কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে বিজয় দিবস উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক | দৈনিক শিক্ষা ডটকম। ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭ | স্কুল
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পূর্তিতে আনন্দ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, কবিতা আবৃতি, রচনা লিখন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল অ্যাসেমব্লি ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। এতে কলেজ শাখার প্রতিনিধিত্বকারী সবুজ দলের ক্যাপ্টেন আফরোজা আক্তার (একাদশ- বিজ্ঞান) এবং স্কুল শাখার প্রতিনিধিত্বকারী লাল দলের ক্যাপ্টেন সুৃমাইয়া শিমু (দশম- বাণিজ্য) । খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয় সানজিদা আক্তার (সপ্তম- মেঘনা)। অন্যদিকে সকল শ্রেণীর শিশু-কিশোরদের শাখা ভিত্তিক চিত্রাংকন ও নির্বাচিত শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল সাড়ে দশটায় প্রতিষ্ঠানের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের কুরআন তেলাওয়াতের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদ ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে আমাদের বিরচিত মুক্তিযোদ্ধ ও স্বাধীনতার বীরত্ব গাঁথা নিয়ে গুরূত্বপূর্ণ আলোচনা করেন গভার্নিং বডির সম্মানিত সদস্য মো. আলমগীর হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট, সুরকার ও গীতিকার অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ্ বলেন, “বিজয় দিবসের তাৎপর্য যদি বুকে মধ্যে ধারন করা না যায় তাহলে বিজয় দিবস পালনের কোন অর্থ থাকেনা। দেশ স্বাধীনের পরে বিভিন্ন চক্রান্তের কারণে সেই চেতনা সঠিকভাবে ধারণ করতে আমরা অনেকেই ব্যর্থ হয়েছি বলেই আমাদের চুড়ান্ত বিজয় এখনো অর্জিত হয় নি। অথর্নৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক মুক্তি অর্জিত হয়নি। কারণ বিভিন্ন সময় আমরা বাধা গ্রস্ত হয়েছি, পিছপা হয়েছি, চেতনাহীন রয়েছি, যড়যন্ত্রে শিকার হয়েছি। আমরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পরিপূর্ণতা ও সম্বৃদ্ধি লাভ করতে পারিনি। সাংস্কৃতিকভাবেও এখনো আমাদের উপর অনেক আগ্রাসন ছলছে। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আমরা ধরে রাখতে পারিনি, চর্চা করতে পারিন, সম্বৃদ্ধ করতে পারিনি, বিকশিত করতে পারিনি, উজ্জল করতে পারিনি, শাণিত করতে পারিনি, অন্যদের কাছে আমাদের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে পারিনি বলেই অন্যদের সাংস্কৃতি আজ আমাদের উপর ঝেকে বসেছে। এখন গানের মাধ্যমে আফসোস করে আমরা বলি- একতারা বাজাইও না, দোতারা বাজাইও না। একতারা বাজাইলে মনে পড়ে যায় একদিন বাঙালী ছিলাম রে। তার মানে সাংস্কৃতিতে আজ আমরা অনেকাংশে অবাঙালি হয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, এখন অনুকূল পরিবেশ হয়েছে, এখন আমাদের সচেতন হবার সময়। এখন সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ হয়েছে। এখন আমাদের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা শত্রুদের আমরা চিনতে পারছি। তাদের বিচার করতে পারছি। ডিজিটাল দেশের অবাধ তথ্যপ্রবাহের সুযোগে তাদের স্বরূপ উন্মুচিত হচ্ছে। এখন আমাদের সক্রিয় হবার সময়। সবগুলো মানুষ একটু একটু করে নিষ্কৃয় হলে পুরো জাতি নিষ্কৃয় হয়ে যায়। আবার সবগুলো মানুষ একটু একটু করে সক্রিয় হলে পুরো জাতি সক্রিয় হয়ে যায়। তাই আমাদের শিক্ষার্থীরা সচেতন হবে, আমাদের শিক্ষার্থীরা সক্রিয় হবে, পুরো জাতিকে পথ দেখাবে, আলোকিত করবে, ৭১ এর স্বাধীনতার পূনর্তা আনবে।”
আলোচনা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের শিক্ষার্থীদের মাঝে অধ্যক্ষের সাথে পুরস্কার বিতরণ করেন কলেজ শাখার ইনচার্জ আফরোজা বেগম, বিদ্যালয় দিবা শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ আইয়ুব আলী, প্রভাতি শাখার সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব রিতা মমতাজ, কলেজ শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি জনাব বিমান কুমার চক্রবর্ত্তী, গভার্নিং বডির সম্মানিত সদস্য জনাব মুজিবুল হক ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
http://m.dainikshiksha.com/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%B2%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC/130643/?fdx_switcher=true
0 মন্তব্য(গুলি):