গান- ভেজালের এই দুনিয়ায়

গান- ভেজালের এই দুনিয়ায়

<আধ্যাত্মিক গান>


 


ভেজালের এই দুনিয়ায়


ঈমান রাখাই হচ্ছে দায়।


দয়াকরে দয়াল তুমি


মাফ করো আমায়।।


 


নিত্যদিনের খাওয়াপরা


হয়না সঠিক জীবন ধারা।


একটুখানি সুখে-দুখে


মনটা তোমায় ভুলেযায়।।


 


মিথ্যা আমায় ঘিরে ধরে


সন্ধ্যা-সকাল, বাইরে-ঘরে।


সত্য পথে থাকতে টিকে


আল্লাহ্ তুমি হও সহায়।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


ফোন-  +8801711147570


[রচনা- ২৫ অক্টোবর ২০০২। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- পাপি তাপি বান্দা আমি

গান- পাপি তাপি বান্দা আমি

<আধ্যাত্মিক গান>


 


পাপি তাপি বান্দা আমি


আল্লাহ্ হও সহায়।


মনটা বশে রাখার মতো


শক্তি দাও আমায়। ।।


 


যখনই চাই মগ্ন হতে


ধর্ম-কর্ম ইবাদতে।


দুনিয়ারই কথা শুধু-


মনে পড়ে যায়। ।।


 


হাত বাড়ালে  দান-খয়রাতে


মনটা বলে কৃপন হতে ! 


যাবেনা ধন পরপারে-


মনে ভুলে যায়। ।।


 


গীতিকার-  মো. রহমত উল্লাহ্‌


ফোন:  +8801711147570


(নিজ সুর ও সংশোধন- ১২ ফেব্রুআরি ২০১৭, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।)


[রচনা- ২৩ মে ২০০৯। মিরপুর, ঢাকা]

গান- বিধি তোমার বিধান বুঝিনা

গান- বিধি তোমার বিধান বুঝিনা

>আধ্যাত্মিক গান<


 


বিধি তোমার বিধান বুঝিনা-


হাতে পায়ে শিকল দিয়া


খেলা করো আমায় নিয়া!


এই খেলার মর্ম জানিনা।।


 


পাগলা ঘোড়া মনটা দিলা


লাগাম ছাড়া বানতে দিলা।


মনের মাঝে লুকাইলা


চোখের দেখা দিলানা।।


 


নিয়ম ছাড়া ইচ্ছা দিলা


নিয়ম ধরে চলতে দিলা।


এতো নামে ডাকতে দিলা


সরব সাড়া দিলানা।।


 


আশার মাঝে নিরাশ দিলা


সুখের মাঝে দুঃখ দিলা।


পরান পাখি দিয়া দিলা


রাখার সাধ্য দিলানা।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্


ফোন- +8801711147570


[রচনা- ০৮ এপ্রিল ১৯৯৫। পলাশ, নরসিংদী। 


প্রথম প্রচার- ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০১ মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৭.৫মিনিট। ]


গান- দয়াকরে দয়াল তুমি পাড় করো

গান- দয়াকরে দয়াল তুমি পাড় করো


<আধ্যাত্মিক গান>


 


দয়া করে দয়াল তুমি


পার করো আমায়।


তুমি ছাড়া অকুল নদী


পারের কী উপায়?।।


 


নাইযে আমার হাতে কড়ি


ভুল করেছি জীবন ভরি।


খেয়াঘাটে এসে আমার


কান্দিয়া দিন যায়।।


 


আপন আপন ভাবছি যারে


তারাতো আজ আপন নারে।


আপনারে সঁপে দিলাম


দয়াল তোমার পায়।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


 


[রচনা- ১৯৯৫। পলাশ, নরসিংদী। প্রথম ও দ্বিতীয় প্রচার: ১৮ আগস্ট ২০০২ বিকাল ৪.৩৫মিনিট এবং ১৮ জুন ২০০৪ রাত ৭.৫০মিনিট। বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা 'ক' ও 'খ'। শিল্পী- আবুল কালাম আজাদ]

গান- ভালোবাসি পাখি আমি

গান- ভালোবাসি পাখি আমি

 


<দেশের গান>


 


ভালোবাসি পাখি আমি


ভালোবাসি বাংলাদেশ।


এইতো আমার জন্মভূমি


এইতো আমার মায়ের দেশ।


 


পাখির গানে সূর্য ওঠে


মনের বনে গোলাপ ফুটে।


দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা


পায়রা কোকিল নেইকো শেষ।।


 


সকাল হলে মোরগ ডাকে


মাতায় ঘুঘু দুপুরটাকে।


বিকেল শয়ন সাঁঝের বেলা


পাখির মেলায় রইতো বেশ।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- মে ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- সবার হৃদয়ে তোল বৈশাখী ঝড়

গান- সবার হৃদয়ে তোল বৈশাখী ঝড়


<দেশের গান>


 


সবার হৃদয়ে তোল বৈশাখী ঝড়


দাও ভেঙে দাও


অত্যাচারীর বুকের পাঁজর।।


 সমাজের কালো মেঘ দাও উড়িয়ে


হায়েনার আস্তানা দাও গুঁড়িয়ে।


মানবতাবিরোধীর হোক কবর।।


 


লোভীদের লালসার হোক অবসান


খুনিদের কালো হাত করো নিষ্প্রাণ।


অশান্তিকারীদের ছুঁড় পাথর।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০

গান- রাহুগ্রাসে পড়েযায় দেশটা

গান- রাহুগ্রাসে পড়েযায় দেশটা

 


<দেশের গান>


 


রাহুগ্রাসে পড়েযায় দেশটা


পরিনতি ভেবে কাঁদে মনটা।


দেশটাকে বাঁচাতে হলে ভাই


ভালোদের একতা চাই-ই চাই।।


চলবেনা চোখ বুঁজে রাখলে


না শুনার ভান করে থাকলে।


কাল এসে তোমাকেও ধরবে


এখনই প্রতিবাদ করো ভাই।।


 


আপোষের নেই কোন যুক্তি


আগামীর মিলবেনা মুক্তি।


প্রজন্ম তোমাকেই দোষবে


প্রতিরোধ ছড়া আর পথ নাই।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০

গান- মাতৃভূমি মা, আমায়

গান- মাতৃভূমি মা, আমায়

 


<দেশের গান>


 


মাতৃভূমি মা


আমায় ক্ষমা করো মা।


তোমায় ছেড়ে আর কোনদিন


চলে যাবোনা।।


 


সুখের আশায় বিদেশ গেলাম


অবহেলাই বেশি পাইলাম !


তোমার বুকের ছায়া-মায়া


কোথাও পাইলাম না।।


 


কতই সুরে কন্ঠ দিলাম


কত ভাষায় কথা কইলাম।


তোমার মুখের মধুর ভাষা


কোথাও পাইলাম না।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০

গান- বাংলা আমার জন্মভূমি

গান- বাংলা আমার জন্মভূমি

<দেশের গান>


 


বাংলা আমার জন্মভূমি


আপন ঠিকানা


আমার দেশের সাথে কারো


হয়না তুলনা।।


 


ফুলে-ফলে নদীর জলে


বাঁচি নিরন্তর


লাল-সবুজে মিশে থাকে


আমারই অন্তর।


এমন মধুর ছায়া-মায়া


কোথাও মিলে না।।


 


সুখে-দুখে দেশের বুকে


থাকবো জীবন ভর


এই মাটিতেই দিও তুমি


আমারে কবর।


মাটির মায়া ছেড়ে আমি


কোথাও যাবোনা।।


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০

গান- সকালের সূর্যটা এলে

গান- সকালের সূর্যটা এলে

<দেশের গান>


 


সকালের সূর্যটা এলে-


আলো ঝলমল 


হয়যে সকল


বাংলার প্রতি পলে পলে। ।।


 


ঝাউয়ের ডালে বসে ডাকে পাখি


সব ক’টি বনফুল মেলে আঁখি।


রোধের আভায়


সবুজ পাতায়


শিশির সানালি হয়ে দোলে। ।।


 


ফসলের মাঠে মাঠে ছড়ায় হাসি


বলাকারা উড়ে যায় পাশাপাশি।


ঝিলের বুকে


আকাশ থেকে


রঙের বাহার এসে মিলে। ।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৮৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]

গান- আমার বাড়ি সবুজ পাহাড়

গান- আমার বাড়ি সবুজ পাহাড়

<পল্লী গান>


 


আমার বাড়ি সবুজ পাহাড়


সুখের ঠিকানা


এই পাহাড়ের সাথে কারো


হয় না তুলনা।।


 


ফলের মেলা, ফুলের বাগান


বাঁশের বাঁশি জুড়ায় পরান।


পাখির গানে ঘুমাই-জাগি


জাগাই চেতনা।।


 


সবুজ মাঠে সোনার ফসল


এই পাহাড়ে সবই আসল।


সবাই মিলে বাঁচি-মরি


নেইতো ছলনা।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০

গান- আমাদের ভালোবেসে দিয়েছো জীবন

গান- আমাদের ভালোবেসে দিয়েছো জীবন

<দেশের গান>


 


আমাদের ভালোবেসে দিয়েছো জীবন


হে মহান ভাষাসেনা-


তোমাদের জীবনের সেই অবদান


কোনদিন ভুলাযায় না।


ভাষাসেনা, ভাষাসেনা।।


 


কথা বলি মায়ের ভাষায়


মেতে উঠি গান-কবিতায়।


আমাদের জীবন খাতায়


লেখা আছে লক্ষ দেনা। ।।


(ভাষাসেনা, ভাষাসেনা।)


 


পাখি গায় বাংলা ভাষায়


ফুটে ফুল সেই চেতনায়।


আমাদের লাল পতাকায়


তোমাদের রক্ত কণা। ।।


(ভাষাসেনা, ভাষাসেনা।)


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+8801711147570


গান- চলেযায় দিন প্রতিদিন

গান- চলেযায় দিন প্রতিদিন

দেশের গান


 


চলে যায় দিন প্রতিদিন


অতীতের অতল তলায়!


প্রতিদিন রেড়ে যায় ঋণ


জীবনের পাতায় পাতায়। ।।


 


বাতাসের কাছে দেনা আছে


সাগরের কাছে ঋণ আছে।


পাওনা আছে আমার কাছে


পদ্মা মেঘনা সুরমা যমুনায়। ।।


 


ভোরের পাখির কাছে


সোনালি চাঁদের কাছে


জানা-অজানায় কত-


বাড়ছে দেনা, বাড়ছে দেনা।।


[ (অথবা)


কতশত ঋণ, যায়না জানা


জানা-অজানায় বাড়ছে দেনা


বাড়ছে দেনা, বাড়ছে দেনা! ]


 


সূর্যের কাছে দেনা আছে


ফসলের মাঠে ঋণ আছে।


পাওনা আছে আমার কাছে


ঝরনা পাহাড় নদী মোহনায়। ।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০

গান- সবুজ গাঁয়ের কাছে আবার

গান- সবুজ গাঁয়ের কাছে আবার

দেশের গান


 


সবুজ গাঁয়ের কাছে 


আবার যখন ফিরে আসবে


মনের গভীর থেকে 


    সকল ব্যাথার জ্বালা ভুলবে। ।।


 


দোয়েল পাখির গানে ঘুম ভাঙবে


অচেনা ফুলের ঘ্রাণে মন রাঙবে।


সোনালি সকাল এসে 


বন্ধ চোখের পাতা খুলবে। ।।


 


হিজল তমাল ছায়ে পথ চলবে


বাঁশের বাঁশির সুরে মন রাঙবে।


সুখের পরশ এসে 


স্বপ্নে হৃদয় ভরে তুলবে। ।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


গান- সবুজ পাতার ভীড়ে কেনো যে

গান- সবুজ পাতার ভীড়ে কেনো যে

দেশের গান


 


সবুজ পাতার ভীড়ে কেনোযে পলাশ হলো লাল


শিমুলের ফুলে কেনো লাগলো এ রঙ-


তুমি জানো কি


হে নবীন তুমি জানো কি? ।।


 


মায়ের মুখের সুরে তোমায় ডাকি


সেইনা সুরে ডাকে হাজার পাখি।


আমাদের কন্ঠে কীকরে এলো এই গান


তুমি জানো কি?


হে নবীন তুমি জানো কি? ।।


 


ভাইয়ের ভাষায় বলি 'ভালবাসি'


এমাটির ফুলে ফলে ভাইয়ের হাসি।


আমাদের সূর্যে কে দিলো এতো লাল প্রাণ


তুমি জানো কি?


হে নবীন তুমি জানো কি? ।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০

গান- সবার অজান্তে এই বসন্তে

গান- সবার অজান্তে এই বসন্তে

দেশের গান


 


সবার অজান্তে


এই বসন্তে


আবার যেনো তুমি


ফিরে এসেছ।।


 


আমের মূকুল হয়ে


এসেছ মাধুরি নিয়ে।


পাখিদের গানে গানে


কন্ঠ দিয়েছ।।


 


শিমুল পলাশ ফুলে


দিয়েছ হৃদয় মেলে।


উদাসী বাতাস হয়ে


সবুজে মিশেছ।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০

গান- এমন একটা পাখি এনে দাওনা

গান- এমন একটা পাখি এনে দাওনা

দেশের গান


 


এমন একটা পখি এনে দাওনা-


যে পাখিটা বাংলা সুরে গাইতে পারে বেশ


মনে-প্রাণে যে পাখিটা বলে বাংলাদেশ।।


(দিনে রাতে যে পাখিটা বলে বাংলাদেশ


দমে দমে যে পাখিটা বলে বাংলাদেশ


বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।।)


 


পরদেশি সুর শুনে মন ভরে না


বুকের পাথর গুলো দূরে সরে না।


এমন একটা বাঁশি বেঁধে দাওনা


যে বাঁশিতে মরমী সুর বাজে অনিঃশেষ।।


(সুরে সুরে যে বাঁশিটা বলে বাংলাদেশ)


 


ভিনদেশি রূপ দেখে বুক ভরে না


মায়ের মুখের ছবি চোখে পড়ে না।


এমন একটা ছবি এঁকে দাওনা


যে ছবিতে লাল সবুজের মহাসমাবেশ।।


(ফুটে উঠে যে ছবিতে আমার বাংলাদেশ।)


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


Phone: +8801711147570

গান- শাল দুধ খাওয়াও তোমার শিশুরে

গান- শাল দুধ খাওয়াও তোমার শিশুরে

 


<পল্লী গান>


 


শাল দুধ খাওয়াইও তোমার শিশুরে


মিষ্টি মধু যতই থাকে


বুকের দুধই দিও মুখে


এই অনুরাধ করি সকল মায়ের। ।।


 


দেখতে যতই মন্দ হোক


এই দুধে নাই কোনা রোগ।


এমন সেরা শিশুর খাবার


পাইবানা সংসারে। ।।


 


খোদার দান এই বুকের দুধ


করবে ব্যাধি প্রতিরোধ।


থাকবে শিশু সুস্থ-সবল


 সারা জীবন ভরে।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০২ জানুয়ারি ২০০৩।


পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- দামে খাবার দামি নয়

গান- দামে খাবার দামি নয়

 


<পল্লী গান>


দামে খাবার দামি নয়


পুষ্টি গুণেই দামি হয়।


না বুঝে না জেনে খেলেই


অপুষ্টিতে ভোগতে হয়। ।।


 


রুই কাতলের চেয়ে ভালো


মলা ঢেলা চাপিলা


আপেলই নয়, খেয়ো তুমি


পেপে কলা কমলা।


বেল- পেয়ারা- আম- কাঁঠালে


বলো কে না সুস্থ রয়? ।।


 


গরু খাসির চেয়ে ভালো


লাল- পুই- পালং শাক।


আয়রন বড়ি না খেয়ে খাও


কাঁচা কলা- কচু শাক।


মটর গাজর মিষ্টিকুমড়া


সব মানুষেই ভালো কয়। ।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০৩ জানুয়ারি ২০০৩।


পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- নদীরে তুই এমন নিঠুর

গান- নদীরে তুই এমন নিঠুর

<পল্লী গান>


 


নদীরে তুই এমন নিঠুর হইলি কেনে বল?


সর্বনাসা হইয়া আমার ভাসাইলি সকল! ।।


 


আশা কইরা ঘর বানাইলাম এইনা তোরই কুলে


সেই ঘর আমার ভাইঙ্গা দিলি আপন খেলার ছলে!


তোর জলে আজ মিশে গেলো আমার চাখের জল! ।।


 


আশা নিলি, বাসা নিলি, নিলি ভালাবাসা


এই অভাগার জীবন নিয়া খেললি কত পাশা!


সব নিয়া তুই দিলি বুকে শুধুই দুখের ঢল! ।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ২৮ আগস্ট ১৯৯৫। পলাশ, নরসিংদী।


প্রথম প্রচার- বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা- ক, 


২৮ আগস্ট ১৯৯৫, বিকাল ০৪.৩৫মি. এবং


 ২৬ ডিসেম্বর ২০০৩, রাত ০৯.২০মি.


শিল্পী- আবুল কালাম সিদ্দিকী ]

গান- আমার বাড়ি আইসো বন্ধু

গান- আমার বাড়ি আইসো বন্ধু

 


<পল্লী গান>


আমার বাড়ি আইসো বন্ধু


বসতে দিবো পিঁড়ি।


শীতের পিঠা খাইতে দিবো


তোমার দু'হাত ভরি।।


 


উড়কি ধানের মুড়কি দিবো, বিন্নি ধানের খই


গুড় দিবো, চিড়া দিবো, আরো দিবো দই।


সাত সকালে আইনা দিবো


খেজুর রসের হাড়ি।।


 


গাছের পাকা কলা দিবো, নারিকেলের নাড়ু


বাটায় ভরা পান দিবো, চাইলে দিবো আরো।


দাদির মুখে শুনবে তুমি


গল্প কাড়ি কাড়ি।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১০,  ১১ জানুয়ারি ১৯৯৪। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- সুন্দরী তোর হলদে শাড়ি

গান- সুন্দরী তোর হলদে শাড়ি

 


<পল্লী গান>


সুন্দুরী তোর হলদে শাড়ি


এমন কর উড়াস না।


রূপের ঠেলায় মন মানেনা


ঢং দেখায়া মারিস না।।


 


তুই যেনো গো হলুদ পরি


তার উপরে হলদে শাড়ি।


মুখে আবার আঁচল টেনে 


বাঁকা চোখে দেখিস না।।


 


আমার গাঁয়ের হলুদ পাখি


হার মানে গো তোরে দেখি।


দোহাই লাগে পাখির মতো


উড়ু উড়ু করিস না।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০৪ মার্চ ১৯৯৪। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- বন্ধুরে, ও বন্ধুরে, কথা দিয়া

গান- বন্ধুরে, ও বন্ধুরে, কথা দিয়া

 


<পল্লী গান>


বন্ধুরে, ও বন্ধুরে- 


কথা দিয়া রাখলা না


চিঠিপত্র দিলা না


মোবাইলে ফোন করলা।


এতো নিঠুর হইবা তুমি


আগে জানতাম না।।


 


ও বন্ধুরে-


দিবা-রাতি জাইগা থাকি


তোমার কথাই ভাবতে থাকি।


কেমন আছো আমায় তুমি


জানতে দিলা না।।


 


ও বন্ধুরে-


পথ পানে চাইয়া থাকি


মনে মনে তোমায় ডাকি।


'আসি' বইলা চইলা গেলা


আরতো আইলা না।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১২ অক্টোবর ১৯৯২। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- মাটির পৃথিবী জুড়ে শান্তি পাইলাম না

গান- মাটির পৃথিবী জুড়ে শান্তি পাইলাম না

 


<পল্লী গান>


 


মাটির পৃথিবী জুড়ে শান্তি পাইলাম না


মাটির মতো খাঁটি কোন মানুষ পাইলাম না।।


 


আপন ভেবে যখন যারে বন্ধু বানাইলাম


সে-ই আমায় দিলো ফাঁকি সবই হারাইলাম।


কারো মাঝে মানবতা আজো পাইলাম না।।


 


আপন লাভে সবাই গেছে ভুইলা আপন জন


কান্দে নয়ন দিনে-রাতে কান্দে আমার মন।


আমি কেনো সবার মতো নিঠুর হইলাম না।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[১৫ মে ১৯৯৫। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- প্রজাপতি বোন আর প্রজাপতি ভাই

গান- প্রজাপতি বোন আর প্রজাপতি ভাই

<শিশুদের গান> 


প্রজাপতি বোন আর প্রজাপতি ভাই


তোমাদের মতো আমি রাঙা পাখা চাই।


চাই চাই চাই আমি দু’টি পাখা চাই।।


 


মন চায় আকাশেতে উড়তে


দিন রাত ফুলে ফুলে ঘুরতে।


বলোনা কোথায় গেলে সেই পাখা পাই?।।


 


মন বলে না না রঙে সাজতে


তোমাদের দলে গিয়ে নাচতে।


বলোনা কেমন করে সেই দলে যাই?।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০৮ জুন ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- আম্মু যায় অফিসে, আব্বু যায়

গান- আম্মু যায় অফিসে, আব্বু যায়

শিশুতোষ গান


 


আম্মু যায় অফিসে


আব্বু যায় কলেজে


আমার যে দিন আর কাটে না সহজে।।


 


খেলনা পুতুল-গাড়ি  নিয়ে


খেলা করি ছড়া-গান গেয়ে।


আমার মুখের কথা শুনেনা তারা যে।।


 


টিভি আর টেব দেখে দেখে


বার বার জ্বালা ধরে চোখে।


আমার মনের ব্যথা বোঝে না তারা যে।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


 


[রচনা- ০৫ জুন ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]


গান- বিড়ালছানা দেয়যে হানা

গান- বিড়ালছানা দেয়যে হানা

<শিশুতোষ গান>


 


বিড়াল ছানা দেয়যে হানা


সুযোগ পেলেই হাঁড়িতে।


তাইতো তারে অনাদরে


রাখেন সবাই বাড়িতে।।


 


ভাইয়া করেন দূরদূর


বিড়াল ধরে করূণ সুর।


বাবা বলেন দুষ্টু বিড়াল


বন্দি করে ঝুড়িতে।।


 


আম্মু বলেন, দাঁড়া চোর


পালায় বিড়াল সূরসূর।


মামা করেন ফাঁসির আদেশ


ঝুলাও তারে দড়িতে।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০

গান- আজকে আমার জন্মদিন

গান- আজকে আমার জন্মদিন

<শিশুদের গান>


 


আজকে আমার জন্মদিন ছোট্ট আয়োজন। তোমাদেরকে জানাই আমি সাদর আমন্ত্রণ।। 


চাই না কোনো উপহার আশির্বাদ চাই সবার। আপনজনের ভালোবাসায় ধন্য আমার মন।। 


বাঁচার মতো বাঁচতে চাই সবার সেবা করতে চাই। তোমরা আমায় দিও সুযোগ গড়তে এ জীবন।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ৩১ মে ২০০৪। পলাশ,  নরসিংদী। ]

গান- শেয়াল বেটা মনের কথা

গান- শেয়াল বেটা মনের কথা

<শিশুদের গান>


 


শেয়াল বেটা মনের কথা


কারো কাছেই বলে না।


বাঘের সাথে আত্মীয়তা


কোনদিনই চলে না।।


 


শোয়াল বলে-রাত্রি পোহা


হোক্কা হোয়া হোক্কা হোয়া ! 


আসলে সে মুরগি খোঁজে


দিনের আলো খোঁজে না।।


 


হাতের কাছে হরিণ পেলে


বাঘেরা সব যায়যে ভুলে ! 


মামা মামা বলে ছাগল


মামায় তারে ছড়ে না।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০২ জুন ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]


গান- আমি ঘুমাতে যাই আগেভাগে

গান- আমি ঘুমাতে যাই আগেভাগে

  


<শিশুদের গান>


 


(অমি) ঘুমাতে যাই আগেভাগে


উঠি খুবই সকালে


খুলা হাওয়ায় ঘুরি ফিরি


সবুজেতে খোখ মেলে। ।।


 


নিয়মিত করি লেখাপড়া


খেলাধুলা আর গান- ছড়া।


দেইনা সময় যেতে আমি 


এতোটুকু বিফলে। ।।


 


বিদ্যালয়ে আমি হই সেরা


খেলার মাঠে হারে বন্ধুরা।


তাইতো আমায় ভালোবাসে


ছোট বড় সকলে। ।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- মে ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- আমরা ছোট, আমাদের মনটাতো

গান- আমরা ছোট, আমাদের মনটাতো

 


<শিশুদের গান>


 


আমরা ছোট


আমাদের মনটাতো ছোট না।


দোহাই লাগে


আমাদের তোমরা 'না' বলো না।।


 


হাসি-খুশি খেলাধুলা


প্রাণ খুলে কথা বলা


আমাদেরও  ইচ্ছে করে,


দিনে-রাতে খেটে মরা


মালিকেরে খুশি করা


আমাদেরও ক্লান্তি ধরে।


দুর্বিষহ জীবন থেকে তুলে নাও না।।


 


দামি দামি লেখাপড়া


ভালো ভালো খাওয়া-পরা


আমাদেরও মনে ধরে,


জ্ঞানী-গুনী ধনি হতে


হিমালয়ে-চাঁদে যেতে


আমাদেরও ইচ্ছে করে।


আঁধার হতে আলোর পথে যেতে দাওনা।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০২ অক্টোবর ২০০২। পলাশ, নরসিংদী ]

গান- শিশুদের নেই কোন অপরাধ

গান- শিশুদের নেই কোন অপরাধ

<শিশুদের গান>


 


শিশুদের নেই কোন অপরাধ


কোনদিন শিশুদের ব্যথা দিও না।


কচি কচি মনগুলো নিষ্পাপ


ফুটন্ত কলিদের ছিড়ে ফেলো না।।


 


ছেলে মেয়ে সাদা কালো


সব বুকে একই আলো।


সম্ভাবনার আলো দাবাতে


নিষ্ঠুর কালো হাত বাড়িও না।।


 


আমি তুমি দীন ধনি


সব শিশু সোনামনি।


প্রতিশোধের নীল আগুনে


সৃষ্টির সেরা ধন জ্বালিও না।।


 


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ২২ অক্টোবর ২০০২। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- যত দূরে যাই- মনে হয়

গান- যত দূরে যাই- মনে হয়

<আধুনিক গান>


যত দূরে যাই-


মনেহয় তোমাকে আরো কাছে পাই।


কীকরে যে বলো তুমি-


চোখের আড়াল হলে ভুলে যাই।।


 


যদিও কাজের মাঝে দু'হাত রাখি,


শত মানুষের ভীড়ে ডুবে থাকি।


তোমার চোখের তারা ছড়ায় আলো-


মনের গভীরে যখনই তাকাই।।


 


লোকালয় ছেড়ে গেলে দূর-সীমানায়,


জীবনের ব্যস্ততা সব ভুলা যায়।


তোমার মুখের ছবি যায়না ভুলা-


সুখের সাগরে যতই হারাই।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৯। পরিমার্জন- ডিসেম্বর ২০১৬]

গান- তুমি বলতে পারো কি

গান- তুমি বলতে পারো কি

<আধুনিক গান>


 


তুমি বলতে পারো কি


কেনো এমন হয়?


কারো পাশে ভাবতে তোমায়


সয়না এ হৃদয়।।


 


হৃদয়ের ঝিনুক মাঝে


আছো কি মুক্তা সেজে?


তোমায় ছাড়া কেনো এ মন


শূন্য মনে হয়?।।


 


তোমারও মনের বীনা


বলোনা বজে কি না?


আমার গানে কেনো তোমার


সুরের ধ্বণি হয়?।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]

গান- তুমি যদি হতে বন-রাজহংসী

গান- তুমি যদি হতে বন-রাজহংসী

<আধুনিক গান>


 


তুমি যদি হতে বন রাজহংসী


আমি যদি বন রাজহংস হতাম।


আরো বেশি মধুময় হতো জীবন


দূর অজানায় কত হারিয়ে যেতাম।।


 


মানুষের কুলাহল ছাড়িয়ে


ধানশিড়ি নদী খানি পেড়িয়ে।


নীরবতা ভরা সেই বনভূমিতে


শুধু দু’জনায় নীড় বানিয়ে নিতাম।।


 


ফসলের মাঠে মাঠে গড়িয়ে


জীবনের সব ব্যাথা হারিয়ে।


অনাবিল সুখ গুলো হাসি-খুশিতে


তুমি আর আমি শুধু হৃদয়ে নিতাম।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭০


[রচনা- ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০। 


ভেড়ামারা, সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। ]

গান- হারিয়ে যাবেনা কোনদিন

গান- হারিয়ে যাবেনা কোনদিন

<আধুনিক গান>


 


হারিয়ে যাবে না কোনদিন


তুমি কথা দাও


দুঃখ-সুখে অমায় তুমি


সাথি করে নাও।।


ভুলে গিয়ে সব অজুহাত


এই হাতে রাখো সেই হাত।


চোখের পরে সে চোখ রাখো


সুখ যদি চাও।।


 


ভালোবাসা হয়ে যাবে রথ


পার হবো জীবনের পথ।


মনের মাঝে মনের ছবি


এঁকে নিয়ে যাও।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৮। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]

গান- পাথর পাথরে আগুন জ্বলে (কথা ও ভিডিও)

গান- পাথর পাথরে আগুন জ্বলে (কথা ও ভিডিও)
https://youtu.be/km5f9qkKfDY

<আধুনিক গান>


 পাথরে পাথরে আগুন জ্বলে।


আদরে আদরে পাথর গলে।।


 


মনেহয় কাটে না দিন


সবকিছু হয়যে কঠিন-


দু'জনার দু’টি মন কঠিন হলে।


পাথরে পাথরে আগুন জ্বলে।


 


রাতকেও মনেহয় দিন


সবকিছু হয়যে রঙিন-


দু’জনার দু’টি মন কোমল হলে।


আদরে আদরে পাথর গলে।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[০২ জুন ২০০৪। 


পলাশ থেকে মতলব যাওয়ার পথে।]


গান- তুমি সাদা কালো যা-ই হও

গান- তুমি সাদা কালো যা-ই হও

<আধুনিক গান>


 


তুমি সাদা কালো যা-ই হও 


কিছুই আসে যায় না।


মনটা শুধু সাদা হলে


কিছুই কালো রয় না।।


 


যতই ভালো থাকুক রূপ


মন না হলে অনুরূপ-


গুণ না হলে রূপের কদর


ধরে রাখা যায় না।।


 


যতই টানা হোক দু’চোখ


চোখ না হলে আসল চোখ-


মন না হলে দেখার মতো


আসল দেখা হয় না।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০৭ অক্টোবর ২০০২। পলাশ, নরসিংদী। ]


গান- তোমার চোখের গভীরতায়

গান- তোমার চোখের গভীরতায়

<আধুনিক গান>


 


তোমার চোখের গভীরতায়


ডুব দিয়েছি আমি।


আমার বুকের নিরবতায়


গান গেয়েছো তুমি।।


 


চোখের তারায় রঙ দিয়েছো


হৃদয় বীনায় সুর দিয়েছো।


এমন সুখের আকুলতায়


দিন গুনে-ছিলামই।।


 


গানের কথার শেষ জানি না


দুঃখ-ব্যথার ভয় করি না।


ঊর্মি সাগর পারি দেওয়ায়


হাল ধরে-নিলামই।।


 


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০। বাড়ি থেকে চবিতে


যাবার সময় ঊর্মি অরুনা ট্রেনে বসে লেখা।]


গান- আগে বুঝিনি তুমি এতো সুন্দর

গান- আগে বুঝিনি তুমি এতো সুন্দর

<আধুনিক গান>


 


আগে বুঝিনি তুমি এত সুন্দর!


হারানো দিনে


তোমার সথে কেটেছে কত প্রহর।।


 


রূপালি দীঘির জলে


তুমি আমি কতদিন


শাপলা কুড়াতে গিয়ে


কাটিয়েছি সারাদিন।


জানিনি তখন, তোমায় কখন


কুড়িয়েছিলো অন্তর।।


 


সবুজ পাতার ভিড়ে


কতদিন কতনা বেলা


পুতুল বিয়ের ঘরে


দু’জনে করেছি খেলা।


বুঝিনি তখন, হৃদয়ে কখন


বেঁধেছিলে তুমি ঘর।।


 


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৯০। সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। ]

গান- তুমি বলতে পারো কি

গান- তুমি বলতে পারো কি

 


<আধুনিক গান>


 


তুমি বলতে পারো কি


কেনো এমন হয়?


কারো পাশে ভাবতে তোমায়


সয়না এ হৃদয়।।


 


হৃদয়ের ঝিনুক মাঝে


আছো কি মুক্তা সেজে?


তোমায় ছাড়া কেনো এ মন


শূন্য মনে হয়?।।


 


তোমারও মনের বীনা


বলোনা বজে কি না?


আমার গানে কেনো তোমার


সুরের ধ্বণি হয়?।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]

গান- 'ভালো আছি' এই হলো মুখের কথা

গান- 'ভালো আছি' এই হলো মুখের কথা

 <আধুনিক গান> 


‘ভালো আছি' এই হলো মুখের কথা।


আসলেই তুমি আমি কেউ ভালো নেই।


আসলেই পৃথিবীতে কেউ সুখে নেই।।


রাজাদের বাড়েনা রাজ্য


প্রজাদের খাদ্য জোটেনা।


কবিদের মিলেনা ছন্দ


মূর্খের দ্বন্দ্ব কাটেনা।


কুশল শুধালে তবু সবাই বলি


'ভালো আছি', 'ভালো আছি'।।


প্রেমিকের মিটেনা তৃপ্তি


লোভীদের মনটা ভরেনা


বুমারুরা খোঁজেনা শান্তি


বিবেকের মুক্তি মিলেনা।


কুশল শুধালে তবু সবাই বলি


'ভালো আছি', 'ভালো আছি'।।


অথবা


ভালা আছি’ এই হলো মুখের কথা-


আসলেই আমরা কেউ ভালো নেই 


কবিদের ছন্দ মিলেনা


মূর্খের দ্বন্ধ কাটেনা!


কুশল শুধালে তবু সবাই বলি-


‘ভালো আছি’॥ 


প্রেমিকের তৃপ্তি মিটেনা


লোভীদর মনটা ভরে না! 


 কুশল শুধালে তবু সবাই বলি


‘ভালা আছি’।।


রাজাদের ক্ষমতা বাড়েনা


প্রজাদের অনটন কমেনা।


কুশল শুধালে তবু সবাই বলি


'ভালো আছি'।।


বুমারোরা শান্তি খোঁজেনা


বিবেকের মুক্তি মিলেনা।


কুশল শুধালে তবু সবাই বলি


'ভালো আছি'॥


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+8801711147570


[রচনা: ৩০ এপ্রিল ১৯৯৫, পলাশ, নরসিংদী।  সুর ও পরিমার্জন: ০৫ মার্চ ২০১৭, মোহাম্মদপুর, ঢাকা]  


গান- পৃথিবী পাথর হয়ে আমার বুকে

গান- পৃথিবী পাথর হয়ে আমার বুকে

<আধুনিক গান>


 


পথিবী পাথর হয়ে


আমার বুকে চেপে বসলে


নীরবে নিবো সয়ে।


(তবু) তোমার দেওয়া বিন্দু ব্যথা সইতে পারবো না!


দোহাই লাগে আমায় তুমি দুঃখ দিও না। ॥


 


যেমনি বলো বাঁচত পারি মরতে পারি


তোমার নামে সকল সাধন করতে পারি।


আর সকলে পাগল বলুক পাগল হবো না।


তুমি শুধু ভুল বোঝলই বিফল সাধনা। ॥


 


তোমায় পেলে সবই ভুলে থাকতে পারি 


সকল কিছু তোমার কাছে সঁপতে পারি।


আর সকলে যা-ই করুক গায়ে লাগে না।


তুমি শুধু মুখ ফিরালেই মন যে মানে না। ॥


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০৫ মার্চ ১৯৯৫। ভেড়ামারা, জয়নগর, সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। ]

গান- বসন্ত এলো গেলো তুমি এলেনা

গান- বসন্ত এলো গেলো তুমি এলেনা

 


<আধুনিক গান>


 


বসন্ত এলো গেলো


তুমি এলে না।


মনের বদলে তুমি 


মন দিলে না। ॥


 


হাসি দিয়ে কেড়ে নিলে মন


সেই হাসি হলো যে মরণ!


মনের কথা নিলে


কথার কথা দিলে


কী করেযে সই বলো এই ছলনা। ॥


 


চোখে চোখ রেখে কিছুক্ষণ


দেখিয়েছো হাজারো স্বপন!


বিরহ বুকে নিয়ে


তোমার পথ চেয়ে


কী করেযে কাটে দিন কেউ জানে না। ॥


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ২৩ নভেম্বর ১৯৯৪। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- কিশোর বেলার সেই দিন গুলো

গান- কিশোর বেলার সেই দিন গুলো

<আধুনিক গান>


কিশোর বেলার সেই দিন গুলো


জানিনা হারিয়ে গেছে কত দূরে!


জীবনের এতো পথ পার হয়ে


এখনো তোমার স্মতি মনে পড়ে। ॥


 


চুপি চুপি হাত রেখে আমার হাতে


বলেছিলে সুখে দুখে রইবে সাথে।


চোখেরর ভাষায় বলা কত কথা


আগের মতোই আছে আঁখি নীড়ে। ॥


 


ফেলে আসা সেই দিন পাবোনা জানি


তুমিওতো সেই তুমি হবেনা জানি।


হারানো দিনের সুখ ফিরে পেতে


মনটা তবু আজ কঁদে মরে। ॥


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। ]

গান- কেনো করো এতো ছলনা

গান- কেনো করো এতো ছলনা

<আধুনিক গান>


কেন করো এতো ছলনা?


আমারে উজাড় করে


চলে যাও বারে বারে


একা থাকা প্রাণ সয়না। ॥


 


প্রেমাগুনে পোড়ে আমারে


কি সুখ তুমি পাও অন্তরে ! 


হাত খানি হাতে রেখে


দিয়ে যাও স্মৃতি এঁকে


মন নিয়ে মনে রাখোনা। ॥


 


নিজেরে লুকিয়ে আঁধারে


কাছে যেতে বলো আমারে।


চোখ রেখে চোখে হেসে


দিয়ে যাও ব্যথা শেষে


কথা দিয়ে কথা রাখোনা। ॥


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। ]

গান- এই হাতে রেখে হাত

গান- এই হাতে রেখে হাত

 <আধুনিক গান>


 


এই হাতে রেখে হাত


একটি গোলাপ দিয়েছো।


দিলে ফুল, নিলে মন


তুমি কি সে কথা জেনেছো?॥


 


গোলাপের রং এসে লাগলো মনে


(এ) হৃদয় বীণা তাই মাতলো গানে।


গানে গানে মনে প্রাণে


সুরের মাধুরী মেখেছো। ॥


 


সোহাগের সেই ক্ষণ যায় না ভোলা


মধুময় মনে হয় জীবন ভেলা।


চোখে চোখে রেখে চোখ


সুখের ঠিকানা বলেছো। ॥


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০। 


ভেড়ামাড়া, সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। ]

গান- ভালোবেসে এই মনে

গান- ভালোবেসে এই মনে

 


<আধুনিক গান>


 


ভালোবেসে এই মনে


মন পেতে চাই


চিরদিন সেই মনে


যেনো রয়ে যাই। ॥


 


তোমারে আমার করে


যাই কত অভিসারে।


লগ্ন সাজানো বনে


দু’জনে হারাই। ॥


 


হৃদয়ে বাসর গড়ি


খুশিতে জীবন ভরি।


দু’চোখে নতুন করে


স্বপ্ন সাজাই। ॥


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]

গান- সবার অজান্তে এই বসন্তে

গান- সবার অজান্তে এই বসন্তে

 


<আধুনিক গান>


সবার অজান্তে


এই বসন্তে


আবার যেনো তুমি


ফিরে এসেছো।।


 


আমের মূকুল হয়ে


এসেছো মাধুরী নিয়ে।


পাখিদের গানে গানে


কন্ঠ দিয়েছো।।


 


শিমুল পলাশ ফুলে


দিয়েছো হৃদয় মেলে।


উদাসী বাতাস হয়ে


সবুজে মিশেছো।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৮। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]

গান- ভালোবাসা ছাড়া কেউ

গান- ভালোবাসা ছাড়া কেউ

 


<আধুনিক গান>


 


ভালোবাসা ছাড়া কেউ


ভালো কিছু পায়না,


অহমিকা বুকে নিয়ে


ভালোবাসা যায়না। ॥


 


নিয়য়ের বন্ধনে বেঁধে রাখা যায়


ধর্মের পালকিতে পাশে বসা যায়।


অধিকারে কানদিনই 


মন পাওয়া যায়না। ॥


 


আজীবন প্রয়াজনে কাছে থাকা যায়


দুইজন তবু থাকে দুই সীমানায়।


ব্যবধান বুকে নিয়ে


এক হওয়া যায়না। ॥


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- মে ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- চাঁদকে ভালোবাসি না

গান- চাঁদকে ভালোবাসি না

 


<আধুনিক গান>


 


চাঁদকে ভালাবাসি না


ভালোবাসি চাঁদর আলা।


কোকিল ভালো লাগেনা


কুহুকুহু লাগে ভালো।।


 


মন খুলা মুখের হাসি


আসলেই ভালোবাসি।


হাসিটা মন্দ হলেই


রাঙা মুখ লাগে কালো।


 


সে মনের ভালোবাসা


এ মনে জাগায় আসা।


রূপেতে দৃষ্টি গেলেই


খোঁজে মন দিনের আলো।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৫ নভেম্বর ২০০২।


পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- ভালো আছো শুনে আমি

গান- ভালো আছো শুনে আমি

 


<আধুনিক গান>


 


ভালো আছো শুনে আমি 


অবাক হলাম।


আবারও তোমার কাছে


হেরে গেলাম।।


 


ভালোবাসা প্রেম প্রীতি


এতো কথা এতো স্মতি-


ভুলে গেছো জেনে-


নিথর হলাম ।।


 


আমিও তোমার মতো


ভুলেযেতে পারিনা তো।


সেই স্মৃতি নিয়ে-


পাথর হলাম ।।


 


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০২ জানুয়ারি ২০০৩।


পলাশ, নরসিংদী। সুর ও পরিমার্জন- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। মোহাম্মদপুর, ঢাকা।]

গান- মানুষের জন্য আমার এ গান

গান- মানুষের জন্য আমার এ গান

<আধুনিক গান>


মানুষের জন্য আমার এ গান


জীবনের জন্য আমার এ গান।


মারণ ব্যাধিতে/হায়েনার আগাতে


নিভেনা যেনো


কারো নিস্পাপ প্রাণ।।


যে মুখের হাসিটা হয়েছে মলিন


তার কাছে আমার অফুরান ঋণ।


বার বার মনেহয়


সে আমারই জান। ॥


মানবতা এখনো হয়নি বিলিন


মানুষেরা হয়নি হৃদয় বিহীন।


ভালোবেসে করাযায়


সবকিছু দান।।


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[১৮ আগস্ট ২০০৮। মিরপুর, ঢাকা।]

গান- এখনো তোমায় নিয়ে কবিতা লিখি

গান- এখনো তোমায় নিয়ে কবিতা লিখি

<আধুনিক গান>


এখনো তোমায় নিয়ে কবিতা লিখি


তোমায় নিয়ে করি গান।


কখনো চাইনা আমি (তোমার কাছে)


ভালোবাসার প্রতিদান। (চাইনা কোন প্রতিদান।)॥


দুঃখ জয়ের সুখ কীযে মধুময়


তোমায় হৃদয় দিয়ে তাই জানা হয়।


নিজের মনের কাছে প্রশ করো


দু’জনার কে মহীয়ান। ॥


ব্যথার আগুন পোড়ে খাঁটি এ হৃদয়


কঠিন আঘাত সেতো সহজেই সয়।


বাকিটা জীবন যেনো বিরহ ভারে


থাকতে পারি বলীয়ান। ॥


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ৩১ আগস্ট ২০০৮।


মিরপুর, ঢাকা।]

গান- সবাইতো চলেযায় কোন একদিন

গান- সবাইতো চলেযায় কোন একদিন

<আধুনিক গান>


সবাইতো চলে যায় কোন একদিন


কাউকেই ধরে রাখা যায়না।


মনের গভীর থেকে ভালো লাগা মন


কোনদিন ছুটি দেয়া যায়না। ॥


যার কথা সুকবিতা, মধুময় গান


রাঙা ঠোঁট, কালো চাখ, প্রাণময় প্রাণ!


উড়ে যাক যত দূর সেই প্রিয়জন-


মন থেকে দূরে সরে যায়না।  ॥


ছোট ছোট খুনসুটি, মান-অভিমান


পান থেকে চুন খসা, চুন থেকে পান!


অনুরাগ - অনুযাগ - বিরহ - মিলন-


আজীবন ভুলে থাকা যায়না। ॥


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮।


মিরপুর, ঢাকা।]

গান- বিরহ বেলায় গাওয়া আমার এ গান

গান- বিরহ বেলায় গাওয়া আমার এ গান

<আধুনিক গান>


বিরহ বেলায় গাওয়া আমার এ গান


অবসর পেলে শুনে নিও।


গানের কথা যদি মনের কথা হয়


কথা গুলা রেখে দিও। ।।


যদি এমন কোন কথা হয়-


সুরের সাথে আবার


অতীত দিনের কাছে ফিরে যেতে হয়।


চুপিচুপি ফিরে যেও। ।।


এমনও তো হতে পারে-


তোমার আগেই আমি চলে যাবো পরপারে। ।।


যদি এমন কোন ব্যথা হয়-


আমার মনের কাছে


তোমার সে মনটাকে ঋণী মনে হয়।


মনে মনে শোধে নিও। ।।


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৫। ভেড়ামারা, সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। সুর ও সংশোধ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।]

গান- তোমার মোবাইল ফোনের নম্বরটা

গান- তোমার মোবাইল ফোনের নম্বরটা

<আধুনিক গান>


তোমার মোবাইল ফোনের নম্বরটা


খুঁজি মনে মনে


আমার ভালোবাসার কথাটা


বলবো তোমার কানে। ।।


বারে বারে কাছে যাই


পরিচিত হতে চাই।


কী বলে যে করবো শুরু


বুঝিনা সেই ক্ষণে। ।।


একা একা সারাক্ষণ


করি কত আলাপন।


কী করে যে পাবো ঠাঁই


জানি না সেই মনে। ।।


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১২ নভেম্বর ২০০২।


পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- শহর থেকে বহু দূরে

গান- শহর থেকে বহু দূরে

<আধুনিক গান>


শহর থেকে বহু দূরে


পাহাড় থেকে অদূরে


হিজল ছায়ে ঢাকা পথের বাঁকে


তোমায় খোঁজে ফিরি মনের সুখে। ।।


আসমানী রঙ শাড়ি পরে


দাঁড়িয়ে ছিলে ঝরনা ধারে।


ঘোমটা দিয়ে পালিয়ে গেলে


আমার দেখা পেয়ে লাজুক মুখে। ।।


হৃদয়ের এক অজানা টানে


কত শত বার আসি এখানে।


বুঝিনি তখন গোপনে কখন


লুকিয়ে ছিলে তুমি আমার বুকে। ।।


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৬। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]

গান- কখনো যদি অবসরে

গান- কখনো যদি অবসরে

<আধুনিক গান>


কখনো যদি অবসরে


আমায় মনে পড়ে


ভেবোনা যেনো তোমায় ভুলে


রয়েছি বহু দূরে। ।।


মনের দুয়ার খুলে দিও


প্রেমের আলোয় দেখে নিও।


যেমন ছিলাম তেমনি আছি


হাজার মুখের ভীড়ে। ।।


হারানো দিনে ফিরে যেও


নিজের কাছে জেনে নিও।


তোমার হয়ে আজা আছি


স্মৃতির বাসর ঘরে। ।।


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৮। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]

গান- সকল বাঁধন ছিঁড়ে

গান- সকল বাঁধন ছিঁড়ে

<আধুনিক গান>


সকল বাঁধন ছিড়ে


এইতো সে চলে গেলো


আমার দু’চাখ ভরে


দু’ফোঁটা বষ্টি এলো। ।।


কথা ছিলো আমরা হবো একাকার


সাথী ররো দু’জনে শুধু দু’জনার।


সেই কথা ভুলে তবু


মরনের সাথী হলো। ।।


আশা ছিলো হৃদয়ে নীড় বাঁধবার


সুখের স্বপ্ন গুলো সফল করার।


রঙিন স্বপ্ন যনো


স্মৃতির ফলক হলো। ।।


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৮৮। চট্টগ্রাম  বিশ্ববিদ্যালয়। ]

গান- ভুলবার মতো নয় কোনদিন

গান- ভুলবার মতো নয় কোনদিন

<আধুনিক গান>


ভুলবার মতো নয় কোনদিন


হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া সেই সুখ।


যে মধুর সুখ পেয়েছি সেদিন


অপলক চেয়ে দেখে তোমার মুখ।।


গভীর ঘুমে তুমি ছিলে  বিভোল


এলোচুলে ঢাকাছিলো আধেক কপোল।


কাজল চাখের দু’টি মিলানো পাতায়


আঁকাছিলো যেনো সব মিলনের সুখ।।


বাঁশি-নাকে ছিলো ঘাম শিশির হয়ে


ললাটে ছিলো যেনো চাঁদ ঘুমিয়ে।


ডালিম ফুলের মতো রাঙানো ঠোঁটে


রাঙিয়ে দিয়েছো তুমি আমার এ বুক।।


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ০১ জানুয়ারি ১৯৮৯।


ভেড়ামারা, সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। ]

গান- সত্যের পথে এসো নবীন

গান- সত্যের পথে এসো নবীন

<আধুনিক গান>


সত্যের পথে এসো নবীন-


যেই পথা আজ  আলো জ্বলে যায়


সেই পথে এসে করো নিজেকে রঙিন।।


ভয় নেই কোন ভয় নেই


আমরা রয়েছি সাথে,


বাধা নেই কোন বাধা নেই


তোমার চলার পথে।


এই হাতে আজ রাখো সেই হাত


চেয়ে দেখো এই পথ আঁধার বিহীন।।


দুঃখ নেই কোন দুঃখ নেই


নেই কোন ভয় অপমান,


নিজেকে তুমি নিজেকে


গড়ে তোল সেই মহাপ্রাণ।


যেই প্রাণ আজ চায় এ সমাজ


সেই প্রাণ দিয়ে তারে করো রঙিন।।


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৯৪। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- তোমার কাজল কালো চুল

গান- তোমার কাজল কালো চুল

<আধুনিক গান>


(তোমার) কাজল কালো চুল


তারায় ভরা চোখ


মুক্তা ঝরা হাসি-


ভালো লাগে, ভালোবাসি


কী যে ভালোবাসি! ॥


ময়না হয়ে কথা বলো


কোকিল হয়ে করো গান।


মধুর সুরে মনটা আমার


হয় যে বাঁশর বাঁশি। ॥


আলতা পায়ে পথ চলো


ঘোমটা দিয়ে ফিরে চাও।


বুকের মাঝে সানাই বাজে


স্বপ ভেলায় ভাসি। ॥


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌


+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০


[রচনা- ১৯৯৫। পলাশ, নরসিংদী। ]

গান- যাকিছু আমার আছে সব নিয়ে

গান- যাকিছু আমার আছে সব নিয়ে

<আধুনিক গান>


যা কিছু আমার আছে সব নিয়ে যাও


দোহাই লাগে শুধু জীবন বাঁচাও! ।।


রক্তের গন্ধে ক্ষুধা লাগনা


অস্ত্রের শব্দে ঘুম আস না!


চাই না কিছু আর এখন আমার


(শুধু) নির্ভয়ে নিরাপদে বাঁচতে দাও!।।


আনন্দ উৎসবে প্রাণ হাসেনা


ধর্মে ও কর্মে মন বসেনা!


চাই না কিছু আর এখন আমার


(শুধু) স্বাভাবিক মৃত্ত্যুর গ্যারান্টি দাও!।।


গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্‌

০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০

[রচনা- এপ্রিল ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]

প্রবন্ধ- পুরুষ নির্যাতন: কয়েকটি খন্ড চিত্র- প্রতিচিত্র- ১৬ ডেসেম্বর ২০১৬

প্রবন্ধ- পুরুষ নির্যাতন: কয়েকটি খন্ড চিত্র- প্রতিচিত্র- ১৬ ডেসেম্বর ২০১৬

IMG_20180428_133334_2IMG_20180428_133433_1[দৈনিক যায়যায়দিন > ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ এবং সাপ্তাহিক প্রতিচিত্র > ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬]


পুরুষ নির্যাতন: কয়েকটি খন্ডচিত্র

মো. রহমত উল্লাহ্‌

আমাদের সমাজে বর্তমানে নারী নির্যাতনের চেয়ে পুরুষ নির্যাতনের মাত্রা, ভয়াবহতা ও বিচিত্রতা কোন অংশেই কম নয়। অথচ পুরুষ নির্যাতন রোধে আমাদের কোন আইন নেই, প্রতিবাদ নেই, সংগঠন নেই, প্রকাশ্য তৎপরতা নেই, সামাজিক প্রতিরোধ নেই; যেমনটি আছে নারী নির্যাতন রোধের ক্ষেত্রে। তাই নারীর তুলনায় পুরুষেরা এখন ভিতরে ভিতরে অনেক বেশি অসহায়, অনেক বেশি নির্যাতিত। অথচ এসব বিষয়ে পুরুষেরা মুখ খুলেনা তথাকথিত লোকলজ্জার ভয়ে। কেউ যদি মুখ খুলে তো মনে করা হয় তিনি নিজেই ব্যর্থ, নির্যাতিত, কাপুরুষ। তাই পুরুষ নির্যাতন রোধে এগিয়ে আসেনা পুরুষেরাই। যদিও পুরুষ নির্যাতন রোধ এখন সময়ের দাবি।

চলুন দেখাযাক আমাদের বর্তমান সমাজে বিদ্যমান পুরুষ নির্যাতনের কয়েকটি খন্ডচিত্র। নারী পুরুষ উভয়ের সম্মান রক্ষার্থে ঘটনাসমুহের সংগে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের আসল নাম-পরিচয় গোপন রাখা হলো।

এক। মায়ের কাছে যাবার জন্য ভোরেই তৈরি হচ্ছে সালেম। গ্রামের বাড়িতে একা থাকেন সালেমের মা। তিনি মিথ্যা করে বলেন, ‘বাসায় আমার ভালো লাগেনা’। আসলে ছেলের বউয়ের কারনেই একমাত্র ছেলের সাথে থাকা হয়না তাঁর। তাই মাসে দু’একদিন গ্রামে যেতে হয় সালেমের। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাগড়া দিল তার বউ সালেয়া। ‘ফ্রিজ পরিস্কার করে দিয়ে যাও’। কোন কথা বলেনা সালেম। বিবাদ করা তার মায়ের নিষেধ। সে জানে, কথা বললেই বেড়ে যাবে অনেক কথা, লেগে যাবে বিবাদ। যাওয়া হবেনা মায়ের কাছে। সাত সকালে ঘুম ভাঙবে এই ফ্ল্যাট বাড়ির সবার। তাই মায়ের জন্য কেনা শীতের জামাটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে যেতে চায় চুপচাপ। পথ আগলে দাঁড়ায় সালেয়া। গলা ফাটিয়ে বলে, ‘যাও কই, কথা কানে যায় নাই? বলছিযে পরিস্কার করতে হবে’। কোন জবাব দেয়না সালেম। কৌশল করে চাইল্ড বেড রোমে ঢুকে বন্ধ করে দেয় দরজা। আটকে দেয় ইনার লক। বাইরে থেকে দরজা পিটায় সালেয়া। চুপকরে শুয়ে থাকে সালেম। বাবা বলেছিলেন, শুয়ে গেলে কমে যায় রাগ। বাইরে চিৎকার চেচামেচি করে নানান কথা বলতে থাকে সালেয়া। উদ্দার করতে থাকে সালেমের চৌদ্দ গোষ্ঠী। একসময় চাবি এনে ইনার লক খুলে সালেয়া ঢুকে যায় সেই রুমে। জোরে ধাক্কা মারে পাশফিরে শোয়ে থাকা সালেমের গায়ে। হাত ছিটকে মারে সালেম। সালেমের গায়ে লাথি মারে সালেমের বউ। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় সালেমের। শোয়ে থেকেই তার পাশে দাঁড়ানো মারমুখো সালেয়ার গায়ে লাথি মারে সালেম। খাটে শোয়ে থাকা সালেমের পাশে দাঁড়িয়ে সালেমের গায়ে-পায়ে বার বার লাথি মারতে থাকে সালেয়া। এই মারামারির একপর্যায়ে খেটের কোনায় লাগে সালেয়ার জোরালো লাথি। ভেঙ্গে যায় তার পায়ের আঙ্গুল। রক্ত জমেযায় পায়ের গোছায়। হাউমাউ করে কেঁদে উঠে সালেয়া। পাশের রুমেই ঘুমিয়েছিলো ঈদের ছুটিতে আসা ভার্সিটি পড়োয়া ছেলে। মায়ের কান্না শুনে দৌড়ে আসে সে। বিস্তারিত না জেনে, না বুঝেই তুইতোকারি করেতে করতে মারতে যায় সালেমকে। হতবম্ব হয়েযায় সালেম। আরো জোরে হাউমাউ কান্নাকাটি করতে করতে এবং সালেমের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্দার করতে করতে বাসার বাইরে বেরিয়ে যায় সালেয়া। পুলিশ নিয়ে এসে ধরিয়ে দেয় সালেমকে।

দুই। চাকরিজীবী ভাইয়ের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতে গিয়েছিলো মামছু। ভাইও তাকে নিয়েছিলেন অনেক আশাকরে। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে তারা। খুবই ভালো ছাত্র ছিলো মামছু। কিন্তু মামছুকে বাসায় থাকতে দিবেন না ভাবী। এই নিয়ে শুরু হলো বিবাদ আর অশান্তি। পরিস্কার বক্তব্য তার ভাবীর- ‘আমার বাসায় থাকতে পারবেনা তোমার কোন আত্মীয়-স্বজন’। কিছুদিন পর ভাবীর ভাই এলেন বাসায়। পাখি শিকার করতে গেলেন হাওড়ে। সাথে নিয়ে গেলেন মামছুকে। সেখানে গিয়ে বন্দুক তাক করলেন মামছুর বুকে। ভয়ে চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লো মামছু। পরে তার জ্ঞান ফিরলেও আর ফিরলোনা মানসিক ভারসাম্য। সে বাসা ছাড়লো, বাড়ি ছাড়লো, দুনিয়া ছাড়লো। এই শোকে যার পর নাই মর্মাহত হলো মামছুর ভাই সাবেদ। সাবেদের কাছে আর সুন্দর লাগেনা তার আলোচিত সুন্দুরি বউ। বাসায় রাজত্ব কায়েম করে তার বউ। সাবেদের পক্ষের সকল আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্দব থেকে বিচ্ছিন্ন করে সাবেদকে। নানান কথা বলে সাবেদের সন্তানকে বিষিয়ে তোলে সাবেদের মা-বাবা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন সকলের প্রতি। আরো বিষন্নতায় পড়ে সাবেদ। বাসায় ও চাকরিতে বাড়তে থাকে সমস্যা। একসময় সাবেদ হারিয়ে ফেলে সকল কাজের আগ্রহ। চরম অনাগ্রহ তৈরি হয় এই বউয়ের সাথে যৌনতায়। কাজ হয়না কোন ঔষধেও। সাবেদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগায় তার বউ। হাত করে নেয় সাবেদের মাসিক বেতনের টাকাসহ সকল সহায় সম্পদ। এমনকি স্বমীকে দিয়ে একজন খুনের আসামি জামিন করিয়ে দিবেন বলে মোটা অংকের টাকা নেয় কাজের বুয়ার মাধ্যমে। সে কাজে রাজি হয়না সাবেদ। গভীর রাতে নিজের মাথা দেওয়ালে ঠুঁকে, পরদিন সাবেদের নামে নারী নির্যাতন মামলা করে সাবেদের বউ। সাবেদ আটক হয় পুলিশের হাতে। সাময়ীক বরখাস্ত হয় চাকরি থেকে। এই বউ তালাক দিতে চায় সাবেদ। আগেও তালাক দিতে চেয়েছে অনেক বার। কিন্তু উকিল বলেন- ‘আপোস করো। তালাক দিতে গেলে তোমার বিপদ আরো বাড়বে। আইন এখন মেয়েদের পক্ষে। তাছাড়া দশলাখ টাকার কাবিন। তোমারতো আর নাই কিছুই।’ ছয়মাস পর জেলখানা থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে অতিরিক্ত ঔষধ খেয়ে আত্মহত্য করে এলাকার সবচেয়ে বড় সরকারি কর্মকর্তা সাবেদ।

তিন। হৃদরোগ হাসপালের ক্যাবিনে চলছে মিটিং। খুব খারাপ অবস্থা রমিজের মা’র। ডাক্তারেরা বলেদিয়েছেন, আর চিকিৎসা চলবেনা, নিয়ে যান। সবারই মন খারাপ। রমিজের মা, মামা, ভাই, বোন, ভাগনা, ভাগনি, ভাগনি-জামাই সবাই উপস্থিত। সবাই শিক্ষিত, কর্মজীবী ও সচ্ছল। আলোচনা একটাই, কী করাযায় এখন? শেষে সিদ্ধান্ত হলো, বিদেশে নেওয়া হবে রমিজের মাকে। কে কত টাকা দিবেন, কে পাসপোর্ট ভিসা করবেন, কে তিনার সাথে যাবেন ইত্যাদি আলোচনার মাঝে সিদান্ত দিলেন রমিজের মা। আমার সাথে যাবে রমিজ আর সমান হারে টাকা দিবে আমার ছেলেরা এবং দোয়া করবে সবাই। আর্জেন্ট পাসপোর্ট-ভিসার দায়িত্ব দেওয়া হলো রমিজের এক ভাগনি-জামাইকে। সে তার মোবাইল ফোন সেটে তোলে নিয়ে গেলো রমিজের ও রমিজের মায়ের ছবি। বলে গেলো আজকে নাহয় কালকেই হয়েযাবে ভিসা। মাকে নিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় গেলো রমিজ। এই খবর শুনেই ক্ষেপে গেলো রমিজের বউ। শুরু করলো উচ্চবাচ্য- ‘তোমার যাইতে হবে কেনো বিদেশ? হেই বেটির কি আর পোনাপান নাই? তুমি রাজি হইলা কেন? আমারে জিজ্ঞেস করছিলা? তোমার মা’র লাগি এত দরদ, তো মারে লইয়াই থাকতা, বিয়া করছিলা কেন? আর কত বাঁচতে চায় হেই বেটি? দেশের ডাক্তার খাওয়া হইছে, এখন বিদেশের গুলান খাইবো। এই সংসার মজায়া মরবো। কতদিন ধইরা কইতাছি- আমার আরেক জোড়া চুরি বানানোর কথা। তা হয়না, এখন টাকার অভাব হইতোনা। যাও, যেখানে খুশি সেখানে যাও। আমার চুরির টাকা দিয়া যাও। তা নাহলে তুমি কেমনে যাও আমি দেইখা দিমু। ...।

চার। বিয়ের পরে অনেক কষ্ট করে স্ত্রীকে লেখাপড়া করিয়েছেন হবিউলের বেতনের টাকায়। সংসারের সচ্ছলতা বাড়ানোর আশায় স্ত্রীকে জোগাড় করে দিয়েছেন ভালো চাকরি। এখন চাকরি করেন দু’জনেই। কিন্তু পালটে গেছে হবিউলের স্ত্রীর বক্তব্য। পরিস্কার বলেদিয়েছে তার স্ত্রী- ‘তোমার সংসার তুমি চালাবা। সংসারের কোনকিছু আমি কিনবোনা। ছেলেমেয়ে তোমার। তোমার ছেলেমেয়ের যা লাগে তুমি দিবা। আমার যখন যা লাগে তুমি দিবা। আমি একটাকাও দিবনা। আমি কত বেতন পাই তা জানতে চাও কেন? লজ্জা করেনা বউয়ের টাকা চাইতে? আমার টাকার উপর তোমার কোন হক নাই। তোমার বেতনের টাকাও আমার কাছে দিবা। সব খরচ চালানো তোমার দায়িত্ব। তুমি চুরি করবা না ডাকাতি করবা তা আমি জানিনা। ফকিন্নি মার্কা চলা চলতে পারোমনা। ভালোভাবে সংসার চালাইতে না পারলে বিয়া করছিলা কেন? …।’ এমন অনেক বিষয়ে বনিবনা না হওয়ায় হবিউলের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়েযায় হবিউলের বউয়ের। বউ চাকরিজীবী হবার পরেও হবিউলকে পরিশোধ করতে হয় তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়া বউয়ের ভরন-পোষণের টাকা। তদুপরি তিনলাখ টাকার বকেয়া দেনমোহর এখন পরিশোধ করতে হয় ছয়লাখ টাকায়।

কিছুদিন পর, লোকাল বাসের ভিতরে মানুষের ঠেলাঠেলিতে পাশাপাশি হয়েযায় হবিউল আর হবিউলের সাবেক বউ। হঠাত হবিউলের দিকে হাত তুলে বকাবকি শুরুকরে তার সাবেক বউ। ‘ওই বদমায়িশ, তুই আমার গায়ে হাত দিলে কেন? তোর কি মা-বোন নাই?’ এইসব কথা শুনেই ক্ষেপে গেলো বাসের সকল যাত্রী। এই পাপলিক বাসের কেউতো আর জানেনা তাদের ইতিহাস। কিছুই বলার সুযোগ দিলোনা হবিউলকে। নারীর মর্যাদা রক্ষার্থে সবাই ঝাপিয়ে পড়লো হবিউলার উপর। ফাটিয়ে দিলো হবিউলের নাখ-মুখ-চোখ। বাস থামিয়ে পথেই মানিয়ে দিলো হবিউলকে। ততক্ষণে আর জ্ঞান নেই হবিউলের।

পাঁচ। বেতনের সব টাকা স্ত্রীর হাতে তোলে দেন কিসমত। শুরুতে ভালই চলছিলো তাদের সংসার। ইদানীং কিসমতের স্ত্রী নিজের ও তার বাপ-মা-ভাই-বোনের প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে দেদারছে খরচ করছে কিসমতের টাকা। বাসা থেকে কিসমতের ছোটভাইকে তাড়িয়ে দিয়ে, নিয়ে এসেছে নিজের ছোটবোন। এখন কড়ায় গন্ডায় হিসাব করে কিসমতকে দেয় এবং ফেরত নেয় সংসারের খরচ। কিসমতের বাবা-মা-ভাই-বোনকে দেওয়াতো দূরের কথা নিজের ঔষধ কেনার টাকাও পায়না ঠিকমত। কিসমতের বউয়ের বক্তব্য- ‘এটা আমার সংসার। আমি যেভাবে বলবো সেভাবে চলবে। এখানে আসতে পারবেনা তোমার আনকালচার্ড ফেমিলির লোকজন। কী দেয় তারা তোমারে? তোমার যাওয়া লাগে কেন সবার দরকারে? টেলিফোনে এতো কী কথা তাদের সাথে? টাকা লাগেনা টেলিফোন করতে? ইহ্‌, তাইন উপকারি, উপদেষ্টা! সবার উপকার করে। কী করছো, সবার উপকার কইরা? যারা তোমার সাথে চাকরি করে সবারই বাড়ি-গাড়ি আছে। তারা কি বেতন বেশি পায়? তারা টাকা পায় কই? তুমি পাওনা কেন? তুমি শকুন। তোমার খেয়াল নিচেই থাকবে। তোমার চৌদ্দ গোষ্ঠী ফকিন্নি। আস্তে কথা বলবো কেন? লজ্জা লাগে? আমি চুপ করবো কেন? তুমি চুপ করো। আমি আরো জোরে বলবো। কী করবা? করো দেখি। দুই আনার মোরদ নাই আবার কথা বলে। আবার কথা বললে চৌদ্দ শিকের ভিতরে ঢুকায়া …।’

ছয়। ভালোবাসা পাওয়ার আশায় সকল সঞ্চয় দিয়ে বউয়ের নামে ফ্ল্যাট কিনেছে কমল। এখন আরো বেশি নিঠুর হয়েছে কমলের বউয়ের বক্তব্য ও আচরন- ‘তোমার জামাকাপড়ে এমন গন্ধ কেন? তোমাকে না নিষেধ করেছি, আমার বাথরুমে যাবানা। খালি গায়ে বিছানায় শোও কেন? তোমার গায়ের চুল সারা বিছায়। ঠিকমত বসতে না পারলে ছোফায় বসবানা। সারাঘরে তোমার পায়ের ময়লা। আমার চিরুনি ধরবানা বলেদিলাম। আমার গেলাসে পানি খাও কেন? সুন্দর করে গোছায়া রাখতে পারোনা নিজের জামাকাপড়? বন্ধ করে রাখতে পারোনা বইটা? এমন হাবাজাবা কেন, ভালোমত গোছাইতে পারোনা বিছানা? কেমনে টানাও মশারি, ফাঁক থাকে কে?  তোমার নাক ডাকার জ্বালায় আমি ঘুমাতে পারিনা। যত্তসব গাঁইয়া সভাব।…।’ ভালোবাসার ঠেলায় বারান্দায় রাখা ছোট্ট চৌকিতেই এখন কমলের বসবাস।

সাত। কথায় কথায় ‘গোলামের ঘরের গোলাম, বদমায়িশের বাচ্ছা, মজুরের ঘরের মজুর, ফকিরের বাচ্চা ফকির, নিমচার ঘরের নিমচা, বেলাজার ঘরের বেলাজা’ ইত্যাদি গালাগালি বউয়ের মুখ থেকে শুনতে শুনতে ধর্য্য হারা হয়ে একদিন বউয়ের গায়ে হাত তুলেছিলো লেহাজ। তারপর বউ তার মাস্তান ভাইদের দিয়ে লেহাসকে পিটিয়ে লিখে নিয়েছে লেহাজের পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত জমিজমা। এখন সেই জমিতে এবং অন্যের জমিতে কাজ করে জীবন ধারন করে লেহাস। বউয়ের সাথে আর শোতে ইচ্ছে করেনা লেহাজের। তিন সন্তানের বাবা লেহাজ, তার বউয়ের ভাষায় এখন আর পুরুষ না, মরদ না, মাগি।

আট। অফিস থেকে ফিরার পথে বাজার করে নিয়ে আসে ফায়াদ। রাগারাগি শুরু করে তার বউ। বলে, ‘এতক্ষণ তুমি অফিসে কী করো? তোমারে কি বেতন বেশি দেয়? প্রতিদিন বিকালেই চলে আসে পাশের বাসার ভাই। আর তোমার পাঁচটা ছয়টা পর্যন্ত থাকতে হয় অফিসে। দুই টাকার চাকরি, আবার সারাদিন অফিস। নীতিবান চাকরিজীবী। রাতে যায় বাজার করতে। নিয়ে আসে পঁচা জিনিস। কখন রান্না করবে, আর কখন ফিরবে বুয়া?’ এবার মুখ খুলে ফায়াদ, ‘বুয়াকে ছুটি দিয়ে দিলেই পারতা।’ ফায়াদের কথা শেষ না হতেই আরো ক্ষেপে যায় ফায়াদের বউ। চড়া গলায় বলে, ‘হ্যা ভালই। বুয়াকে ছুটি দিয়ে আমি রান্না করবো। বুয়ার জন্যতো খুব দরদ তোমার। বুয়াকে খুব ভালো লাগে, তাই না? নিয়ে যাও, সোফায় বসিয়ে রাখো। আমি রান্না করি। বুয়াকে নিয়ে খেয়ো মজা করে।’ আবার মুখ খুলে ফায়াদ- ‘সকাল বিকাল তাজা শাক-সবজি নিয়ে আসে ফেরিওয়ালা। নিচে নামলেইতো আনা যায় পছন্দ মতো। রান্নাও হয়ে যায় সন্ধার আগে।’ আরো চড়া গলায় কথা বলে ফায়াদের বউ- ‘অ, ভালো কথা। আমাকে দিয়ে বাজার করাতে চাও? আমি কি তোমার কাজের লোক? নিজের কাপড়চোপড় কিনতে যাই বলে কি শাকসবজি কিনতেও যাবো? পাইছো কি? রাখো, দেখাচ্ছি মজা। এই বুয়া, তুমি চলে যাও। যাও, এখনই চলে যাও।’ বুয়াকে বিদায় করে দিয়ে আরো জোরে চিল্লাতে থাকে ফায়াদের বউ- ‘তোমার ভালোবাসার বুয়াকে রিলিফ দিলাম। যাও রান্না ঘরে। এখন থেকে তুমি রান্না করবে।’

নয়। গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরতে রাত হয় তাকিরের। বাসার দরজা খুলেনা তার বউ। বলে- ‘এতোক্ষণে তোমার আসার খবর হয়েছে? বাড়িতে এতো মজা তো আসছো কেনো? থাকতা কয়েকদিন। দেখতা তোমার মায় কী মজা খাওয়ায়। দরজা পিটাবানা, বাইরেই থাকো।’ কিছুক্ষণ খটখট করে ব্যর্থ হয়ে দরজায় হেলান দিয়ে বাইরে বসেই রাত কাটায় সে। ক্লান্ত হলেও মসা আর শীতের যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারেনা একফোঁটাও। ভাবে, কোন দিকে যাবে সে? একদিকে মা আর একদিকে বউ। এই অশান্তির চেয়ে ভালোছিলো বিয়ে না করে থাকাই।

পরদিন সকালে বাইরে হাঁটতে বেরোয় তাকিরের বউ। এই সুযোগে ঘরে ঢুকে জামা বদল করে অফিসে চলে যায় তাকির। অফিস থেকে ফিরে চুপচাপ শুয়ে থাকে সে। ঘরে ঢুকেই খটাস করে দরজা বন্ধ করে দেয় তার বউ। বুঝতে পারে তাকির, এখনই শুরু হবে প্যাঁচাল। চলবে সারারাত। কৌশল করে এটাস বাথরুমে ঢুকে যায় সে। আটকে দেয় দরজা। হাই কোমডের ঢাকনা লাগিয়ে বসে থাকে তার উপর। ভেবে পায়না কী করবে? তার বউ এখন দুই সন্তানের মা। প্রচন্ড চাপ অনুভব করে বুকের মাঝখানে!

দশ। ছোটবেলা থেকেই আবৃত্তি, উপস্থাপনা ও লেখালেখি করে নাদাফ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতো বেতারে, বিতর্ক করতো টিভিতে, লেখালেখি করতো পেপারে। এইসব কারণেই ক্যাম্পাসে খুব জনপ্রিয় ছিলো সে। শিক্ষকতায় এসেও ধরে রেখেছিলো তার এসব ভালো লাগা কাজ। হয়েছিলো তুমুল জনপ্রিয় ও উদ্যমী শিক্ষক। প্রকাশিত হয়েছিলো তার কবিতার বই। কিন্তু বিয়ের পরেই পালটে গেলো নাদাফের জীবনের গতি। তার বউ এসেই বলেদিলো সাফ সাফ- ‘আমাকে শুনাতে এসোনা এই লেখালেখি। বাদ দাও এসব কাজ। কোন লাভ নেই। টাকা ছাড়া জীবন চলেনা। আমার যখন যা লাগে দিতে হবে। কীভাবে জোগাড় করবে তা আমি জানিনা।’ নাদাফ বাড়িয়ে দেয় টিউশি। ঘরে ফিরে রাতে। লিখতে খুব মন চায় তার। অনেক লেখার বিষয় কিলবিল করে তার মাথার ভিতর। কিন্তু লিখতে পারেনা। টেবিলে বসলেই ক্ষেপে যায় তার বউ। শুরু করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি। পাশ ফিরে শোয়ে কাটিয়ে দেয় রাত। কিছুদিন পর ডিপ্রেশনে পড়েযায় নাদাফ। ঔষধ দিয়ে, লেখালেখি চালিয়ে যেতে বলে ডাক্তার। আবার লেখার টেবিলে বসে নাদাফ। কিছুটা ভালো হয় তার মন। এরই মাঝে প্রকাশিত হয় নাদাফের আগের লেখা বেশ কয়েকটি বই। আরো উতসাহ নিয়ে লিখতে বসে নাদাফ। এবার কৌশল পালটায় নাদাফের বউ। ঘরের বিভিন্ন কাজ করতে বাধ্য করে নাদাফকে। তা না হলে মাথায় তোলে সারা বাড়ি। আবার বন্ধ হয় নাদাফের লেখালেখি। আরো বেশি ডিপ্রেশনে পড়ে নাদাফ। এভাবে চলে বছরের পর বছর। নাদাফ এখন আর ভালো শিক্ষক নয়, ভালো লেখক নয়, ভালো আবৃত্তিকার নয়। তেমন বয়স না হতেই সেই অতি উদ্যমী নাদাফ এখন ঝিমিয়ে পড়া ধীর গতির মানুষ। তার বউয়ের ভাষায়- মোরদ নেই, ণপুংশক, কাপুরুষ!

---------------

মো. রহমত উল্লাহ্ :

অধ্যক্ষ- কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা।

www.creativeclan.net