বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রস্তাবটি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি

বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রস্তাবটি পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি


অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ্ |

দৈনিক শিক্ষা। ১৬ আগস্ট , ২০২০

২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে নায়েমে অনুষ্ঠিত এমপিও জটিলতা নিরসন সংশোধন সংক্রান্ত একটি রিভিউ মিটিংয়ে অংশ নিয়ে আমি বেশকিছু সংশোধন প্রস্তাব দিয়েছিলাম। পরে এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনীর জন্য গঠিত কমিটির সভা শুরুর আগে ধারাবাহিকভাবে বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ শুরু করে দৈনিক শিক্ষাডটকম। আমার কিছু  প্রস্তাব ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর প্রকাশ করেছিল দৈনিক শিক্ষাডটকম।


প্রস্তাবসমূহের একটি ছিল এমন: “পদোন্নতির ক্ষেত্রে : এমপিও ভুক্ত প্রভাষকগণ প্রভাষক পদে এমপিও ভুক্তির ৮ বছর পূর্তিতে ৫:২ অনুপাতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। এতে মোট পদসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না’ –এইরূপ বিধান বিদ্যমান। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক এই অনুপাত প্রথার কারণে অনেক অনেক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র প্রভাষক পদোন্নতি পাচ্ছেন না। আবার অন্য প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র প্রভাষক পদোন্নতি পাচ্ছেন। তা-ও মাত্র সারা জীবনে একটি। এমতাবস্থায় এমন বিধান করা উচিত যে, কাম্য যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে প্রভাষকদের মধ্য থেকে ১:১ অনুপাতে সহকারী অধ্যাপক হবেন। অতপর সহকারী অধ্যাপকদের মধ্য থেকে কাম্য যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ, প্রকাশনা ও বিভাগীয় পরীক্ষার ভিত্তিতে ১:১ অনুপাতে সহযোগী অধ্যাপক হবেন এবং একইভাবে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হবেন। অপরদিকে স্কুল পর্যায়েও সিনিয়র শিক্ষক পদ থাকা উচিত।


উল্লিখিত প্রস্তাবটির আংশিক গৃহীত ও বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে বলে চলতি বছরের ১২ আগস্ট প্রকাশিত দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানতে পারলাম। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়: “বেসরকারি কলেজ ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছে ‘কালো বিধান’ হিসেবে পরিচিত পদোন্নতিতে অনুপাত প্রথা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন থেকে পাঁচ অনুপাত দুইজন নয়, মোট প্রভাষকদের ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক সংখ্যককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অনুপাত প্রথা বাতিল করে এমপিও নীতিমালা সংশোধনী চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সূত্র দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।”


এমতাবস্থায় বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে আমার উল্লিখিত প্রস্তাবটির আংশিক বিবেচনায় নিয়ছেন বিধায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং সম্পূর্ণ প্রস্তাবটি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবারও দাবি জানাচ্ছি।


লেখক : মো. রহমত উল্লাহ্, অধ্যক্ষ, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

পত্রিকার লিংক: http://m.dainikshiksha.com/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9C-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF/194712/

Previous Post
Next Post

About Author

0 মন্তব্য(গুলি):