শিক্ষক হিসেবে প্রতিনিয়ত নিজেকে মূল্যায়ন করা আবশ্যক। ১৩, ১৪, ১৬ জুলাই ২০২১ > ইত্তেফাক

 শিক্ষক হিসেবে প্রতিনিয়ত নিজেকে মূল্যায়ন করা আবশ্যক

দৈনিক ইত্তেফাক > ১৩, ১৪ ও ১৭ জুলাই ২০২১

   

মো. রহমত উল্লাহ্


নিয়োগপত্র পেলেই শিক্ষক হওয়া যায় না, শিক্ষক হয়ে উঠতে হয়। শিক্ষক হয়ে ওঠা মোটেও সহজ কাজ নয়। কেননা, শিক্ষকতা কোন সাধারন পেশা নয়, মহান ব্রত। উত্তম শিক্ষক হয়ে ওঠার জন্য থাকতে হয় ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। সেই প্রচেষ্টা হতে হয় বিরামহীন। মানব শিশুকে মানুষ করার গুরুদায়িত্ব শিক্ষকের। এই কঠিন দায়িত্ব পালনের জন্য শিক্ষককে হয়ে উঠতে হয় সুযোগ্য সুদক্ষ আত্মত্যাগী উৎকৃষ্ট মানব। শিক্ষার্থীর প্রতি দায়িত্ব কর্তব্যে থাকতে হয় নিরলস নিবেদিত। জ্ঞানে গুণে কর্মে কথায় হয়ে উঠতে হয় শিক্ষার্থীর পরম পূজনীয়। প্রতিনিয়ত নিজেই পরখ করে দেখতে হয় নিজের ভুলত্রুটি। কোনো ভুলকেই ভাবা যায় না ছোট, কোনো ত্রুটিকেই  করা যায় না অবহেলা। একান্তে ও একাগ্রচিত্তে চালাতে হয় ভুলত্রুটির উর্ধ্বে উঠে নিজের উন্নয়ন সাধনের প্রচেষ্টা। বারবার নিজেই নিজেকে মূল্যায়ন করে দেখতে হয়, আমি কতটা শিক্ষক হয়ে উঠতে পারলাম! সেই মূল্যায়নের জন্য জাগ্রত করতে হয় বিবেক, বিবেচনায় আনতে হয় ছোট-বড় অনেক বিষয়। 

চলুন, একজন শিক্ষক হিসেবে কয়েকটি সাধারণ প্রশ্ন করি নিজের বিবেককে, নিজেই সামান্য মূল্যায়ন করে দেখি নিজেকে।


*আমি কি প্রতিটি ক্লাসে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে, সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পাঠদান করি? নাকি যেনতেনভাবে সময় পার করি?


*পাঠদানকৃত বিষয়ে জ্ঞানের গভীরতা বাড়াতে আমি কি সদা সক্রিয় থাকি? নাকি যেনতেনভাবে পাঠদান চালিয়ে যাই?


*গৃহীত প্রশিক্ষণ প্রয়োগ করে উন্নত পাঠদানে আমি কি অধিক সচেষ্ট থাকি? নাকি নিজের মতো যেনতেন পাঠদান করে থাকি?


*আধুনিক প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে আরো যোগ্য করে তুলতে আমি কি বেশি আগ্রহী? নাকি অর্থ আনার জন্য  প্রশিক্ষণে যেতে বেশি আগ্রহী?


*আধুনিক ও নিত্যনতুন শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে কি প্রতিটি ক্লাসকে আরো আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করি? নাকি গতানুগতিক  দু-একটি উপকরণ দিয়েই ক্লাস চালিয়ে নিই?


*শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ডিজিটাল যুগের উপযোগী শিক্ষক হয়ে ওঠার জন্য কি ধৈর্য ধরে চেষ্টা করি? নাকি আধুনিকতাকে পাশ কাটিয়ে কৌশলে সময় পার করার চেষ্টা করি?


*শিক্ষার্থীদের সাথে আমি কি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলি? আমি কি শুদ্ধভাবে লিখতে ও পড়তে জানি?   নাকি আঞ্চলিক বা অশুদ্ধ ভাষায় কথা বলি? নাকি ভুল বাক্যে/বানানে লিখি, ভুল উচ্চারণে পড়ি?


*সাজপোশাকে আমি কি শালীন ও পরিপাটি থাকি? নাকি উগ্র/ মলিন/ অশালীন/ অপরিচ্ছন্ন থাকি?


*ক্লাসের ঘন্টা বাজার আগেই কি শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা, মার্কার-ডাস্টার ও অন্যান্য শিক্ষাসামগ্রী রেডি রেখে অপেক্ষা করি? নাকি ঘন্টা বাজার পরে এসব রেডি করতে শুরু করি?


*প্রতিটি ক্লাসের নির্ধারিত সময় কি পূর্ণ করে ক্লাস শেষ করি? নাকি যথাসম্ভব কম সময়ে ক্লাস শেষ করে দায় সরানোর ফাঁক খুঁজি?


*ক্লাসে যাওয়ার সময় আমি কি যথাসম্ভব দ্রুত গিয়ে ক্লাসে যোগদান করার চেষ্টা করি? নাকি ধীরে ধীরে হেঁটে বা কারো সঙ্গে কথা বলে বিলম্বে হাজির হই? 


*নির্দিষ্ট দুর্বল/দায়ী শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে ডেকে এনে একান্তে বুঝিয়ে কি দোষত্রুটি সংশোধনের চেষ্টা করি? নাকি ক্লাসরুমে রাগারাগি, বকাবাধ্য, লজ্জিত ও অপমানিত করে অধিকাংশ সময় পার করে দিই?


*আমি কি আমার শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পড়িয়ে, শিখিয়ে সন্তুষ্ট রাখতে চাই? নাকি অন্যভাবে কথা বলে, মাথায় হাত বুলিয়ে, নোট-গাইড দিয়ে, সাজেশন দিয়ে, খুশি রাখতে চাই?


*শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করলে আমি কি আগ্রহ সহকারে শিক্ষার্থীদের সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিই? নাকি পাল্টা প্রশ্ন করে শিক্ষার্থীদের থামিয়ে দিই? 


*নির্ধারিত ক্লাসের চেয়ে কি কয়েকটি ক্লাস বেশি করার চেষ্টা করি? নাকি দু'একটি ক্লাস  কম করে দায় সারানোর  সুযোগ খোঁজি?


*আমি কি ক্লাসে সবকিছু ভালোভাবে বুঝিয়ে পড়িয়ে থাকি? নাকি প্রাইভেটে গিয়ে পড়ার জন্য প্রভাবিত করে থাকি?


*প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ক্লাসে কি আমি ভালো পড়াই? নাকি প্রাইভেট-কোচিং এ ভালো পড়াই?


*আমার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ব্যাপারে আমি কি বেশি যত্নশীল? নাকি নিজের সন্তান ও ভাইবোনের লেখাপড়ার ব্যাপারে বেশি যত্নশীল? নাকি উভয় ক্ষেত্রে সমান যত্নশীল?


*আমার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমি কি সবচেয়ে ভালো ব্যবহার করি? নাকি নিজের সন্তান ও ভাইবোনের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করি? নাকি উভয় ক্ষেত্রে সমান ভালো ব্যবহার করি?


*সকল শিক্ষার্থীর প্রতি কি সর্বত্র সমান তথা নিরপেক্ষ আচরণ ও দৃষ্টি প্রদর্শন করি? নাকি কোনো ক্ষেত্রে কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে থাকি?   


*একজন শিক্ষার্থী আমার ক্লাস থেকে বঞ্চিত হলে, লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়লে, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে আমি কি নিজেকে দায়ী মনে করে অনুতপ্ত হই? নাকি এমন ভাবি যে, তাতে আমার কী?


*শিক্ষা লাভের জন্য, শুভ কাজের জন্য শিক্ষার্থীদের কি অনুপ্রাণিত করি, উৎসাহিত করি, উজ্জীবিত করি? নাকি তিরস্কার করে, নিরুৎসাহিত করে তাদের মন ভেঙ্গে দেই? 


*সুশিক্ষা অর্জনে শিক্ষার্থীরা যাতে আমরণ আন্তরিক থাকে, প্রকৃতি ও পুস্তক থেকে জ্ঞান আহরণে নিবেদিত থাকে, এমন শিক্ষা কি আমি দিই?  নাকি সহজে সনদ লাভের কৌশল শিখিয়ে দিই? 


*শিক্ষার্থীদের আদর-স্নেহ দিয়ে কি সুপথে আনার চেষ্টা করি? নাকি শাসন-বারন করে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি? 


*শিক্ষার্থীরা যাতে ছোটদের স্নেহ ও বড়দের মান্য করে তেমন শিক্ষা দিই, নাকি আমি নিজেই তেমন করি না?  


*লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষায় পারদর্শী হয়ে ওঠার ব্যাপারে আমি কি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করি? নাকি সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিলে লেখাপড়ার ক্ষতি হয় বলে মনে করি? 


*সামাজিক কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আমি কি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করি? নাকি আমি নিজেই অসামাজিক জীবন যাপন করি?   


*শিক্ষার্থীদের কি সত্যবাদী, ন্যায় পরায়ন ও দুর্নীতি বিরোধী হয়ে উঠতে শিখাই? নাকি আমি নিজেই তেমন না হয়ে সুবিধাবাদী হয়ে উঠতে শিখাই?


*কর্মক্ষম, আত্মনির্ভর, পরোপকারী হয়ে ওঠার যোগ্যতা ও দক্ষতা লাভে শিক্ষার্থীদের কি উদ্বুদ্ধ করি, দিকনির্দেশনা দিই? নাকি তাদের কর্ম অক্ষম, পরনির্ভরশীল, স্বার্থপর করে তুলি?  


*ভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-জাতি ও সম্প্রদায়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধাশীল করার ব্যাপারে আমি কি সদা সক্রিয়? নাকি এসব বিষয়ে নিজেই উদাসীন বা শ্রদ্ধাহীন?


*শিক্ষার্থীর মনে ধর্মীয় মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, ভাষাপ্রেম ও জাতীয়তা বোধ জাগ্রত করার ব্যাপারে আমি কি সদা সচেষ্ট? নাকি এ সকল বিষয়ে আমি উদাসীন বা ভিন্ন দৃষ্টিসম্পন্ন?


*দেশ ও জাতির সঠিক ইতিহাস কি শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরি? নাকি নিজের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করি?


*জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসের প্রকৃত তাৎপর্য কি শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুলে ধরি? সেসব দিবস উদযাপনের  জন্য কি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করি? নাকি আমি নিজেই এসব দিবস উদযাপনে অনীহা পোষণ করি, অনুপস্থিত থাকার কৌশল করি? 


*আমি কি শিক্ষার্থীর আশ্রয়স্থল হয়ে সকল সমস্যা শুনে সমাধানের চেষ্টা করি? নাকি ভয়ের পাত্র হয়ে বা দায়িত্বহীন হয়ে পাশ কাটিয়ে থাকতে চাই? 


*নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও পরিচর্যার  মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ভিতর থেকে আমি কি তার যোগ্যতা বের করে আনার চেষ্টা করি? নাকি তার প্রতি মনোযোগ না দিয়ে, সকল কাজের অযোগ্য ভেবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করি? 


*নিজের সন্তানের মতোই কি শিক্ষার্থীদেরও 'তুমি' করে সম্বোধন করি? নাকি তুই তোকারি করি?


*শিক্ষার্থীদের মাঝে কি আমার সময় সবচেয়ে বেশি ভালো কাটে? নাকি অন্যত্র বেশি ভালো কাটে?


*শিক্ষার্থীর সাথে আমি কি সর্বদা পবিত্র সম্পর্ক বজায় রাখি? তাদের প্রতি কি নিষ্পাপ দৃষ্টিতে তাকাই? নাকি শিক্ষার্থীর সরলতা ও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে লোভ-লালসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করি?


*প্রাপ্য ছুটি না কাটানোর বা কম কাটানোর জন্য কি চেষ্টা করি? নাকি প্রয়োজন না হলেও ছুটি ভোগ করি এবং আরো অতিরিক্ত ছুটি কাটানোর চেষ্টা করি?


*শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সময় কি আমার আগ্রহ বেশি থাকে? নাকি অন্য কাজ করার সময় আমার আগ্রহ বেশি থাকে? 


*নিজ দায়িত্বে নিজের আগ্রহে ও আনন্দসহকারে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ করি? নাকি কর্তৃপক্ষের আদেশে বাধ্য হয়ে মন খারাপ করে কোন কাজের দায় সারানোর চেষ্টা করি?


*দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের কথা কি আমার বেশি মনে থাকে? নাকি সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার কথা বেশি মনে থাকে? 


*শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ও শিক্ষার্থীর কল্যাণে আমি কি সর্বদা সচেষ্ট থাকি? নাকি এমন মনে করি যে- প্রতিষ্ঠানের উন্নতি-অবনতিতে আমার কী যায়-আসে? আমার তো বেতন পেলেই হলো। কেউ চেষ্টা করে না, আমি করবো কেন? সবাই ফাঁকি দেয়, আমি ফাঁকি দিব না কেন?


*আমি কি কর্তৃপক্ষের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলি? নাকি এমন ভাবি যে- অনেকেই তো কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে, আমি অমান্য করলে আর কী হবে? আমাকে তো কিছুই করতে পারবে না! 


*শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আরো কী কী করা উচিত তা চিন্তা করে নতুন নতুন কাজ কি আমি উদ্ভাবন করি? নাকি কাজ বেড়ে যাবার ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখি এবং অন্যকেও গুটিয়ে রাখার চেষ্টা করি?


*প্রশাসনের কোন ভুলত্রুটি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা চোখে পড়লে আমি কি তা তৎক্ষণাৎ ধরিয়ে দিই? নাকি চুপ করে থাকি বা অন্যত্র বলে বেড়াই?


*প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাজে আমি কি সাধ্যমত অংশগ্রহণ করি? শিক্ষার্থীদের কি বিভিন্ন কাজে অংশ গ্রহণে উৎসাহিত করি?  নাকি সকল কাজকর্ম থেকে আমি নিজেই পাশ কাটিয়ে থাকার কৌশল করি?  


*আমি কি পরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভালো কিছু আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগের প্রস্তাব করি, চেষ্টা করি? নাকি যিনি এমন প্রস্তাব করেন, চেষ্টা করেন, তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি?


*নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা আরো বৃদ্ধি করে আমি কি পূর্ণ দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পাদনে বেশি ঐকান্তিক? নাকি কেবল বেতন-ভাতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় সারাক্ষণ ব্যস্ত-তটস্থ? 


*সর্বোপরি শিক্ষক হিসেবে নিজের মানোন্নয়নে আমি কি সর্বদা সক্রিয়? নাকি দায়সারা দায়িত্ব পালন করে দিন গুজরানে নিয়োজিত? 


আমরা যদি আমাদের অবস্থা ও অবস্থান অনুসারে প্রতিনিয়ত এমন ছোট বড় বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর  একান্তে ভেবে দেখি, তাহলে নিজেই বুঝতে পারবো শিক্ষকতায় আমি কতটা  যযথাযথ/পারফেক্ট আছি এবং আরো পারফেক্ট হওয়ার জন্য কোথায় কোথায় নিজের মধ্যে কীরকম অনুকূল পরিবর্তন আনয়ন করতে হবে। যতক্ষণ শিক্ষকতায় আছি ততক্ষণ অধিক পারফেক্ট হওয়ার চেষ্টা করাই তো আমার নৈতিক দায়িত্ব। কেননা, আমি তো সবকিছু জেনে-মেনে এই শিক্ষকতায় এসেছি ও রয়েছি। আমি বেতন-ভাতা কম পাচ্ছি বলে শিক্ষার্থীদের কম শিক্ষা দিবো তা তো হতে পারে না। আমার বেতন-ভাতা কম পাওয়ার দায় তো শিক্ষার্থীর নয়। 



মো. রহমত উল্লাহ্

সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক এবং অধ্যক্ষ -কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। 

Email - rahamot21@gmail 


২৫ জুন ২০২১ 






About Author

0 মন্তব্য(গুলি):