সকল শিক্ষার্থীর জন্যই নিশ্চিত করতে হবে নির্যাতন মুক্ত পরিবেশ
মো. রহমত উল্লাহ্
“শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্যাতন কেন মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী নয়”- মর্মে গত ১৮ জুলাই ২০১০ তারিখ রবিরার একটি যুগান্তকারি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। গত ২০ জুলাই ২০১০ তারিখে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট অনুসারে দেখা যায় এই রুলে বলা হয়েছে -‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যাযের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারিরীক ও মানসিক শাস্তি দেওয়ার নামে নির্যাতনকে কেন অবৈধ ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাম্প্রপ্রতিক সময়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেওয়ার নামে যে নির্যাতন চালানো হয়েছে সেগুলোর সম্পর্কে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ... এছাড়া যে শিক্ষাকরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে আদালত। তাছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান এসব শাস্তি রোধ করার দায়িত্বে নিয়োজিত তাদের নিষ্কৃয়তাকেও কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি থেকে বাঁচাতে একটি নির্দেশণা প্রনয়নের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তাও আদালতকে জানাতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রতি এই অমানবিক আচরণকে কেন সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের হরণ বলে ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছে আদালত।’
এই রোল জারি হওয়ার পর কিছুটা টনক নড়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিসিদ্ধ করে একটি নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১১' শিরোনামে জারিকৃত এই আদেশের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে- শারীরিক শাস্তি বলতে বুঝাবে যে কোন ধরনের দৈহিক আঘাত করা। যেমন: শিক্ষার্থীকে হাত পা বা কোন কিছু দিয়ে আঘাত বা বেত্রাঘাত, চক বা ডাস্টার জাতীয় বস্তু ছুঁড়ে মারা, আছাড় দেয়া ও চিমটি কাটা, কামর দেয়া, চুল টানা বা চুল কেটে দেয়া, হাতের অঅঙ্গুলের ফাঁকে পেন্সিল চাপা দিয়ে মোচড় দেয়া, ঘাড় ধাক্কা দেয়া, কান টানা বা ওঠা-বসা করানো, চেয়ার টেবিল বা কোনকিছুর নিচে মাথা দিয়ে দাঁড় করানো বা হাঁটু গেড়ে দাঁড় করে রাখা, রোদে দাঁড় করিয়ে বা শুইয়ে রাখা, কিংবা সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড় করানো এবং ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে এমন কোন কাজ করানো। আর মানসিক শাস্তি বলতে বুঝাবে- শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এমন কোন মন্তব্য করা যেমন: মা-বাবা, বংশ পরিচয়, গোত্র বর্ণ ও ধর্ম সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করা, অশোভন অঙ্গভঙ্গি করা যা শিক্ষার্থীদের মনে বিরোপ প্রতিক্রিয়া সৃস্টি করতে পারে। এ নীতিমালা সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক কলেজ, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসাসহ (আলিম পর্যন্ত) অন্য সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য হবে। নীতিমালায় বলা হয়, কোন শিক্ষক-শিক্ষিক্ষা কিংবা শিক্ষা পেশায় নিয়োজিত কোন ব্যক্তি অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারি পাঠদান কালে কিংবা অন্য কোন সময় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে উল্লিখিত শাস্তিযোগ্য আচরণ না করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এসব অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে, তা ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারি আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি হবে এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এসব অভিযোগের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরোদ্ধে সরকারি র্কচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর আওতায় অসদাচরণের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্তা গ্রহণ করা যাবে।
এই আদেশ পড়ে কোন কোন শিক্ষক মন্তব্য করছেন- এতে কঠিন হয়ে পড়বে দুষ্ট শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ এবং অমনোযোগীদের পাঠদান। তাদের প্রশ্ন হচ্ছে, শাসন না থাকলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে কী ভাবে? শাস্তি ব্যতীত শাসন করার উপায় কী? শিশু মনোবিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞানের প্রচন্ড অভাব থেকেই উৎপত্তি এ ধরনের প্রশ্ন ও মনোভাব। বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশে এমন শিক্ষক/ শিক্ষিকা/ প্রশিক্ষক/ হুজুরের সংখ্যা অনেক বেশি।
এত কিছুর পরও বাস্তবে কিন্তু থেমে নেই শিক্ষার্থী নির্যাতন। তদুপরি যৌন হরানি/ নির্যাতনের খবরও অনেক বেশি প্রকাশিত হচ্ছে ইদানিং। আমাদের দেশে শিক্ষার্থী নির্যাতিত হবার কয়েকটি লক্ষনীয় কারণ হচ্ছে- ১. শিক্ষা গ্রহণে বা উপদেশ পালনে বাধ্য করার জন্য শাসন করার নামে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি প্রদান থেকে শিক্ষার্থীদেরকে সুরক্ষার উপযোগী সুনির্দিষ্ট নির্দেশণা অতীতে ছিলোনা এবং বর্তমানে থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই অনেক ক্ষেত্রেই। ২. বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদেরকে অমানবিক শাস্তি প্রদানের করণে মারাত্মক আহত/ আত্মহত্যা/ নিহত হবার খবর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু নিষ্পাপ শিশু শিক্ষার্থীদেরকে এরূপ কঠিন শাস্তি প্রদানকারী শিক্ষক/ শিক্ষিকা/ প্রশিক্ষক/ ওস্তাদ/ হুজুরদেরকে কোন দৃষ্টান্তমূলক সাজা প্রদান করা হয়নি বা সাজা প্রদানের খবর সেভাবে পত্র-পত্রিকা-টেলিভিনে প্রচার করা হয়নি। ৩. যে সকল প্রতিষ্ঠান বা বিভাগ এসব শাস্তি রোধ করার দায়িত্বে নিয়োজিত, তারা সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালন করছেনা বা করতে পারছেনা। কারণ, বিচারের দাবিতে বাদিরা আদালতে আসেনা বা আসতে পারেনা। তদুপরি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত সেচ্ছায় এগিয়ে আসার মতো পর্যাপ্ত ক্ষমতা/ যোগ্যতা/ নিরপেক্ষতা নেই আমাদের আইন প্রয়োগকারি সংস্থার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা বিধিতেও এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন নির্দেশনা আগে ছিলোনা এবং বর্তমানে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে থেকে থাকলেও বাস্তবে তা কার্যকর নেই। ৪. শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরনকে সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকার হরণ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে প্রকাশ্যে কোন সরকারি ঘোষণা আগে ছিলোনা এবং বর্তমানে থাকলেও তার বাস্তবায়ন লক্ষণীয় নয়। এবং এই অপরাধ দমনে গণ সচেতনতা সৃষ্টির জন্যও সরকারিভাবে জোড়ালো তৎপরতা নেই।
এসববের পাশাপাশি আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে ‘শিশু মনোবিজ্ঞান’ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গণের, বিশেষ করে শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও অভিভাবক গণের তেমন কোন শিক্ষা/ ধারনা/ প্রশিক্ষণ নেই। তাই তারা মনে করেন শাস্তি প্রদানই শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণের ও নিয়ন্ত্রনের হাতিয়ার। তারা এটিও মনে করেন যে, শিক্ষা প্রদানের দায়িত্ব পাওয়া মানেই শাস্তি প্রদানের অধিকার পাওয়া। এই ভ্রান্ত ধারনার কারণেই শিক্ষার্থীদের উপর নেমে আসে অধিকাংশ অমানবিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতন। যার মাত্র দু’চারটি ব্যতীত সবই থেকে যায় আমাদের জানার/ দেখার বাইরে।
প্রতিদিন হাজারো শিশু শিক্ষার্থী নিজ গৃহেও নির্যাতিত হয় তাদের পিতা, মাতা ও গৃহশিক্ষকদের দ্বারা। প্রিক্যাডেট স্কুল, ক্যাডেট কলেজ ও কওমি মাদ্রাসাসহ যেসকল আবাসিক/ অনাবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধর্মীয় ও সামরিক ভাবধারায় পরিচালিত সেখানে নির্যাতনের মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি এবং ধরন বিচিত্র। শিক্ষর্থীরা শ্রেণী কক্ষে, শিক্ষক কক্ষে, প্রশিক্ষণ মাঠে, প্রশিক্ষক কক্ষে, আবাস কক্ষে; এক কথায় সর্বত্রই প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয় শিক্ষক/ শিক্ষিকা/ প্রশিক্ষক/ হুজুর/ সিনিয়রদের দ্বারা। শুধু লেখাপড়ার জন্যই নয়; চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে, নাইতে-খাইতে, জাগতে-ঘুমাতে এমনকি হাসতে-কাঁদতেও নিয়মের সামান্য ব্যতয় ঘটলে পেতে হতে পারে কঠোর শাস্তি। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আদেশে যা কিছু নিষেধ করা হয়েছে তা তো করা হয়ই; তারচেয়েও বেশি কিছু করা হয় কখনো কখনো কোন কোন প্রতিষ্ঠানে এমন কথাও শুনা যায়। এসব নির্যাতনের প্রতিবাদ তো দূরের কথা; জানাজানি হওয়ার মতো জোরে কন্নাকাটি করলেও বেড়ে যায় নির্যাতনের মাত্রা! তাই সামান্য সুযোগ/ছাড়া পেলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নামক এসব জেলখানা থেকে পালিয়ে যেতে চায় বা পালিয়ে যায় অনেক শিক্ষার্থী। বাড়িতে গিয়েও উল্টো ধমক খেতে হয় মাবাবাসহ সবার। পড়া না পারলে, দুষ্টামি করলে, কথা না শুনলে তো মারবেই। ফিরে যেতে বাধ্য হয় আবার সেই ভয়ার্ত আস্তানায়। যারা এতিম, তাদের তো আর পালাবার জায়গাও নেই, কষ্ট শুনার মানুষও নেই!
বিশেষ করে শিক্ষা জীবনে যারা মার খেয়েছেন, তারা শিক্ষক হলে, সেই মার পুনঃ পুনঃ ফিরিয়ে দেন শিক্ষার্থীদের দেহে ও মনে । বলেন, এরচেয়ে অনেক বেশি মারখেয়ে মানুষ(?) হয়েছি আমরা। আমাদের দেশে প্রচলিত প্রশ্নোত্তর পদ্ধতির পরিক্ষায় বেশি নম্বর এবং কর্ম জীবনে বেশি অর্থ সুবিধা হাত করা মানেই যে আসল মানুষ হওয়া নয়; তা আমরা অনেকেই বুঝিনা, বুঝতে চাইনা বলেই নিষ্ঠুরভাবে চালাই 'মানব সন্তান'দের পিটিয়ে মানুষ(?) করার প্রতিযোগিতা। ফলে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য মানবিক গুণাবলি জাগ্রত করার পরিবর্তে আমরা প্রতিনিয়ত শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে করে চিরতরে হটিয়ে দিই তাদের ভিতরের অধিকাংশ জন্মগত মানবিক গুণাবলী। ফলে লেখাপড়া শিখেও তারা হয়ে উঠে আরো বেশি লোভি, নিষ্ঠুর ও আত্মকেন্দ্রিক। স্বপ্রনোদিত হয়ে এগিয়ে আসেনা অপরের কল্যাণে। পরিবার, রাষ্ট্র ও সমাজে বৃদ্ধি পায় অনাচার এবং অস্থিতিশীলতা।
এ মতাবস্থায় শিক্ষার্থীদেরকে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি থেকে সুরক্ষার জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট সরকারি নির্দেশণার যথাযথ বাস্তবায়ন। আর এই নির্দেশণা প্রনয়ন, পরিমার্জন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন; ঘরে, বাইরে, ক্লাসে, ক্যাম্পাসে, মাঠে, ছাত্রাবাসে সর্বত্রই নিরাপদ ও ভয়মুক্ত থাকে সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী। বিশেষায়ীতের দোহাই দিয়ে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই থাকতে পারেনা দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইনের বাইরে/উর্ধে। মনে রাখতে হবে, এইসব বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকারীরাও ছাত্র। তারা চাকরিজীবি নয় যে বেতনের টাকায় লাগব করার চেষ্টা করবে নির্যাতনের কষ্ট। আমরা অনেকেই জানিনা/ জানতে পারিনা আমাদের ছানাদের কত কঠিন আদর যত্ন করা হয় সেইসব বিশেষায়ীত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে! মানবিক কারণেই তাদেরকেও আনতে হবে আইনের আওতায়। যেনো নিষ্ঠুরতম শরীরিক ও মানসিক শাস্তিতে মারাত্মক আহত হয়ে (মা-বাবাকেও জানানো যায় না) পড়ে থাকার ভয়ে ঘুমে-জাগরনে তটস্ত থাকতে না হয় তাদের শিক্ষার্থীদেরকে।
শিক্ষার্থীদেরকে শাস্তি দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে নয়; বরং অনুকরণীয় অনুসরণীয় আদর্শ ব্যক্তিত্ব দিয়ে, সত্যিকারের আদর দিয়ে, উৎসাহ-উদ্দীপনা দিয়ে, বিবেক জাগ্রত করে, মানব ও দেশ প্রেমে উদ্ভূদ্ধ করে, বাস্তবতাপূর্ণ উচ্চাশা দিয়ে, সোনালি ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনতে দিয়ে, আর সবার মত সেও পারে এমন সৎসাহস দিয়ে, ভয়ভীতি হীন আনন্দঘন পরিবেশ দিয়েই সুনিশ্চিত করা যায় প্রতিটি শিশুর মেধানুযায়ী সুশিক্ষা। যার জন্য আমূল অনুকুল পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়। সরকারের সাথে শিক্ষক, অভিভাবক, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, সমাজপতি, ইমাম, নেতা-নেত্রীসহ সমাজের সবাই মিলে সকল প্রতিষ্ঠানে ও আবাসস্থলে শিক্ষার্থীদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে নির্যাতন মুক্ত পরিবেশ। #
[লেখক- অধ্যক্ষ, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা।] ফোন- ০১৭১ ১১ ১৪ ৭৫ ৭০
0 মন্তব্য(গুলি):