনা টাকায় এমনটি তারা দিবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই] সেখানে তাদের উত্তর হচ্ছে, ‘এত কথা আমাকে বলে লাভ নেই, টিসি ছাড়া এখানে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় না, এটাই এই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম! এখন না পারলে, পরে হলেও দিতে হবে।’ এখানে শিক্ষার্থীর বিপত্তি হচ্ছে, আগে হোক আর পরে হোক টিসি আনতে গেলেই সব ফি দিয়ে ভর্তি হতে হবে আগের প্রতিষ্ঠানে। [অথচ, শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট কার্ডটির কোনো একটি কলামে যদি এমন লেখা থাকে যে, ‘সে এই প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিতে ভর্তির যোগ্য। তবে, তার অন্যত্র ভর্তির ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই এবং থাকবে না।’ আর সেটির ভিত্তিতে যদি অন্য প্রতিষ্ঠান তাকে ভর্তি নিত; তাহলে তো আলাদা করে অনাপত্তিপত্র বা টিসির প্রয়োজন হতো না।]

উদাহরণ-২। ঢাকা শহরের মোহাম্মদপুরে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে জেএসসি পাস করেছে একজন শিক্ষার্থী। সে ২০১৬ সেশনে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ফার্মগেট এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে সিলেক্টেড হয়েছে; কিন্তু তারা টিসি ব্যতীত তাকে ভর্তি করবে না। এদিকে যে প্রতিষ্ঠান থেকে সে জেএসসি পাস করেছে সেই প্রতিষ্ঠানেও ভর্তি না হলে তারা টিসি দিবে না। এখানে পড়ুক বা না পড়ুক- টিসি নিতে হলে নির্ধারিত সব ফি দিয়ে এক মিনিটের জন্য হলেও ভর্তি হতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, জেএসসি/পিইসি/এসএসসি/এইচএসসি পাসের সরকারি সনদ থাকার পরও তাকে ভর্তি করার জন্য টিসি লাগবে কেন? যে সনদ এখন অনলাইনে দেখা যায়, পাওয়া যায়, প্রিন্ট করা যায়- সেই সনদের কপি সত্যায়িত করা লাগবে কেন আগের প্রতিষ্ঠান প্রধানের? কেন বাড়তি টাকা দিয়ে আগের প্রতিষ্ঠান থেকে আনতে হবে প্রশংসাপত্র? সে খারাপ হলে তো তাকে পরীক্ষা দেয়ার আগেই বহিষ্কার করে দিত আগের প্রতিষ্ঠান। কিংবা দিত না তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ। সরকারি সনদই যথেষ্ট নয় তার নতুন ভর্তির জন্য? উত্তর, এত কথা বলে লাভ নেই, এটাই নিয়ম!

সম্মানিত পাঠকরা, আপনারাই বলুন, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান বদলের ক্ষেত্রে ও উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রচলিত এই নিয়মগুলো কি আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের ইচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চরম অনিয়ম নয়? এই অনিয়ম রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কি কিছু করণীয় নেই?

মো. রহমত উল্লাহ্ : অধ্যক্ষ, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা।
rahamot21@gmail.com

http://www.bhorerkagoj.net/2017/12/19/%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a8-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a7%80%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0/

 

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'বাড়াবাড়ি' -আজকের কাগজ-২৭ মে ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'বাড়াবাড়ি' -আজকের কাগজ-২৭ মে ২০০৩

IMG_20180425_132029_3(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


বাড়াবাড়ি
মো. রহমত উল্লাহ্


মাটির নিচের উঁইপোকারা
উড়তে গেলে আকাশে
এক ঠোঁকরে খায় পাখিরা
যতই থাকুক পাকা সে!


শস্য ক্ষেতের দস্যু পোকা
করতে গেলে অগ্নি জয়
ঢাল-তলোয়ার সহকারেই
জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়!


রক্তচোষা ছাড়পোকারা
করলে বেশি জ্বালাতন
হারাতে হয় অস্তানাটা
হারায় শেষে জান-জীবন!


বাড়াবাড়ি করে যারা
পরিনতি নাই ভাবে
গ্যাঁড়াকলে পড়ে তারা
অবশ্যই পস্তাবে।


:যতই থাকুক ক্ষমতা
চোরে চোরে মমতা
এক নিমিষে হয় বৃথা
ক্ষেপে গেলে জনতা! //

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'সঙ সঙ্কল্প'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'সঙ সঙ্কল্প'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


সঙ সঙ্কল্প
মো. রহমত উল্লাহ্


থাকবো আমি বদ্ধ ঘরে
দেখবো না আর জগতটাকে
কেমন করে ঘুরছে মানুষ
মরন ফাঁদের ঘুর্ণিপাকে!


দেশ হতে দেশ দেশান্তরে
নারী শিশু পাচার করে
ড্রাগের নেশায় কেমন করে
মরছে মানুষ লাখে লাখে
কিসের আশায় করছে বরণ
যৌন রোগের যন্ত্রণাকে!


কেমন করে ধর্ষিতারা
জীবনটাকে নিচ্ছে মেনে
কেমন করে মানবতা
নিয়ম-নীতি লুটায় বনে!


সাধারণের মুখের খাবার
কোন্ সবলে নিচ্ছে কেড়ে
সব অশুভ ইঙ্গিত কোন্
উপর থেকে আসছে তেড়ে!


অন্ধ বধির থাকবো অমি
খুলবো না আর দৃষ্টিটারে
দেখতে গেলে শুনতে গেলে
প্রতিদিনই কষ্ট বাড়ে!


: ওরে অতি চালাক চাচা
এই ভাবে কি যাবে বাঁচা?

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'অপহরণ আতঙ্ক'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'অপহরণ আতঙ্ক'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


অপহরণ আতঙ্ক
মো. রহমত উল্লাহ্


বাইরে গেলাম, দোয়া করো
পিতা-মাতা-ভাই
ধরে নিয়ো ফিরে আসার
সম্ভাবনা নাই!


ঘুমাতে যাই দরজা এঁটে
চিন্তা করো না
কাল সকালে দেখা হবার
আশাও করো না!


জানি না ভাই জানটা আমার
লাশ হবে কয়খান
শেষ ঠিকানা হবে কি না
শ্বশান-গোরস্থান!


খোঁজ করো না, রটিও না
'নিখোঁজ আপন জন'
লাভ কী হবে বিচার চেয়ে
খারাপ করে মন!


আমার মায়ের কোলে আমার
নিরাপত্তা নাই
এমন লজ্জা নিয়ে বলো
কোথায় আমি যাই!


উধাও করে আমায় যদি
জিন ইনসান পরি
ক্ষমা করে দিও সবাই
এই নিবেদন করি!


:জেনে রাখো ভাই


অপহরণ করে যারা


তাদের ক্ষমা নাই!


- See more at: http://www.priyo.com/2014/05/03/67201

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'গৃহপালিত বুদ্ধিজীবী' -নরসিংদীর কথা- ২৪ জুন ২০০৩ এবং আজকের কাগজ- ০৩ জুন ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'গৃহপালিত বুদ্ধিজীবী' -নরসিংদীর কথা- ২৪ জুন ২০০৩
এবং আজকের কাগজ- ০৩ জুন ২০০৩


IMG_20180425_132103_2

IMG_20180425_132029_4(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


গৃহপালিত বুদ্ধিজীবী


মো. রহমত উল্লাহ্


আছে অনেক বুদ্ধিজীবী
উচিত কথা বলে না
দলের রাস্তা ছেড়ে তারা
এক কদমও চলে না !


দলের বাচাল নেতার মতই
মিথ্যে মারে বিবৃতি
ইতিহাসের পাতায় পাতায়
ঘটায় কেবল বিকৃতি !


আপন স্বার্থ ক্ষুন্ন হলে
করে নানা মন্তব্য
স্বার্থ হাসিল করাই যেন
এ জীবীদের গন্তব্য !


অর্থ পদক পদের লোভে
এরা কিন্তু সব পারে
একটা কিছু দিয়ে দিলেই
বসে বসে লেজ নাড়ে !


কুশাসনের কুটবুদ্ধি
কুটুর কুটুর দেয় বলে
ক্ষেপে গেলে আমজনতা
তাদের সাথেই যায় মিলে !


বুদ্ধিজীবীর (?) কুবুদ্ধিতে
শ'বিভাজন এক জাতিতে !


:দৃষ্টি খোল নিজেরা
আস্তাকুঁড়ে যাক ওরা।


[সংশোধিত- ০৭ জানুয়ারি ২০১২]

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'কোন্দল'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'কোন্দল'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


কোন্দল


মো. রহমত উল্লাহ্


ছিনতাই চুরি চাঁদাবাজি
অপহরণ টেন্ডারবাজি
ধর্ষন দখল খুন সন্ত্রাস
অগ্নি-সংযোগ লুটতরাজ...


চলছে এ সব বল্গাহীন
খবর আসে নিত্যদিন!


এ দল বলে- 'ও দলে'
ও দল বলে- 'এ দলে'
দুষ্টুরা সব নাচে ধিং
তবল বাজায় বগলে!


: রসাতলে যাচ্ছে দেশ
দলে দলে কোন্দলে!

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'সংসদ সমাচার' -নরসিংদীর কথা- ২৫ জুন ২০০২

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'সংসদ সমাচার' -নরসিংদীর কথা- ২৫ জুন ২০০২

IMG_20180425_132017_5(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)
সংসদ সমাচার
মো. রহমত উল্লাহ্


যে সব কথা সংসদে হয়
কথায় কথায় বিতর্ক হয়
সব কথা কি দরকারি?
অর্থ ব্যয়ে অর্থ বিহীন
চলে যেনো সরাটা দিন
কথায় ভরা মাল গাড়ি!


পাল্লা দিয়ে গিবত করার
নেতার সুনাম হনন করার
জায়গা কি এই সংসদে?
আপন লাভে আইন করার
প্রতিপক্ষ ঘায়েল করার
জন্য কি যায় মসনদে?


ট্রেজারিতে সরকারিরা
রাজপথে বিরোধীরা
বকতে থাকে দিন রাতে!
চলতে থাকে যে যার মত
মারে মরে শত শত
হয়না বসা এক সাথে!


দেশ ও জাতির কান্ডারিরা
হিসাব করে দেয় হাজিরা
পদটা যেন ঠিক থাকে!
ইচ্ছা মতো ধরে নেওয়া
জনগনের টাকায় দেওয়া
সব সুবিধায় হাত রাখে!


ভাঙ্গে মাইক ছিড়ে ফাইল
মানে না তো সীমা-আইল
ওয়াক-আউট হৈ-চৈ-হৈ!
ভূক্তভোগীর বুকের ব্যাথা
জনগণের কাজের কথা
আলোচনার সময় কই?


: নির্বাচিত যাদের ভোটে
আসতে হবে তাদের কোটে।


(পরিমার্জিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'কাল্পনিক নির্বাচনী ইশতিহার' -নরসিংদীর কথা- ০৭ জানুয়ারি ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'কাল্পনিক নির্বাচনী ইশতিহার' -নরসিংদীর কথা- ০৭
জানুয়ারি ২০০৩

IMG_20180425_132029_1(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


কাল্পনিক নির্বাচনী ইশতিহার
মো. রহমত উল্লাহ্


ভোট যদি দেন আমাদের ভাই
স্বর্গসুখে থাকবে সবাই।


আপনাদেরই ধর্ম মতে
করবো নিয়ম আদালতে।


নারী পাবে সব ক্ষমতা
পুরুষেরা স্বাধীনতা।


বিনামূল্যে বিলাবো সার
ফেরত দিতে হবে না ধার।


জ্বলবে বাতি দিনে রাতে
থাকবে না তো মিটার তাতে।


ঘরে ঘরে গ্যাসের চুলা
চালের গুদাম থাকবে খুলা।


ধন নিবে না চোর ডাকাতে
কেউ যাবে না জেল হাজতে।


আসবে না কেউ খাজনা নিতে
আর হবে না চাঁদা দিতে।


জবরদখল করবে না কেউ
দুর্ঘটনায় মরবে না কেউ।


দেখতে পাবেন এমন যাদু
সন্ত্রাসীরা হবেই সাধু।


ঘুষ ব্যতীত নড়বে নথি
থাকবে না এ স্বজনপ্রীতি।


সহজ হবে লেখাপড়া
পরীক্ষায়ও ভালো করা।


বিনা কাজে বেতন পাবেন
প্রতি মাসে বোনাস পাবেন।


টাকা হবে ডলার তোল্য
নামমাত্র দ্রব্য মূল্য।


দেশের সম্পদ দেশেই রবে
জাতির স্বার্থে চুক্তি হবে।


আমরা নই কেউ অর্থ লোভী
আপনাদেরই থাকবে সবই।


বন্যা খরা ভূমিকম্প
সকল দুর্যোগ দিবে লম্ফ।


দুঃখ কষ্ট ব্যধি বালাই
বলবে কেবল পালাই পালাই...


চাই কী কী আর বলেন এবার
ইচ্ছে আছে সবই দেবার।


(মনে মনে মুচকি হেসে)
: নির্বাচনের পরে পরে
টের পাবে সব হারে হারে!!


(পরিমার্জিত- ২০১৭)

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'তদন্ত কমিটি'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'তদন্ত কমিটি'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


তদন্ত কমিটি


মো. রহমত উল্লাহ্


দুর্নীতি আর দুর্ঘটনায়
হোক যতই ক্ষয়-ক্ষতি
তদন্ত কমিটি করে
দায়-দায়িত্বে দেয় ইতি!


যোদ্ধা সেজে ঢোল বাজিয়ে
শুরু করে তদন্ত
দিনে রাতে অর্থ সময়
যেতে থাকে অনন্ত...


তেমন মানুষ ফেঁসে যাবার
সম্ভাবনা থাকলে লেশ
ঘুরতে থাকে কালের চাকা
তদন্ত আর হয় না শেষ!


কমিটি আর কয় না কথা
তদন্তাধীন বিষয়ে
নিন্দাবাদ মুর্দাবাদ
সবকিছ্ইু নেয় সয়ে!


: তখন তারা সঙ্গোপনে
চুপিচুপি কী করে?
: করতে হবে সে তদন্ত
গণ-কমিটি করে।

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নিরপেক্ষ'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নিরপেক্ষ'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়)


নিরপেক্ষ


মো. রহমত উল্লাহ্


প্রথমা পক্ষ: তিনে দু’য়ে পাঁচ
দ্বিতীয় পক্ষ: তিন দু’গুনে ছয়
প্রথমা পক্ষ গং: না, তিনে দু’য়ে পাঁচ
দ্বিতীয় পক্ষ গং: না, তিন দু’গুনে ছয়...


নিরপেক্ষ(?) জন:
তোমরা সবে কেউ নিরপেক্ষ নয়
তিনে দু’য়ে ঠিক সাড়ে পাঁচই হয়!


গণপক্ষ গণ:
নিরপেক্ষ কি, সত্য পক্ষ নয়?

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার মন'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার মন'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)



প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার মন- ১৯৭১


মো. রহমত উল্লাহ্‌


বোন বাবা মা সবই গেলো অস্ত্র হলো সঙ্গী


কফিনকাপড় সাথেই রাখি গামছা এবং লুঙ্গি।



বুকের ভিতর নিত্য বাজে বঙ্গবন্ধুর বাণী


স্বাধীনতার সংগ্রামও তার জয়বাংলার ধ্বনি।



হটবোনা আর পিছু এবার যতই আসুক হামলা


মুক্ত করবো জীবন দিয়ে মুজিব এবং বংলা।



পাকবাহিনীর অত্যাচারের করবো উচিত বিচার


বিশ্ববাসী বলবে- ‘সাবাস! বীরবাঙালি আচার’।



(২)
সাগরে থাকবেনা কুমিরের ভয়


নদীতে বইবেনা রক্তধারা


আকাশে উড়বে না ঈগল শকুন


আর্তচিৎকারে কাঁদবেনা মা’রা।



(৩)
স্বপ্নেরা ধরা দিবে ফসলের মাঠে


ফুলেফুলে ফুটবেই শিশুদের হাসি


নৌকার পালেপালে অনুকুল হাওয়া


বাজবে মরমী সুরে রাখালের বাঁশি।



পাখিদের গানে গানে কেটে যাবে দিন


ঘুমাবে দাদির সাথে ক্ষুধাহীন বিড়াল


পুর্নিমা চাঁদের আলো প্রেমিকার মুখে


প্রতিটি সকাল হবে সোনালি সকাল।।<



প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার মন- ২০০২


মো. রহমত উল্লাহ্‌



একাওরে যুদ্ধে গিয়ে


ভাই বাবা মা বোন হারালাম


পশু পাখি সবই গেল


আমি নিজে পঙ্গু হলাম!



মরন নামক অস্ত্র দিয়ে


মনের বলে পাক হটালাম


বিশ্ব অবাক করে দিয়ে


জয় পতাকা ছিনিয়ে নিলাম!



(২)


পাক সেনারা হটলে পরে


স্বসেনাদের শাসন পেলাম


স্বৈরাচারীর যাঁতাকলে


বারে বারে পিষ্ট হলাম!


এ জন্য কি যুদ্ধে গেলাম?



যাঁর ডাকে দেশ স্বাধীন হলো


তাঁর বুকেতে বুলেট খেলাম


‘খুনের বিচার চাইতে মানা’


এমন আজব আদেশ পেলাম!


এজন্য কি যুদ্ধে গেলাম?



যুগে যুগে লড়াই করে


‘বীরবাঙালি’ খেতাব পেলাম


সেই খেতাবের পাতায় আবার


কালো কালির লেপন পেলাম!


এজন্য কি যুদ্ধে গেলাম?



‘জয়’ কথাটা পরের কথা'(?)


এমন বুলি শুনতে পেলাম


‘জিন্দা…’ নামক থুথুটাকে


মুখে নিতে বাধ্য হলাম!


এজন্য কি যুদ্ধে গেলাম?



ঝাঁকের কৈ এর মত সবাই


একই ঝাঁকে মিশে গেলাম


সেই হানাদার রাজার আকার


আমরা গরিব প্রজা হলাম!


এ জন্য কি যুদ্ধে গেলাম?



লুটেরা সব নিচ্ছে লুটে


অনাহারে কষ্ট পেলাম


অন্যদলের ভোটার বলে


অমানবিক শাস্তি পেলাম!


এ জন্য কি যুদ্ধে গেলাম?



সর্বক্ষেত্রে সব সুবিধা


দলীয়রা নিচ্ছে আগাম


সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজের


হাতে সবাই জিম্মি হলাম!


এ জন্য কি যুদ্ধে গেলাম?



কর্মঠ হাত পায় না কর্ম


যুবসমাজ নেশার গোলাম


ক্রয় ক্ষমতা নেই আমাদের


মূল্য ঘোড়ার নেই যে লাগাম!


এ জন্য কি যুদ্ধে গেলাম?



ঐক্যটা যেই ভেঙ্গে গেলো


নিজেই নিজের শত্রু হলাম


লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে


নৈরাজ্য ভর রাজ্য পেলাম!


এজন্য কি যুদ্ধে গেলাম?


এ জন্য কি যুদ্ধে গেলাম??


-----

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নেতা'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'নেতা'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


নেতা


মো. রহমত উল্লাহ্


অছাত্ররা ছাত্র নেতা
অশিক্ষকে শিক্ষক নেতা
শ্রমিক নেতা মালিকে,
অকৃষকে কৃষক নেতা
বস্তিবাসির সে-ই নেতা
উঁচু তলায় যে থাকে!


সন্ত্রসীরা শান্তি-নেতা
আমলা-সেনা জননেতা
ক্রেতার নেতা মজুদদার,
জলার মালিক জেলের নেতা
বিত্তহীনের পাকা নেতা
ভূঁইয়া কিবা জমিদার...!


: যাদের নেতা তাদের ব্যথা
বুঝবে কেন এসব নেতা?


: করতে আদায় অধিকার
ঐক্য দরকার জনতার।

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ভেজাল'

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'ভেজাল'

(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


ভেজাল
মো. রহমত উল্লাহ্‌


নূনে ভেজাল তেলে ভেজাল
ভেজাল মাছে মাংসে
দুধে ভেজাল গুড়ে ভেজাল
মিষ্টি মধু পাংসে!
ফলে ভেজাল জলে ভেজাল
ভেজাল সকল খাদ্যে
ভেজাল বিহীন খাবার খাবে
নেই কারো তা সাধ্যে!


হাওয়া ভেজাল দাওয়া ভেজাল
ভেজাল সকল ক্ষেত্রে
ভেজাল নেতা দেয় যে ধুলা
সাধারণের নেত্রে!


কথায় ভেজাল কাজে ভেজাল
ভেজাল নাচে গানে
ইতিহাসের খাতায় ভেজাল
ভেজাল খবর কানে!


ভেজাল সুরত ভেজাল পোশাক
ভেজাল প্রেমিক প্রেমিকা
ভেজাল কান্না ভেজাল হাসি
ভেজাল বন্ধুর ভূমিকা!


শ্রদ্ধা ভেজাল স্নেহ ভেজাল
ভেজাল ভালোবাসা
ভেজাল দিয়েই করে সবাই
আসল পাওয়ার আশা!


: ভয়াবহ ভেজাল থেকে
মুক্ত হবো কীভাবে?


: মানুষ গুলু আসল হলেই
ভেজাল বিহীন সব হবে।


বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'প্রশ্ন ফাঁস' -নরসিংদীর কথা- ০৯ ডিসেম্বর ২০০৩

বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া- 'প্রশ্ন ফাঁস' -নরসিংদীর কথা- ০৯ ডিসেম্বর ২০০৩

IMG_20180425_132048_2(বিবেক জাগ্রত গণপাঠ্য ছড়া)


প্রশ্ন ফাঁস
মো. রহমত উল্লাহ্‌


ভর্তি-নিয়োগ-একাডেমিক
সব পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস
অসৎ লোকের পোয়া বারো
সৎ-মেধাবীর গলায় ফাঁস!


অযোগ্য আর অসতেরা
পাচ্ছে সনদ, ক্ষমতা
কর্মে-কথায় নেইযে তাদের
দক্ষতা ও সততা!


এসব দিয়ে হয় না কোন
দেশ ও জাতির উন্নয়ন
এরা কেবল হতে পারে
দুর্নীতিতে চেম্পিয়ন!


: কিসের নেশায় করছি হজম
প্রশ্ন ফাঁসের খাস খবর
আমরা সবাই খোঁড়ছি না কি
দেশ ও জাতির শেষ কবর??


[সংশোধিত- ২০১৭]

কিশলয়ে বিজয়দিবস উদযাপন

কিশলয়ে বিজয়দিবস উদযাপন
কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে বিজয় দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক | দৈনিক শিক্ষা ডটকম। ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭ | স্কুল
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পূর্তিতে আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, কবিতা আবৃতি, রচনা লিখন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল অ্যাসেমব্লি ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। এতে কলেজ শাখার প্রতিনিধিত্বকারী সবুজ দলের ক্যাপ্টেন আফরোজা আক্তার (একাদশ- বিজ্ঞান) এবং স্কুল শাখার প্রতিনিধিত্বকারী লাল দলের ক্যাপ্টেন সুৃমাইয়া শিমু (দশম- বাণিজ্য) । খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয় সানজিদা আক্তার (সপ্তম- মেঘনা)। অন্যদিকে সকল শ্রেণীর শিশু-কিশোরদের শাখা ভিত্তিক চিত্রাংকন ও নির্বাচিত শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল সাড়ে দশটায় প্রতিষ্ঠানের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের কুরআন তেলাওয়াতের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদ ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে আমাদের বিরচিত মুক্তিযোদ্ধ ও স্বাধীনতার বীরত্ব গাঁথা নিয়ে গুরূত্বপূর্ণ আলোচনা করেন গভার্নিং বডির সম্মানিত সদস্য মো. আলমগীর হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট, সুরকার ও গীতিকার অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ্‌ বলেন, “বিজয় দিবসের তাৎপর্য যদি বুকে মধ্যে ধারন করা না যায় তাহলে বিজয় দিবস পালনের কোন অর্থ থাকেনা। দেশ স্বাধীনের পরে বিভিন্ন চক্রান্তের কারণে সেই চেতনা সঠিকভাবে ধারণ করতে আমরা অনেকেই ব্যর্থ হয়েছি বলেই আমাদের চুড়ান্ত বিজয় এখনো অর্জিত হয় নি। অথর্নৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক মুক্তি অর্জিত হয়নি। কারণ বিভিন্ন সময় আমরা বাধা গ্রস্ত হয়েছি, পিছপা হয়েছি, চেতনাহীন রয়েছি, যড়যন্ত্রে শিকার হয়েছি। আমরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পরিপূর্ণতা ও সম্বৃদ্ধি লাভ করতে পারিনি। সাংস্কৃতিকভাবেও এখনো আমাদের উপর অনেক আগ্রাসন ছলছে। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আমরা ধরে রাখতে পারিনি, চর্চা করতে পারিন, সম্বৃদ্ধ করতে পারিনি, বিকশিত করতে পারিনি, উজ্জল করতে পারিনি, শাণিত করতে পারিনি, অন্যদের কাছে আমাদের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে পারিনি বলেই অন্যদের সাংস্কৃতি আজ আমাদের উপর ঝেকে বসেছে। এখন গানের মাধ্যমে আফসোস করে আমরা বলি- একতারা বাজাইও না, দোতারা বাজাইও না। একতারা বাজাইলে মনে পড়ে যায় একদিন বাঙালী ছিলাম রে। তার মানে সাংস্কৃতিতে আজ আমরা অনেকাংশে অবাঙালি হয়ে গেছি।

তিনি আরও বলেন, এখন অনুকূল পরিবেশ হয়েছে, এখন আমাদের সচেতন হবার সময়। এখন সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ হয়েছে। এখন আমাদের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা শত্রুদের আমরা চিনতে পারছি। তাদের বিচার করতে পারছি। ডিজিটাল দেশের অবাধ তথ্যপ্রবাহের সুযোগে তাদের স্বরূপ উন্মুচিত হচ্ছে। এখন আমাদের সক্রিয় হবার সময়। সবগুলো মানুষ একটু একটু করে নিষ্কৃয় হলে পুরো জাতি নিষ্কৃয় হয়ে যায়। আবার সবগুলো মানুষ একটু একটু করে সক্রিয় হলে পুরো জাতি সক্রিয় হয়ে যায়। তাই আমাদের শিক্ষার্থীরা সচেতন হবে, আমাদের শিক্ষার্থীরা সক্রিয় হবে, পুরো জাতিকে পথ দেখাবে, আলোকিত করবে, ৭১ এর স্বাধীনতার পূনর্তা আনবে।”
আলোচনা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের শিক্ষার্থীদের মাঝে অধ্যক্ষের সাথে পুরস্কার বিতরণ করেন কলেজ শাখার ইনচার্জ আফরোজা বেগম, বিদ্যালয় দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আইয়ুব আলী, প্রভাতি শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব রিতা মমতাজ, কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি জনাব বিমান কুমার চক্রবর্ত্তী, গভার্নিং বডির সম্মানিত সদস্য জনাব মুজিবুল হক ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

http://m.dainikshiksha.com/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC/130643/?fdx_switcher=true

শিশুতোষ গল্প- 'টুনটুনির ছানা'

শিশুতোষ গল্প- 'টুনটুনির ছানা'

টুনটুনির ছানা


মো. রহমত উল্লাহ্‌


বাড়ির উঠানে বেগুন গাছ। উঠানে খেলা করে মুনা। খেয়াল করে টুনটুনির আনাগুনা। দু’টি টুনটুনি। ফুড়ুত ফুড়ুত আসে। বেগুন গাছে বসে। লুকায় পাতার নিচে। চুপচাপ থাকে। আবার ফুড়ুত ফুড়ুত যায়। গাছের কাছে যায় মুনা। দেখে, টুনটুনির বাসা। অনেক খুশি হয় সে।


কয়েকদিন পর। বাসা দেখতে আসে মুনা। ফুড়ুত ফুড়ুত। উড়ে যায় টুনটুনি। মুনা উঁকি দেয় বাসায়। দেখে, সাদা দু’টি ডিম। ওয়াও! আরো খুশি হয় সে।


আরো কয়েকদিন পর। ডিম দেখতে আসে মুনা। ফুড়ুত ফুড়ুত। উড়ে যায় টুনটুনি। মুনা উঁকি দেয় বাসায়। দেখে, ফুটফুটে দু’টি ছানা। আলুর মতোগোল গোল। লালচে গায়ের রং।  দেখা যায় নাপা। ইঁদুরের মতো হা করে। চিঁউ চিঁউ করে।ওয়াও! আরো খুশি হয় সে। মনেমনে বলে, বড় হোক। তারপর নিবো।  খাঁচায় রাখবো।  খাবার দিবো। পানি দিবো। লালন করবো।


কিছুদিন পর। ছানাদের দেখতে আসে মুনা। ফুড়ুত ফুড়ুত। উড়ে যায় টুনটুনি। মুনা উঁকি দেয় বাসায়। দেখে, বড় হয়নি ছানারা। কিছুটা লুম হয়েছে গায়ে। তালের শুকনা বিচির মতো। কিছুটা বাদামি হয়েছে রং। নাড়ানাড়ি করে পাখা। হা করে বার বার। ডাকে চিঁউ চিঁউ করে। ওয়াও, ওয়াও! খুব ভালো লাগে মুনার। কথা বলেনিজে নিজে। আরো বড় হোক। তারপর নিবো।


আরো কিছু দিন পর। ছানাদের দেখতে আসে মুনা। ফুড়ুত ফুড়ুত। উড়ে যায় টুনটুনি। মুনা উঁকি দেয় বাসায়। দেখে, ছানাদের।  কিছুটা বড় হয়েছে ছানারা। বড় হয়েছে গায়ের লুম। খড়ের মতোহয়েছে রং। কিছুটা বড় হয়েছে পালক। ওয়াও, ওয়াও!  আরো ভালো লাগে মুনার। কথা বলেএকা একা। আর একটুবড় হোক। তারপরই নিয়ে নিবো। রাখবো ভাইয়ার খাঁচাটায়।  খালিইতো পড়ে আছে সেটি।  চমক লাগাবো ভাইয়াকে।


দু'একদিন পর। ছানাদেরনিতে আসে মুনা। উড়ে না টুনটুনি। করেনা ফুড়ুত ফুড়ুত। মুনা উঁকি দেয় বাসায়। না, ছানারা নেই।আফসোস করে।  ইস, চলে গেছে। সেদিন নিয়ে নিতাম যদি। মন খারাপ হয় মুনার। অনেক দিনের সখ। পাখি লালন করবে। রাখবে খঁচায়। খাবার দিবে। পানি দিবে। কাছে থেকে দেখবে। কীভাবে খায়। কীভাবে ডাকে। কীভাবে খেলা করে। তা আর হলো না। ভাবে, কী করা যায় এখন।জাগে অনেক রাত।


পরদিন সকাল। উঠানে বসে আছে মুনা। দূরে রেখেছে পাখির খাঁচাটা। খুলে রেখেছে খাঁচার দুয়ার। ভিতরে দিয়েছে পাখিদের খাবার। তাকিয়ে আছে খাঁচার দিকে। আসে কি না পাখি। ঢুকে কি না খাঁচায়। দেখে, একটি পাখি এসেছে। খুব খুশি হয় মুনা। খাঁচার পাশে বসে পাখিটা। তাকায় খাঁচার দিকে। খাবার দেখে। খাঁচায় ঢুকে না। উড়ে যায় দূরে। মন খারাপ হয় মুনার।


তার পরদিন সকাল। উঠানে বসে আছে মুনা। গত দিনের মতো। দূরে রেখেছে পাখির খাঁচা। খুলে রেখেছে খাঁচার দুয়ার। ভিতরে দিয়েছে পাখিদের খাবার। আসেপাশেও দিয়েছে কিছু। তাকিয়ে আছে খাঁচার দিকে। আসে কি না পাখি। ঢুকে কি না খাঁচায়। দেখে, দু’টি পাখি এসেছে। বসেছে খাঁচার পাশে। খেয়ে চলেছে খাবার। খুব খুশি হয় মুনা। পাখিরা ডাকাডাকি করে। আরো পাখি আসে। খাবার খায়। নাচানাচি করে। আরো খুশি হয় মুনা। খেলা করে পাখিরা। তবে খাঁচায় ঢুকে না। উড়ে যায় খাবার শেষে।


এভাবেই চলে কিছুদিন। আসে অনেক পাখি। খুশি হয় মুনা। ভাব হয় পাখিদের সাথে। সে কাছে যায় পাখিদের। উড়ে যায়না পাখিরা। ভয় পায়না তাকে। আপন হয় তারা। অনেক ভালো লাগে মুনার। ভালোলাগে পাখিদের উড়া উড়ি।


বেশ কয়েকদিন পর। টুনটুনি আসে বেগুন গাছে। খেয়াল করে মুনা। ভাবে অনেক কিছু। টুনটুনি আবার ডিম দিবে। আবার ছানা হবে। ছানারা বড় হবে। আকাশে উড়ে যাবে।  ছানাদের ধরবে নামুনা। আটক করবে না খাঁচায়।<


[সংশোধিত- ডিসেম্বর ২০১৭]


(শিশুদের জন্য লেখা যুক্তবর্ণ বিহীন এই গল্পটির কোন বাক্যে ৪টির অধিক শব্দ নেই।)

শিশুতোষ গল্প- শহিদমিনার

শিশুতোষ গল্প- শহিদমিনার

শহিদমিনার

মো. রহমত উল্লাহ্

ফুল জোগাড় করছে তিনজনে। বাড়ির পাশেই শিমুল গাছ। গাছের নিচে অনেক ফুল। তবে এগুলো তাজা নয়। তাজা ফুল চাই। শহিদমিনারে যাবে কাল। খুব ভোরে। ফুল দিবে। কী করা যায়। অনেক বড় শিমুলগাছ। সব ফুল আগডালে। গাছেই উঠা যায়না। আগডালে যাওয়াতো দূরের কথা। কী করা যায়? এগিয়ে যায় বাঁশবাগানের দিকে।



বিশাল বাঁশবাগান।পাখিদের কলরব। এখানে কয়েকটা পলাশগাছ। বেশি বড় হয়নি এখনো। তবে ফুল দিয়েছে অনেক। লাল টকটকে ফুল। আগুনের মতো ঝলঝল করে। মন ভরে উঠে। তবে হাতের নাগালে নয়। সামান্য উপরে। একটা চিকন ডাল। এতে অনেক ফুল। নাগাল পাওয়া যায় না। কী করা যায়?



নাসিফেরকাঁধে উঠে নায়িম। নাসিফ মোটা। নায়িম পাতলা। বয়সে প্রায় সমান। সাত কি আট। সে তুলনায় ছোট মুনা। তবে সে চালাক বেশি। খুব হাসিখুশি। সে-ই বলেছে, কাঁধে উঠো। নাসিফের কাঁধে নায়িম। নায়িমের নাগালে পলাশ ফুল। ছিড়ে আর ছিড়ে। দেয় মুনার হাতে। সবাই খুব খুশি। নেমে আসে নায়িম। অনেক ফুল। ভাগাভাগি করে তিনজনে। তবে আরো ফুল চাই। অন্য ফুল। কী করা যায়? কী করা যায়? মুনা বলে, বাড়ি চলো। এখনই রাত হবে।



বাড়ি ফিরছে তিনজন। পথের পাশে রানিদের বাড়ি। তাদের কলপাড়ে ফুলগাছ। জবাফুল। অনেক ফুটেছে। লাল হয়ে আছে গাছ। নুয়ে আছে মাটির কাছাকাছি। দৌড়ে যায় মুনা। ছিঁড়ে নেয় জবাফুল। অনেক গুলো নেয়। ভাগাভাগি করে। হাঁটা দেয় বাড়ির দিকে। কথা হয় আবার। দেখা হবে কাল ভোরে।



পরদিন সকাল। একশে ফেবরুয়ারি। শহিদদিবস। বটতলায় মিলে তিনজনে।  হাতে হাতে ফুল। তাড়াতাড়ি হাঁটে। দেরি হয়ে গেছে। সবার আগে মুনা। আসে খালের পাড়ে। ওপারে কলেজ। কলেজের মাঠে শহিদমিনার। যেতে হবে সেখানে। এপারে নেই তেমন কিছু। মাত্র কয়েকটা বাড়ি। খালের উপরে বাঁশের সাঁকু। খুঁটির উপরে একটামাত্র বাঁশ। এতেই যাওয়া আসা। বড়রা একা একা পারে। ছোটরা একা একা পারেনা। যেতে হয় বড়দের সাথে। হাত ধরে ধরে।



পথের দিকে তাকায় তিনজনে। আসেন কিনা বড়রা কেউ। নাহ, কেউ আসে না। চলে গেছে সবাই। পার হওয়া যাবে না সাঁকু। যাওয়া যাবে না ওপারে। ফুল দেওয়া হবে না শহিদমিনারে। কী করা যায়? কী করা যায় এখন? মুখ খুলে মুনা। চলো আমাদের বাড়ি যাই। দেখি, কী করা যায়। হাঁটে মুনাদের বাড়ির দিকে।



মুনাদের বাড়ির উঠান। খুঁটি গাড়ে তিনজনে মিলে। তিনটি খুঁটি পাশাপাশি। মাঝে বড় একটি। দুইপাশে ছোট দুইটি। মায়ের ওড়না আনে মুনা। কালো ওড়না। ছড়িয়ে দেয় খুঁটির উপর। মনে হয় শহিদমিনার। এতেই ফুল দেয় তিনজনে। দাঁড়িয়ে থাকে চুপচাপ। মুখ খুলে নায়িম। এমন হবে না আগামী বছর। আগেই বানাবো শহিদমিনার। মাঠের বটতলায়। বানাবো আরো ভালো করে। ফুল দিবো সেখানেই। নাসিফ বলে, তাই হবে। সেখানেই ফুল দিবো প্রতিবার। মুনা বলে, তাই হবে। সবাইকে নিবো আমাদের সাথে।<


[সংশোধিত- নভেম্বর ২০১৭]


 (শিশুদের জন্য লেখা এই গল্পের কোন বাক্যে ৪ টির বেশি শব্দ নেই এবং কোন শব্দে যুক্তবর্ণ নেই।)

শিশুতোষ গল্প- 'পাখি তাড়ানো'

শিশুতোষ গল্প- 'পাখি তাড়ানো'

পাখি তাড়ানো


মো. রহমত উল্লাহ্


পাখি তাড়ায় পনির। কয়েকদিন ধরে এটি তার কাজ। সকাল, দুপুর, বিকেল। পাখি আসে ঝাঁকে ঝাঁকে। ছোট ছোট পাখি। খেয়ে যায় ধান। পাকাধান যেন সোনার দানা। জমির আইলে পনির। হাততালি দেয় জোরে। উড়ে যায় কাছের পাখিরা। গিয়ে বসে আরেক পাশে। শুরু করে ধান খাওয়া। পনির যায় সেখানে। হাততালি দেয় আবার। উড়ে যায় সেখানের পাখি। বসে গিয়ে আরেক পাশে। শুরু করে ধান খাওয়া। পনির যায় সেই পাশে। হাততালি দেয়। হিস... করে। পাখিরা যায় আগের পাশে। এভাবেই চলে তার কাজ। খুব রাগ ধরে। ইস, ভালো লাগে না। কবে যে কাটা হবে ধান। আর কত ছোটাছুটি। আর কত হাততালি।



পরদিন। আইলে দাঁড়ায় পনির। বাঁশি বাজায়। পুর, পুর, পুর...। উড়ে যায় পাশের পাখিরা। বসে গিয়ে আরেক পাশে। সেই পাশে যায় পনির। বাঁশি বাজায় আবার। আগের পাশে যায় পাখি। এভাবেই চলে। পনিরের পাখি তাড়ানো। আর পাখিদের ধান খাওয়া। কী করবে, ভাবে পনির। ভাবে আর পাখি তাড়ায়। লেগে যায় পানি পিপাসা। পনিরের বয়স আট বছর। গায়ের রং ফরসা। সুঠাম দেহ। কালো চুল। ডাগর চোখ। বড় কান। সবল হাত। উঁচু বুক। মজবুত পা। 



পরদিন। গুলতি নিয়ে আসে পনির। চুপচাপ বসে থাকে আইলে। উড়ে আসে পাখির দল। খাওয়া শুরু করে ধান। পনির তাক করে গুলতি। ছোট ছোট অনেক পাখি। লাগবে কোনোটার গায়ে। জোরে টানে রাবার। ছুড়ে মারবেল গুলি। উড়ে যায় পাখির দল।  খেতের ভিতর যায় পনির। দেখে ছটফট করছে চড়ুই। পনির হাতে নেয় সেটি। অনুতাপ লাগে। চড়ুই তার খুব প্রিয়। বাসা বাঁধে ঘরের চালায়। তাদের ঘরেও আছে বাসা। জানালায় বসে। উঠানে নামে। খাবার খায়। খেলা করে দুটি চড়ুই। মাতিয়ে রাখে বাড়ি। খুব ভাল লাগে পনিরের। আহত চড়ুই নিয়ে যায় বাড়িতে। খুব মায়া লাগে তার। তাকিয়ে থাকে। সেবা করে। পানি দেয় মুখে। খাবার দেয়। সময় নেয়। আবার পানি দেয়। খাবার দেয়। সারিয়ে তুলে। ভালো লাগে। উড়িয়ে দেয় আকাশে। ভাবে, পাখিদের আঘাত করবে না আর।



পরদিন। পনির আসে পাখি তাড়াতে। তাকে দেখেই ভয় পায় পাখি। উড়ে যায় দূরে। যেন পাখিদের মনে পড়ে গতদিন। আবাক হয় সে। বিপদের কথা ভুলে না পাখিরা। তাইতো। হুম। একটা কাজ করা যাক তাহলে। নতুন কৌশল আসে মাথায়। শুরু করে কাজ। যেই ভাবনা সেই কাজ। দু’টি লাঠি আনে। একটি দড়ি আনে। একটি লাঠি গাড়ে ধানখেতে। গাড়ে খাড়া করে। সেটিতে বাঁধে আরেকটি লাঠি। ভূমির সমান করে। লাঠিতে পরায় নিজের জামা। ঝুলিয়ে দেয় গুলতিটা। হয়ে যায় কাকতাড়োয়া। যেন দাঁড়িয়ে আছে পনির। দু’হাত ছড়িয়ে। খেতের মাঝ খানে। পনিরের মতো কাকতাড়োয়া।



পনির ফিরে আসে আইলে। বসে থাকে ঘাপটি মেরে। সে এখন খলি গায়ে। পাখিরা আসে। দেখতে পায় না তাকে। দেখে কাকতাড়োয়া। খেতের মাঝ খানে। দেখে পনিরের জামা। ভাবে এটিই পনির। ভয় পায়। গুলতির গুলির ভয়। চলে যায় তাড়াতাড়ি। আরো পাখি আসে। দেখে কাকতাড়োয়া। ভাবে এটিই পনির। ভয় পায়। উড়ে যায় দূরে। নামে না ধানখেতে। ভয়ে চলে যায় সব পাখি। খায় না পাকা ধান। সফল হয়েছে পনিরের কৌশল। সহজ হয়েছে পাখি তাড়ানো। নিজেকে বিজয়ী ভাবে পনির। বাড়িতে ফিরে যায় ভাবনাহীন।<


[সংশোধিত- নভেম্বর ২০১৭]


(শিশুদের জন্য লেখা এও গল্পটির কোন শব্দে যুক্তবর্ণ নেই এবং কোন বাক্যে ৪ টির বেশি শব্দ নেই।]

শিশুতোষ গল্প- মেলার ঘুড়ি

শিশুতোষ গল্প- মেলার ঘুড়ি

মেলার ঘুড়ি

মো. রহমত উল্লাহ্

বকুলদের বাড়ির কাছেই ফাঁকা মাঠ। মাঠের বটতলায় বসে বৈশাখী মেলা। পাশের নদীতে হয় নৌকা বাইচ। মেলায় আসেন অনেক মানুষ। ছোট, বড়, ছেলে, মেয়ে সবাই। খুব আনন্দ হয় এখানে।


আজ  পহেলা বৈশাখ। মেলায় এসেছে বকুল। সাথে আছেন বাবা ও ভাইয়া। বকুল অনেককিছু কিনবে আজ। যা চাইবে তাই কিনে দিবেন বাবা। কেননা, শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে সে। এমনই কথা ছিলো বাবার সাথে।


প্রথমেই নাগরদোলায় চড়ে বসলো তিনজন। কেঁও কেঁও শব্দ করে ঘুরতে লাগলো নাগরদোলা। ভয়ে কাঁপছে বকুল। সবার উপরে উঠে গেলো তারা। বাঃ, কী সুন্দর মেলার দৃশ্য!


নিমিষেই কেটে গেলো বকুলের ভয়।


এর পর এলো নদীর তীরে। নদীতে চলছে নৌকা বাইচ। ছুটে আসছে দীর্ঘ-চিকন নৌকা। হেইও হেইও করছে মাঝির দল। ছফাত ছফাত করে পানিতে পড়ছে বৈঠা। জোরছে বাজছে ঢোল-বাঁশি, পড়ছে হাততালি। নেচে গেয়ে ফুরতি করছে সবাই! ছুটছে অনেক নৌকা। দেখাযাক, কার আগে কে যায়।


মাথায় ময়ূর বানানো নৌকাটি হয়েছে প্রথম। বাবা বললেন, এটির নাম ‘ময়ূরপংখি’ নৌকা।গ


তার পর সারকাস দেখতে এলো বকুল। নিমিষেই দেখা হয়ে গেলো অনেক জায়গা। সুন্দরবন, সোনার গাঁ, পাহাড়পুর, ময়নামতি...। আরো দেখলো- লালবাগ কেল্লা, যাদুঘর, চিড়িয়াখানা...।


বকুল বললো-  ‘খুব সুন্দর, তুমিও দেখো ভাইয়া’। বড়দের মতো ভাব দেখালো ভাইয়া। বললো- ‘আমি এসব দেখেছি অনেক’।


বাঁশির দোকানে এলো এর পর। একটা বাঁশি হাতে নিলো ভাইয়া। পোঁ করলো বকুলের কানের কাছে। ভাইয়ার পেটে ঘুষি দিলো বকুল। নিজের ও ভাইয়ার জন্য কিনলো অনেক কিছু। বাঁশের বাঁশি, পাতার বাঁশি, বেলুন বাঁশি, শামুক বাঁশি।


এবার মাটির জিনিসের দোকানে এলো বকুল। কিনলো নানান রকম পুতুল। হা করা বাঘ, পাল তোলা নৌকা, পাখা মেলা দোয়েল...।


ভাগাভাগি করে নিলো ভাইয়ার সাথে।


পাশেই কাঠের জিনিসের দোকান। কত রকম খেলনা যে আছে এই দোকানে! পশু, পাখি, ঢেঁকি, পিঁড়ি, পালকি, লাটিম, বেলনা... । অনেক খেলনা কিনলো ভাইয়া।


বকুলকে দিলো গরুগাড়ি। বাবাকে দিলো শহিদমিনার।


তার পর কিনতে এলো বাঁশ-বেতের জিনিস। মায়ের জন্য কিনলো অনেক জিনিস। ঝুড়ি, পুড়া, ডালা, কুলা, খাড়ি, পাখা, চালনি...।


মাটির ও কাঠের খেলনা গুলো ঝুড়িতে রাখলো বকুল।


এর পর এলো শুকনা খাবারের দোকানে। কিনলো অনেক শুকনা খাবার। চিড়া, মুড়ি, মুড়কি, মোয়া, মনডা, খাজা, গজা, মুড়ালি...।


বাবা বললেন: ‘খুব ভালো খাবার এসব। নিজেরাও খাওয়া যাবে, মেহমানকেও দেওয়া যাবে’।


একটা মনডার অর্ধেক বকুলের মুখে পুরে দিলো ভাইয়া।


ঘুড়ির দোকানে এলো সব শেষে। আকাশে উড়ছে নানা রকম ঘুড়ি। মাছ-ঘুড়ি, পাখি-ঘুড়ি, প্রজাপতি-ঘুড়ি...। সুতাভর্তি লাটাই আর প্রজাপতি-ঘুড়ি কিনলো ভাইয়া।


ফেরিওয়ালার নিকট থেকে চারটি বেলুন কিনলো বকুল।


এবার বাড়িতে ফিরছে তারা। ফিরার পথে ফসলের ফাঁকা মাঠ। ঘুড়ি উড়াতে চাইলো ভাইয়া। অনুমতি দিলেন বাবা।


ঘুড়ি উড়াতে লাগলো ভাইয়া। সূতা ছাড়ছে তো ছাড়ছে। আকাসে অনেক দখিনা বাতাস। অনেক উপরে ভাইয়ার ঘুড়ি। অনেক হাসি ভাইয়ার মুখে।


হঠাৎ ছিড়ে গেলো সুতা!


ঘুড়ির পিছনে ছুটছে ভাইয়া। সাথে ছুটছেন বাবা। ভাইয়া..., বাবা... বলে চিৎকার করছে বকুল। খুব জোরছে ছুটছে ভাইয়া। পড়ছে, উঠছে আবার ছুটছে!


অবশেষে নিচে নেমে এলো ঘুড়ি। মাটিতে পড়ার আগেই লাফিয়ে ধরলো ভাইয়া। ফিরে এলো জয়ের খুশিতে নেচে নেচে। হাতে করে নিয়ে এলো ঘুড়ি। হাঁপাতে হাঁপাতে এলেন বাবা। বললেন, ‘বসো, এবার জিরিয়ে নিই’। তাকালেন ভাইয়ার দিকে। দেখলেন, ছুলে গেছে ভাইয়ার হাঁটু আর কনুই! রাগ করলেন ভাইয়ার সাথে। এখন ভাইয়া অনূভব করলো সেই আঘাতের ব্যথা! চোখ মুছলো বার বার।


বকুল বললো, ‘কী দরকার ছিলো এতো ছুটার? আরেকটি ঘুড়ি কিনলেই হতো।’


ভাইয়া বললো, ‘সেটি কি আর এটি হতো?’


বাড়িতে এসে, মাকে সবকিছু খুলে বললো বকুল। মা জড়িয়ে ধরে আদর করলেন ভাইয়াকে। আবার হাসি ফুটে উঠলো ভাইয়ার মুখে। ঘুড়ি ফিরে পাওয়ার সেই হাসি! //


[সংশোধিত- নভেম্বর ২০১৭]


(শিশুদের জন্য লেখা এই গল্পটির কোন শব্দে যুক্তবর্ণ নেই এবং কোন বাক্যে ৭ টির বেশি শব্দ নেই।)