গান- প্রজাপতি বোন আর প্রজাপতি ভাই

<আধ্যাত্মিক গান>
ভেজালের এই দুনিয়ায়
ঈমান রাখাই হচ্ছে দায়।
দয়াকরে দয়াল তুমি
মাফ করো আমায়।।
নিত্যদিনের খাওয়াপরা
হয়না সঠিক জীবন ধারা।
একটুখানি সুখে-দুখে
মনটা তোমায় ভুলেযায়।।
মিথ্যা আমায় ঘিরে ধরে
সন্ধ্যা-সকাল, বাইরে-ঘরে।
সত্য পথে থাকতে টিকে
আল্লাহ্ তুমি হও সহায়।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
ফোন- +8801711147570
[রচনা- ২৫ অক্টোবর ২০০২। পলাশ, নরসিংদী। ]
<আধ্যাত্মিক গান>
পাপি তাপি বান্দা আমি
আল্লাহ্ হও সহায়।
মনটা বশে রাখার মতো
শক্তি দাও আমায়। ।।
যখনই চাই মগ্ন হতে
ধর্ম-কর্ম ইবাদতে।
দুনিয়ারই কথা শুধু-
মনে পড়ে যায়। ।।
হাত বাড়ালে দান-খয়রাতে
মনটা বলে কৃপন হতে !
যাবেনা ধন পরপারে-
মনে ভুলে যায়। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
ফোন: +8801711147570
(নিজ সুর ও সংশোধন- ১২ ফেব্রুআরি ২০১৭, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।)
[রচনা- ২৩ মে ২০০৯। মিরপুর, ঢাকা]
>আধ্যাত্মিক গান<
বিধি তোমার বিধান বুঝিনা-
হাতে পায়ে শিকল দিয়া
খেলা করো আমায় নিয়া!
এই খেলার মর্ম জানিনা।।
পাগলা ঘোড়া মনটা দিলা
লাগাম ছাড়া বানতে দিলা।
মনের মাঝে লুকাইলা
চোখের দেখা দিলানা।।
নিয়ম ছাড়া ইচ্ছা দিলা
নিয়ম ধরে চলতে দিলা।
এতো নামে ডাকতে দিলা
সরব সাড়া দিলানা।।
আশার মাঝে নিরাশ দিলা
সুখের মাঝে দুঃখ দিলা।
পরান পাখি দিয়া দিলা
রাখার সাধ্য দিলানা।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
ফোন- +8801711147570
[রচনা- ০৮ এপ্রিল ১৯৯৫। পলাশ, নরসিংদী।
প্রথম প্রচার- ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০১ মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৭.৫মিনিট। ]
<আধ্যাত্মিক গান>
দয়া করে দয়াল তুমি
পার করো আমায়।
তুমি ছাড়া অকুল নদী
পারের কী উপায়?।।
নাইযে আমার হাতে কড়ি
ভুল করেছি জীবন ভরি।
খেয়াঘাটে এসে আমার
কান্দিয়া দিন যায়।।
আপন আপন ভাবছি যারে
তারাতো আজ আপন নারে।
আপনারে সঁপে দিলাম
দয়াল তোমার পায়।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৯৫। পলাশ, নরসিংদী। প্রথম ও দ্বিতীয় প্রচার: ১৮ আগস্ট ২০০২ বিকাল ৪.৩৫মিনিট এবং ১৮ জুন ২০০৪ রাত ৭.৫০মিনিট। বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা 'ক' ও 'খ'। শিল্পী- আবুল কালাম আজাদ]
<দেশের গান>
ভালোবাসি পাখি আমি
ভালোবাসি বাংলাদেশ।
এইতো আমার জন্মভূমি
এইতো আমার মায়ের দেশ।
পাখির গানে সূর্য ওঠে
মনের বনে গোলাপ ফুটে।
দোয়েল কোয়েল ময়না শ্যামা
পায়রা কোকিল নেইকো শেষ।।
সকাল হলে মোরগ ডাকে
মাতায় ঘুঘু দুপুরটাকে।
বিকেল শয়ন সাঁঝের বেলা
পাখির মেলায় রইতো বেশ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- মে ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
<দেশের গান>
রাহুগ্রাসে পড়েযায় দেশটা
পরিনতি ভেবে কাঁদে মনটা।
দেশটাকে বাঁচাতে হলে ভাই
ভালোদের একতা চাই-ই চাই।।
চলবেনা চোখ বুঁজে রাখলে
না শুনার ভান করে থাকলে।
কাল এসে তোমাকেও ধরবে
এখনই প্রতিবাদ করো ভাই।।
আপোষের নেই কোন যুক্তি
আগামীর মিলবেনা মুক্তি।
প্রজন্ম তোমাকেই দোষবে
প্রতিরোধ ছড়া আর পথ নাই।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
<দেশের গান>
মাতৃভূমি মা
আমায় ক্ষমা করো মা।
তোমায় ছেড়ে আর কোনদিন
চলে যাবোনা।।
সুখের আশায় বিদেশ গেলাম
অবহেলাই বেশি পাইলাম !
তোমার বুকের ছায়া-মায়া
কোথাও পাইলাম না।।
কতই সুরে কন্ঠ দিলাম
কত ভাষায় কথা কইলাম।
তোমার মুখের মধুর ভাষা
কোথাও পাইলাম না।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
<দেশের গান>
বাংলা আমার জন্মভূমি
আপন ঠিকানা
আমার দেশের সাথে কারো
হয়না তুলনা।।
ফুলে-ফলে নদীর জলে
বাঁচি নিরন্তর
লাল-সবুজে মিশে থাকে
আমারই অন্তর।
এমন মধুর ছায়া-মায়া
কোথাও মিলে না।।
সুখে-দুখে দেশের বুকে
থাকবো জীবন ভর
এই মাটিতেই দিও তুমি
আমারে কবর।
মাটির মায়া ছেড়ে আমি
কোথাও যাবোনা।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
<দেশের গান>
সকালের সূর্যটা এলে-
আলো ঝলমল
হয়যে সকল
বাংলার প্রতি পলে পলে। ।।
ঝাউয়ের ডালে বসে ডাকে পাখি
সব ক’টি বনফুল মেলে আঁখি।
রোধের আভায়
সবুজ পাতায়
শিশির সানালি হয়ে দোলে। ।।
ফসলের মাঠে মাঠে ছড়ায় হাসি
বলাকারা উড়ে যায় পাশাপাশি।
ঝিলের বুকে
আকাশ থেকে
রঙের বাহার এসে মিলে। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৮৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]
<পল্লী গান>
আমার বাড়ি সবুজ পাহাড়
সুখের ঠিকানা
এই পাহাড়ের সাথে কারো
হয় না তুলনা।।
ফলের মেলা, ফুলের বাগান
বাঁশের বাঁশি জুড়ায় পরান।
পাখির গানে ঘুমাই-জাগি
জাগাই চেতনা।।
সবুজ মাঠে সোনার ফসল
এই পাহাড়ে সবই আসল।
সবাই মিলে বাঁচি-মরি
নেইতো ছলনা।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
<দেশের গান>
আমাদের ভালোবেসে দিয়েছো জীবন
হে মহান ভাষাসেনা-
তোমাদের জীবনের সেই অবদান
কোনদিন ভুলাযায় না।
ভাষাসেনা, ভাষাসেনা।।
কথা বলি মায়ের ভাষায়
মেতে উঠি গান-কবিতায়।
আমাদের জীবন খাতায়
লেখা আছে লক্ষ দেনা। ।।
(ভাষাসেনা, ভাষাসেনা।)
পাখি গায় বাংলা ভাষায়
ফুটে ফুল সেই চেতনায়।
আমাদের লাল পতাকায়
তোমাদের রক্ত কণা। ।।
(ভাষাসেনা, ভাষাসেনা।)
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+8801711147570
দেশের গান
চলে যায় দিন প্রতিদিন
অতীতের অতল তলায়!
প্রতিদিন রেড়ে যায় ঋণ
জীবনের পাতায় পাতায়। ।।
বাতাসের কাছে দেনা আছে
সাগরের কাছে ঋণ আছে।
পাওনা আছে আমার কাছে
পদ্মা মেঘনা সুরমা যমুনায়। ।।
ভোরের পাখির কাছে
সোনালি চাঁদের কাছে
জানা-অজানায় কত-
বাড়ছে দেনা, বাড়ছে দেনা।।
[ (অথবা)
কতশত ঋণ, যায়না জানা
জানা-অজানায় বাড়ছে দেনা
বাড়ছে দেনা, বাড়ছে দেনা! ]
সূর্যের কাছে দেনা আছে
ফসলের মাঠে ঋণ আছে।
পাওনা আছে আমার কাছে
ঝরনা পাহাড় নদী মোহনায়। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
দেশের গান
সবুজ গাঁয়ের কাছে
আবার যখন ফিরে আসবে
মনের গভীর থেকে
সকল ব্যাথার জ্বালা ভুলবে। ।।
দোয়েল পাখির গানে ঘুম ভাঙবে
অচেনা ফুলের ঘ্রাণে মন রাঙবে।
সোনালি সকাল এসে
বন্ধ চোখের পাতা খুলবে। ।।
হিজল তমাল ছায়ে পথ চলবে
বাঁশের বাঁশির সুরে মন রাঙবে।
সুখের পরশ এসে
স্বপ্নে হৃদয় ভরে তুলবে। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
দেশের গান
সবুজ পাতার ভীড়ে কেনোযে পলাশ হলো লাল
শিমুলের ফুলে কেনো লাগলো এ রঙ-
তুমি জানো কি
হে নবীন তুমি জানো কি? ।।
মায়ের মুখের সুরে তোমায় ডাকি
সেইনা সুরে ডাকে হাজার পাখি।
আমাদের কন্ঠে কীকরে এলো এই গান
তুমি জানো কি?
হে নবীন তুমি জানো কি? ।।
ভাইয়ের ভাষায় বলি 'ভালবাসি'
এমাটির ফুলে ফলে ভাইয়ের হাসি।
আমাদের সূর্যে কে দিলো এতো লাল প্রাণ
তুমি জানো কি?
হে নবীন তুমি জানো কি? ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
দেশের গান
সবার অজান্তে
এই বসন্তে
আবার যেনো তুমি
ফিরে এসেছ।।
আমের মূকুল হয়ে
এসেছ মাধুরি নিয়ে।
পাখিদের গানে গানে
কন্ঠ দিয়েছ।।
শিমুল পলাশ ফুলে
দিয়েছ হৃদয় মেলে।
উদাসী বাতাস হয়ে
সবুজে মিশেছ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
দেশের গান
এমন একটা পখি এনে দাওনা-
যে পাখিটা বাংলা সুরে গাইতে পারে বেশ
মনে-প্রাণে যে পাখিটা বলে বাংলাদেশ।।
(দিনে রাতে যে পাখিটা বলে বাংলাদেশ
দমে দমে যে পাখিটা বলে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।।)
পরদেশি সুর শুনে মন ভরে না
বুকের পাথর গুলো দূরে সরে না।
এমন একটা বাঁশি বেঁধে দাওনা
যে বাঁশিতে মরমী সুর বাজে অনিঃশেষ।।
(সুরে সুরে যে বাঁশিটা বলে বাংলাদেশ)
ভিনদেশি রূপ দেখে বুক ভরে না
মায়ের মুখের ছবি চোখে পড়ে না।
এমন একটা ছবি এঁকে দাওনা
যে ছবিতে লাল সবুজের মহাসমাবেশ।।
(ফুটে উঠে যে ছবিতে আমার বাংলাদেশ।)
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
Phone: +8801711147570
<পল্লী গান>
শাল দুধ খাওয়াইও তোমার শিশুরে
মিষ্টি মধু যতই থাকে
বুকের দুধই দিও মুখে
এই অনুরাধ করি সকল মায়ের। ।।
দেখতে যতই মন্দ হোক
এই দুধে নাই কোনা রোগ।
এমন সেরা শিশুর খাবার
পাইবানা সংসারে। ।।
খোদার দান এই বুকের দুধ
করবে ব্যাধি প্রতিরোধ।
থাকবে শিশু সুস্থ-সবল
সারা জীবন ভরে।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০২ জানুয়ারি ২০০৩।
পলাশ, নরসিংদী। ]
<পল্লী গান>
দামে খাবার দামি নয়
পুষ্টি গুণেই দামি হয়।
না বুঝে না জেনে খেলেই
অপুষ্টিতে ভোগতে হয়। ।।
রুই কাতলের চেয়ে ভালো
মলা ঢেলা চাপিলা
আপেলই নয়, খেয়ো তুমি
পেপে কলা কমলা।
বেল- পেয়ারা- আম- কাঁঠালে
বলো কে না সুস্থ রয়? ।।
গরু খাসির চেয়ে ভালো
লাল- পুই- পালং শাক।
আয়রন বড়ি না খেয়ে খাও
কাঁচা কলা- কচু শাক।
মটর গাজর মিষ্টিকুমড়া
সব মানুষেই ভালো কয়। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০৩ জানুয়ারি ২০০৩।
পলাশ, নরসিংদী। ]
<পল্লী গান>
নদীরে তুই এমন নিঠুর হইলি কেনে বল?
সর্বনাসা হইয়া আমার ভাসাইলি সকল! ।।
আশা কইরা ঘর বানাইলাম এইনা তোরই কুলে
সেই ঘর আমার ভাইঙ্গা দিলি আপন খেলার ছলে!
তোর জলে আজ মিশে গেলো আমার চাখের জল! ।।
আশা নিলি, বাসা নিলি, নিলি ভালাবাসা
এই অভাগার জীবন নিয়া খেললি কত পাশা!
সব নিয়া তুই দিলি বুকে শুধুই দুখের ঢল! ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ২৮ আগস্ট ১৯৯৫। পলাশ, নরসিংদী।
প্রথম প্রচার- বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা- ক,
২৮ আগস্ট ১৯৯৫, বিকাল ০৪.৩৫মি. এবং
২৬ ডিসেম্বর ২০০৩, রাত ০৯.২০মি.
শিল্পী- আবুল কালাম সিদ্দিকী ]
<পল্লী গান>
আমার বাড়ি আইসো বন্ধু
বসতে দিবো পিঁড়ি।
শীতের পিঠা খাইতে দিবো
তোমার দু'হাত ভরি।।
উড়কি ধানের মুড়কি দিবো, বিন্নি ধানের খই
গুড় দিবো, চিড়া দিবো, আরো দিবো দই।
সাত সকালে আইনা দিবো
খেজুর রসের হাড়ি।।
গাছের পাকা কলা দিবো, নারিকেলের নাড়ু
বাটায় ভরা পান দিবো, চাইলে দিবো আরো।
দাদির মুখে শুনবে তুমি
গল্প কাড়ি কাড়ি।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১০, ১১ জানুয়ারি ১৯৯৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
<পল্লী গান>
সুন্দুরী তোর হলদে শাড়ি
এমন কর উড়াস না।
রূপের ঠেলায় মন মানেনা
ঢং দেখায়া মারিস না।।
তুই যেনো গো হলুদ পরি
তার উপরে হলদে শাড়ি।
মুখে আবার আঁচল টেনে
বাঁকা চোখে দেখিস না।।
আমার গাঁয়ের হলুদ পাখি
হার মানে গো তোরে দেখি।
দোহাই লাগে পাখির মতো
উড়ু উড়ু করিস না।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০৪ মার্চ ১৯৯৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
<পল্লী গান>
বন্ধুরে, ও বন্ধুরে-
কথা দিয়া রাখলা না
চিঠিপত্র দিলা না
মোবাইলে ফোন করলা।
এতো নিঠুর হইবা তুমি
আগে জানতাম না।।
ও বন্ধুরে-
দিবা-রাতি জাইগা থাকি
তোমার কথাই ভাবতে থাকি।
কেমন আছো আমায় তুমি
জানতে দিলা না।।
ও বন্ধুরে-
পথ পানে চাইয়া থাকি
মনে মনে তোমায় ডাকি।
'আসি' বইলা চইলা গেলা
আরতো আইলা না।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১২ অক্টোবর ১৯৯২। পলাশ, নরসিংদী। ]
<পল্লী গান>
মাটির পৃথিবী জুড়ে শান্তি পাইলাম না
মাটির মতো খাঁটি কোন মানুষ পাইলাম না।।
আপন ভেবে যখন যারে বন্ধু বানাইলাম
সে-ই আমায় দিলো ফাঁকি সবই হারাইলাম।
কারো মাঝে মানবতা আজো পাইলাম না।।
আপন লাভে সবাই গেছে ভুইলা আপন জন
কান্দে নয়ন দিনে-রাতে কান্দে আমার মন।
আমি কেনো সবার মতো নিঠুর হইলাম না।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[১৫ মে ১৯৯৫। পলাশ, নরসিংদী। ]
<শিশুদের গান>
প্রজাপতি বোন আর প্রজাপতি ভাই
তোমাদের মতো আমি রাঙা পাখা চাই।
চাই চাই চাই আমি দু’টি পাখা চাই।।
মন চায় আকাশেতে উড়তে
দিন রাত ফুলে ফুলে ঘুরতে।
বলোনা কোথায় গেলে সেই পাখা পাই?।।
মন বলে না না রঙে সাজতে
তোমাদের দলে গিয়ে নাচতে।
বলোনা কেমন করে সেই দলে যাই?।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০৮ জুন ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
শিশুতোষ গান
আম্মু যায় অফিসে
আব্বু যায় কলেজে
আমার যে দিন আর কাটে না সহজে।।
খেলনা পুতুল-গাড়ি নিয়ে
খেলা করি ছড়া-গান গেয়ে।
আমার মুখের কথা শুনেনা তারা যে।।
টিভি আর টেব দেখে দেখে
বার বার জ্বালা ধরে চোখে।
আমার মনের ব্যথা বোঝে না তারা যে।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০৫ জুন ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
<শিশুতোষ গান>
বিড়াল ছানা দেয়যে হানা
সুযোগ পেলেই হাঁড়িতে।
তাইতো তারে অনাদরে
রাখেন সবাই বাড়িতে।।
ভাইয়া করেন দূরদূর
বিড়াল ধরে করূণ সুর।
বাবা বলেন দুষ্টু বিড়াল
বন্দি করে ঝুড়িতে।।
আম্মু বলেন, দাঁড়া চোর
পালায় বিড়াল সূরসূর।
মামা করেন ফাঁসির আদেশ
ঝুলাও তারে দড়িতে।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
<শিশুদের গান>
আজকে আমার জন্মদিন ছোট্ট আয়োজন। তোমাদেরকে জানাই আমি সাদর আমন্ত্রণ।।
চাই না কোনো উপহার আশির্বাদ চাই সবার। আপনজনের ভালোবাসায় ধন্য আমার মন।।
বাঁচার মতো বাঁচতে চাই সবার সেবা করতে চাই। তোমরা আমায় দিও সুযোগ গড়তে এ জীবন।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ৩১ মে ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
<শিশুদের গান>
শেয়াল বেটা মনের কথা
কারো কাছেই বলে না।
বাঘের সাথে আত্মীয়তা
কোনদিনই চলে না।।
শোয়াল বলে-রাত্রি পোহা
হোক্কা হোয়া হোক্কা হোয়া !
আসলে সে মুরগি খোঁজে
দিনের আলো খোঁজে না।।
হাতের কাছে হরিণ পেলে
বাঘেরা সব যায়যে ভুলে !
মামা মামা বলে ছাগল
মামায় তারে ছড়ে না।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০২ জুন ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
<শিশুদের গান>
(অমি) ঘুমাতে যাই আগেভাগে
উঠি খুবই সকালে
খুলা হাওয়ায় ঘুরি ফিরি
সবুজেতে খোখ মেলে। ।।
নিয়মিত করি লেখাপড়া
খেলাধুলা আর গান- ছড়া।
দেইনা সময় যেতে আমি
এতোটুকু বিফলে। ।।
বিদ্যালয়ে আমি হই সেরা
খেলার মাঠে হারে বন্ধুরা।
তাইতো আমায় ভালোবাসে
ছোট বড় সকলে। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- মে ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
<শিশুদের গান>
আমরা ছোট
আমাদের মনটাতো ছোট না।
দোহাই লাগে
আমাদের তোমরা 'না' বলো না।।
হাসি-খুশি খেলাধুলা
প্রাণ খুলে কথা বলা
আমাদেরও ইচ্ছে করে,
দিনে-রাতে খেটে মরা
মালিকেরে খুশি করা
আমাদেরও ক্লান্তি ধরে।
দুর্বিষহ জীবন থেকে তুলে নাও না।।
দামি দামি লেখাপড়া
ভালো ভালো খাওয়া-পরা
আমাদেরও মনে ধরে,
জ্ঞানী-গুনী ধনি হতে
হিমালয়ে-চাঁদে যেতে
আমাদেরও ইচ্ছে করে।
আঁধার হতে আলোর পথে যেতে দাওনা।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০২ অক্টোবর ২০০২। পলাশ, নরসিংদী ]
<শিশুদের গান>
শিশুদের নেই কোন অপরাধ
কোনদিন শিশুদের ব্যথা দিও না।
কচি কচি মনগুলো নিষ্পাপ
ফুটন্ত কলিদের ছিড়ে ফেলো না।।
ছেলে মেয়ে সাদা কালো
সব বুকে একই আলো।
সম্ভাবনার আলো দাবাতে
নিষ্ঠুর কালো হাত বাড়িও না।।
আমি তুমি দীন ধনি
সব শিশু সোনামনি।
প্রতিশোধের নীল আগুনে
সৃষ্টির সেরা ধন জ্বালিও না।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ২২ অক্টোবর ২০০২। পলাশ, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
যত দূরে যাই-
মনেহয় তোমাকে আরো কাছে পাই।
কীকরে যে বলো তুমি-
চোখের আড়াল হলে ভুলে যাই।।
যদিও কাজের মাঝে দু'হাত রাখি,
শত মানুষের ভীড়ে ডুবে থাকি।
তোমার চোখের তারা ছড়ায় আলো-
মনের গভীরে যখনই তাকাই।।
লোকালয় ছেড়ে গেলে দূর-সীমানায়,
জীবনের ব্যস্ততা সব ভুলা যায়।
তোমার মুখের ছবি যায়না ভুলা-
সুখের সাগরে যতই হারাই।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৯। পরিমার্জন- ডিসেম্বর ২০১৬]
<আধুনিক গান>
তুমি বলতে পারো কি
কেনো এমন হয়?
কারো পাশে ভাবতে তোমায়
সয়না এ হৃদয়।।
হৃদয়ের ঝিনুক মাঝে
আছো কি মুক্তা সেজে?
তোমায় ছাড়া কেনো এ মন
শূন্য মনে হয়?।।
তোমারও মনের বীনা
বলোনা বজে কি না?
আমার গানে কেনো তোমার
সুরের ধ্বণি হয়?।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]
<আধুনিক গান>
তুমি যদি হতে বন রাজহংসী
আমি যদি বন রাজহংস হতাম।
আরো বেশি মধুময় হতো জীবন
দূর অজানায় কত হারিয়ে যেতাম।।
মানুষের কুলাহল ছাড়িয়ে
ধানশিড়ি নদী খানি পেড়িয়ে।
নীরবতা ভরা সেই বনভূমিতে
শুধু দু’জনায় নীড় বানিয়ে নিতাম।।
ফসলের মাঠে মাঠে গড়িয়ে
জীবনের সব ব্যাথা হারিয়ে।
অনাবিল সুখ গুলো হাসি-খুশিতে
তুমি আর আমি শুধু হৃদয়ে নিতাম।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭০
[রচনা- ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০।
ভেড়ামারা, সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
হারিয়ে যাবে না কোনদিন
তুমি কথা দাও
দুঃখ-সুখে অমায় তুমি
সাথি করে নাও।।
ভুলে গিয়ে সব অজুহাত
এই হাতে রাখো সেই হাত।
চোখের পরে সে চোখ রাখো
সুখ যদি চাও।।
ভালোবাসা হয়ে যাবে রথ
পার হবো জীবনের পথ।
মনের মাঝে মনের ছবি
এঁকে নিয়ে যাও।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৮। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]
<আধুনিক গান>
পাথরে পাথরে আগুন জ্বলে।
আদরে আদরে পাথর গলে।।
মনেহয় কাটে না দিন
সবকিছু হয়যে কঠিন-
দু'জনার দু’টি মন কঠিন হলে।
পাথরে পাথরে আগুন জ্বলে।
রাতকেও মনেহয় দিন
সবকিছু হয়যে রঙিন-
দু’জনার দু’টি মন কোমল হলে।
আদরে আদরে পাথর গলে।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[০২ জুন ২০০৪।
পলাশ থেকে মতলব যাওয়ার পথে।]
<আধুনিক গান>
তুমি সাদা কালো যা-ই হও
কিছুই আসে যায় না।
মনটা শুধু সাদা হলে
কিছুই কালো রয় না।।
যতই ভালো থাকুক রূপ
মন না হলে অনুরূপ-
গুণ না হলে রূপের কদর
ধরে রাখা যায় না।।
যতই টানা হোক দু’চোখ
চোখ না হলে আসল চোখ-
মন না হলে দেখার মতো
আসল দেখা হয় না।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০৭ অক্টোবর ২০০২। পলাশ, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
তোমার চোখের গভীরতায়
ডুব দিয়েছি আমি।
আমার বুকের নিরবতায়
গান গেয়েছো তুমি।।
চোখের তারায় রঙ দিয়েছো
হৃদয় বীনায় সুর দিয়েছো।
এমন সুখের আকুলতায়
দিন গুনে-ছিলামই।।
গানের কথার শেষ জানি না
দুঃখ-ব্যথার ভয় করি না।
ঊর্মি সাগর পারি দেওয়ায়
হাল ধরে-নিলামই।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০। বাড়ি থেকে চবিতে
যাবার সময় ঊর্মি অরুনা ট্রেনে বসে লেখা।]
<আধুনিক গান>
আগে বুঝিনি তুমি এত সুন্দর!
হারানো দিনে
তোমার সথে কেটেছে কত প্রহর।।
রূপালি দীঘির জলে
তুমি আমি কতদিন
শাপলা কুড়াতে গিয়ে
কাটিয়েছি সারাদিন।
জানিনি তখন, তোমায় কখন
কুড়িয়েছিলো অন্তর।।
সবুজ পাতার ভিড়ে
কতদিন কতনা বেলা
পুতুল বিয়ের ঘরে
দু’জনে করেছি খেলা।
বুঝিনি তখন, হৃদয়ে কখন
বেঁধেছিলে তুমি ঘর।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৯০। সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
তুমি বলতে পারো কি
কেনো এমন হয়?
কারো পাশে ভাবতে তোমায়
সয়না এ হৃদয়।।
হৃদয়ের ঝিনুক মাঝে
আছো কি মুক্তা সেজে?
তোমায় ছাড়া কেনো এ মন
শূন্য মনে হয়?।।
তোমারও মনের বীনা
বলোনা বজে কি না?
আমার গানে কেনো তোমার
সুরের ধ্বণি হয়?।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]
<আধুনিক গান>
‘ভালো আছি' এই হলো মুখের কথা।
আসলেই তুমি আমি কেউ ভালো নেই।
আসলেই পৃথিবীতে কেউ সুখে নেই।।
রাজাদের বাড়েনা রাজ্য
প্রজাদের খাদ্য জোটেনা।
কবিদের মিলেনা ছন্দ
মূর্খের দ্বন্দ্ব কাটেনা।
কুশল শুধালে তবু সবাই বলি
'ভালো আছি', 'ভালো আছি'।।
প্রেমিকের মিটেনা তৃপ্তি
লোভীদের মনটা ভরেনা
বুমারুরা খোঁজেনা শান্তি
বিবেকের মুক্তি মিলেনা।
কুশল শুধালে তবু সবাই বলি
'ভালো আছি', 'ভালো আছি'।।
অথবা
ভালা আছি’ এই হলো মুখের কথা-
আসলেই আমরা কেউ ভালো নেই॥
কবিদের ছন্দ মিলেনা
মূর্খের দ্বন্ধ কাটেনা!
কুশল শুধালে তবু সবাই বলি-
‘ভালো আছি’॥
প্রেমিকের তৃপ্তি মিটেনা
লোভীদর মনটা ভরে না!
কুশল শুধালে তবু সবাই বলি
‘ভালা আছি’।।
রাজাদের ক্ষমতা বাড়েনা
প্রজাদের অনটন কমেনা।
কুশল শুধালে তবু সবাই বলি
'ভালো আছি'।।
বুমারোরা শান্তি খোঁজেনা
বিবেকের মুক্তি মিলেনা।
কুশল শুধালে তবু সবাই বলি
'ভালো আছি'॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+8801711147570
[রচনা: ৩০ এপ্রিল ১৯৯৫, পলাশ, নরসিংদী। সুর ও পরিমার্জন: ০৫ মার্চ ২০১৭, মোহাম্মদপুর, ঢাকা]
<আধুনিক গান>
পথিবী পাথর হয়ে
আমার বুকে চেপে বসলে
নীরবে নিবো সয়ে।
(তবু) তোমার দেওয়া বিন্দু ব্যথা সইতে পারবো না!
দোহাই লাগে আমায় তুমি দুঃখ দিও না। ॥
যেমনি বলো বাঁচত পারি মরতে পারি
তোমার নামে সকল সাধন করতে পারি।
আর সকলে পাগল বলুক পাগল হবো না।
তুমি শুধু ভুল বোঝলই বিফল সাধনা। ॥
তোমায় পেলে সবই ভুলে থাকতে পারি
সকল কিছু তোমার কাছে সঁপতে পারি।
আর সকলে যা-ই করুক গায়ে লাগে না।
তুমি শুধু মুখ ফিরালেই মন যে মানে না। ॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০৫ মার্চ ১৯৯৫। ভেড়ামারা, জয়নগর, সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
বসন্ত এলো গেলো
তুমি এলে না।
মনের বদলে তুমি
মন দিলে না। ॥
হাসি দিয়ে কেড়ে নিলে মন
সেই হাসি হলো যে মরণ!
মনের কথা নিলে
কথার কথা দিলে
কী করেযে সই বলো এই ছলনা। ॥
চোখে চোখ রেখে কিছুক্ষণ
দেখিয়েছো হাজারো স্বপন!
বিরহ বুকে নিয়ে
তোমার পথ চেয়ে
কী করেযে কাটে দিন কেউ জানে না। ॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ২৩ নভেম্বর ১৯৯৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
কিশোর বেলার সেই দিন গুলো
জানিনা হারিয়ে গেছে কত দূরে!
জীবনের এতো পথ পার হয়ে
এখনো তোমার স্মতি মনে পড়ে। ॥
চুপি চুপি হাত রেখে আমার হাতে
বলেছিলে সুখে দুখে রইবে সাথে।
চোখেরর ভাষায় বলা কত কথা
আগের মতোই আছে আঁখি নীড়ে। ॥
ফেলে আসা সেই দিন পাবোনা জানি
তুমিওতো সেই তুমি হবেনা জানি।
হারানো দিনের সুখ ফিরে পেতে
মনটা তবু আজ কঁদে মরে। ॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। ]
<আধুনিক গান>
কেন করো এতো ছলনা?
আমারে উজাড় করে
চলে যাও বারে বারে
একা থাকা প্রাণ সয়না। ॥
প্রেমাগুনে পোড়ে আমারে
কি সুখ তুমি পাও অন্তরে !
হাত খানি হাতে রেখে
দিয়ে যাও স্মৃতি এঁকে
মন নিয়ে মনে রাখোনা। ॥
নিজেরে লুকিয়ে আঁধারে
কাছে যেতে বলো আমারে।
চোখ রেখে চোখে হেসে
দিয়ে যাও ব্যথা শেষে
কথা দিয়ে কথা রাখোনা। ॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম। ]
<আধুনিক গান>
এই হাতে রেখে হাত
একটি গোলাপ দিয়েছো।
দিলে ফুল, নিলে মন
তুমি কি সে কথা জেনেছো?॥
গোলাপের রং এসে লাগলো মনে
(এ) হৃদয় বীণা তাই মাতলো গানে।
গানে গানে মনে প্রাণে
সুরের মাধুরী মেখেছো। ॥
সোহাগের সেই ক্ষণ যায় না ভোলা
মধুময় মনে হয় জীবন ভেলা।
চোখে চোখে রেখে চোখ
সুখের ঠিকানা বলেছো। ॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০।
ভেড়ামাড়া, সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
ভালোবেসে এই মনে
মন পেতে চাই
চিরদিন সেই মনে
যেনো রয়ে যাই। ॥
তোমারে আমার করে
যাই কত অভিসারে।
লগ্ন সাজানো বনে
দু’জনে হারাই। ॥
হৃদয়ে বাসর গড়ি
খুশিতে জীবন ভরি।
দু’চোখে নতুন করে
স্বপ্ন সাজাই। ॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৯। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]
<আধুনিক গান>
সবার অজান্তে
এই বসন্তে
আবার যেনো তুমি
ফিরে এসেছো।।
আমের মূকুল হয়ে
এসেছো মাধুরী নিয়ে।
পাখিদের গানে গানে
কন্ঠ দিয়েছো।।
শিমুল পলাশ ফুলে
দিয়েছো হৃদয় মেলে।
উদাসী বাতাস হয়ে
সবুজে মিশেছো।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৮। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]
<আধুনিক গান>
ভালোবাসা ছাড়া কেউ
ভালো কিছু পায়না,
অহমিকা বুকে নিয়ে
ভালোবাসা যায়না। ॥
নিয়য়ের বন্ধনে বেঁধে রাখা যায়
ধর্মের পালকিতে পাশে বসা যায়।
অধিকারে কানদিনই
মন পাওয়া যায়না। ॥
আজীবন প্রয়াজনে কাছে থাকা যায়
দুইজন তবু থাকে দুই সীমানায়।
ব্যবধান বুকে নিয়ে
এক হওয়া যায়না। ॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- মে ২০০৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
চাঁদকে ভালাবাসি না
ভালোবাসি চাঁদর আলা।
কোকিল ভালো লাগেনা
কুহুকুহু লাগে ভালো।।
মন খুলা মুখের হাসি
আসলেই ভালোবাসি।
হাসিটা মন্দ হলেই
রাঙা মুখ লাগে কালো।
সে মনের ভালোবাসা
এ মনে জাগায় আসা।
রূপেতে দৃষ্টি গেলেই
খোঁজে মন দিনের আলো।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৫ নভেম্বর ২০০২।
পলাশ, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
ভালো আছো শুনে আমি
অবাক হলাম।
আবারও তোমার কাছে
হেরে গেলাম।।
ভালোবাসা প্রেম প্রীতি
এতো কথা এতো স্মতি-
ভুলে গেছো জেনে-
নিথর হলাম ।।
আমিও তোমার মতো
ভুলেযেতে পারিনা তো।
সেই স্মৃতি নিয়ে-
পাথর হলাম ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০২ জানুয়ারি ২০০৩।
পলাশ, নরসিংদী। সুর ও পরিমার্জন- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। মোহাম্মদপুর, ঢাকা।]
<আধুনিক গান>
মানুষের জন্য আমার এ গান
জীবনের জন্য আমার এ গান।
মারণ ব্যাধিতে/হায়েনার আগাতে
নিভেনা যেনো
কারো নিস্পাপ প্রাণ।।
যে মুখের হাসিটা হয়েছে মলিন
তার কাছে আমার অফুরান ঋণ।
বার বার মনেহয়
সে আমারই জান। ॥
মানবতা এখনো হয়নি বিলিন
মানুষেরা হয়নি হৃদয় বিহীন।
ভালোবেসে করাযায়
সবকিছু দান।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[১৮ আগস্ট ২০০৮। মিরপুর, ঢাকা।]
<আধুনিক গান>
এখনো তোমায় নিয়ে কবিতা লিখি
তোমায় নিয়ে করি গান।
কখনো চাইনা আমি (তোমার কাছে)
ভালোবাসার প্রতিদান। (চাইনা কোন প্রতিদান।)॥
দুঃখ জয়ের সুখ কীযে মধুময়
তোমায় হৃদয় দিয়ে তাই জানা হয়।
নিজের মনের কাছে প্রশ করো
দু’জনার কে মহীয়ান। ॥
ব্যথার আগুন পোড়ে খাঁটি এ হৃদয়
কঠিন আঘাত সেতো সহজেই সয়।
বাকিটা জীবন যেনো বিরহ ভারে
থাকতে পারি বলীয়ান। ॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ৩১ আগস্ট ২০০৮।
মিরপুর, ঢাকা।]
<আধুনিক গান>
সবাইতো চলে যায় কোন একদিন
কাউকেই ধরে রাখা যায়না।
মনের গভীর থেকে ভালো লাগা মন
কোনদিন ছুটি দেয়া যায়না। ॥
যার কথা সুকবিতা, মধুময় গান
রাঙা ঠোঁট, কালো চাখ, প্রাণময় প্রাণ!
উড়ে যাক যত দূর সেই প্রিয়জন-
মন থেকে দূরে সরে যায়না। ॥
ছোট ছোট খুনসুটি, মান-অভিমান
পান থেকে চুন খসা, চুন থেকে পান!
অনুরাগ - অনুযাগ - বিরহ - মিলন-
আজীবন ভুলে থাকা যায়না। ॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
মিরপুর, ঢাকা।]
<আধুনিক গান>
বিরহ বেলায় গাওয়া আমার এ গান
অবসর পেলে শুনে নিও।
গানের কথা যদি মনের কথা হয়
কথা গুলা রেখে দিও। ।।
যদি এমন কোন কথা হয়-
সুরের সাথে আবার
অতীত দিনের কাছে ফিরে যেতে হয়।
চুপিচুপি ফিরে যেও। ।।
এমনও তো হতে পারে-
তোমার আগেই আমি চলে যাবো পরপারে। ।।
যদি এমন কোন ব্যথা হয়-
আমার মনের কাছে
তোমার সে মনটাকে ঋণী মনে হয়।
মনে মনে শোধে নিও। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৫। ভেড়ামারা, সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। সুর ও সংশোধ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।]
<আধুনিক গান>
তোমার মোবাইল ফোনের নম্বরটা
খুঁজি মনে মনে
আমার ভালোবাসার কথাটা
বলবো তোমার কানে। ।।
বারে বারে কাছে যাই
পরিচিত হতে চাই।
কী বলে যে করবো শুরু
বুঝিনা সেই ক্ষণে। ।।
একা একা সারাক্ষণ
করি কত আলাপন।
কী করে যে পাবো ঠাঁই
জানি না সেই মনে। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১২ নভেম্বর ২০০২।
পলাশ, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
শহর থেকে বহু দূরে
পাহাড় থেকে অদূরে
হিজল ছায়ে ঢাকা পথের বাঁকে
তোমায় খোঁজে ফিরি মনের সুখে। ।।
আসমানী রঙ শাড়ি পরে
দাঁড়িয়ে ছিলে ঝরনা ধারে।
ঘোমটা দিয়ে পালিয়ে গেলে
আমার দেখা পেয়ে লাজুক মুখে। ।।
হৃদয়ের এক অজানা টানে
কত শত বার আসি এখানে।
বুঝিনি তখন গোপনে কখন
লুকিয়ে ছিলে তুমি আমার বুকে। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৬। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]
<আধুনিক গান>
কখনো যদি অবসরে
আমায় মনে পড়ে
ভেবোনা যেনো তোমায় ভুলে
রয়েছি বহু দূরে। ।।
মনের দুয়ার খুলে দিও
প্রেমের আলোয় দেখে নিও।
যেমন ছিলাম তেমনি আছি
হাজার মুখের ভীড়ে। ।।
হারানো দিনে ফিরে যেও
নিজের কাছে জেনে নিও।
তোমার হয়ে আজা আছি
স্মৃতির বাসর ঘরে। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৮। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]
<আধুনিক গান>
সকল বাঁধন ছিড়ে
এইতো সে চলে গেলো
আমার দু’চাখ ভরে
দু’ফোঁটা বষ্টি এলো। ।।
কথা ছিলো আমরা হবো একাকার
সাথী ররো দু’জনে শুধু দু’জনার।
সেই কথা ভুলে তবু
মরনের সাথী হলো। ।।
আশা ছিলো হৃদয়ে নীড় বাঁধবার
সুখের স্বপ্ন গুলো সফল করার।
রঙিন স্বপ্ন যনো
স্মৃতির ফলক হলো। ।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৮৮। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ]
<আধুনিক গান>
ভুলবার মতো নয় কোনদিন
হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া সেই সুখ।
যে মধুর সুখ পেয়েছি সেদিন
অপলক চেয়ে দেখে তোমার মুখ।।
গভীর ঘুমে তুমি ছিলে বিভোল
এলোচুলে ঢাকাছিলো আধেক কপোল।
কাজল চাখের দু’টি মিলানো পাতায়
আঁকাছিলো যেনো সব মিলনের সুখ।।
বাঁশি-নাকে ছিলো ঘাম শিশির হয়ে
ললাটে ছিলো যেনো চাঁদ ঘুমিয়ে।
ডালিম ফুলের মতো রাঙানো ঠোঁটে
রাঙিয়ে দিয়েছো তুমি আমার এ বুক।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ০১ জানুয়ারি ১৯৮৯।
ভেড়ামারা, সবুজ পাহাড়, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
সত্যের পথে এসো নবীন-
যেই পথা আজ আলো জ্বলে যায়
সেই পথে এসে করো নিজেকে রঙিন।।
ভয় নেই কোন ভয় নেই
আমরা রয়েছি সাথে,
বাধা নেই কোন বাধা নেই
তোমার চলার পথে।
এই হাতে আজ রাখো সেই হাত
চেয়ে দেখো এই পথ আঁধার বিহীন।।
দুঃখ নেই কোন দুঃখ নেই
নেই কোন ভয় অপমান,
নিজেকে তুমি নিজেকে
গড়ে তোল সেই মহাপ্রাণ।
যেই প্রাণ আজ চায় এ সমাজ
সেই প্রাণ দিয়ে তারে করো রঙিন।।
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৯৪। পলাশ, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
(তোমার) কাজল কালো চুল
তারায় ভরা চোখ
ভালো লাগে, ভালোবাসি
কী যে ভালোবাসি! ॥
ময়না হয়ে কথা বলো
কোকিল হয়ে করো গান।
মধুর সুরে মনটা আমার
হয় যে বাঁশর বাঁশি। ॥
আলতা পায়ে পথ চলো
ঘোমটা দিয়ে ফিরে চাও।
বুকের মাঝে সানাই বাজে
স্বপ ভেলায় ভাসি। ॥
গীতিকার- মো. রহমত উল্লাহ্
+৮৮০১৭১ ১১ ৪৭ ৫৭ ০
[রচনা- ১৯৯৫। পলাশ, নরসিংদী। ]
<আধুনিক গান>
যা কিছু আমার আছে সব নিয়ে যাও
দোহাই লাগে শুধু জীবন বাঁচাও! ।।
রক্তের গন্ধে ক্ষুধা লাগনা
অস্ত্রের শব্দে ঘুম আস না!
চাই না কিছু আর এখন আমার
(শুধু) নির্ভয়ে নিরাপদে বাঁচতে দাও!।।
আনন্দ উৎসবে প্রাণ হাসেনা
ধর্মে ও কর্মে মন বসেনা!
চাই না কিছু আর এখন আমার
(শুধু) স্বাভাবিক মৃত্ত্যুর গ্যারান্টি দাও!।।
[দৈনিক যায়যায়দিন > ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ এবং সাপ্তাহিক প্রতিচিত্র > ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬]