শিশুপাঠ্য বই- 'বানর ও হনুমান'

বানর ও হনুমান


মো. রহমত উল্লাহ্‌


 


পৃষ্ঠা-১                                                    [চিত্র]


বানরের খুব মন খারাপ। পথে দেখা শেয়ালের সাথে। শেয়াল বলল, মন খারাপ কেন? বানর হেঁটে গেল চোখ মুছতে মুছতে।


পৃষ্ঠা-২                                                   [চিত্র]


বাঘের সাথে দেখা হল বানরের । বাঘ বলল, কাঁদছ কেন? ইঁহি... ইঁহি... করে হেঁটে গেল বানর।


 


পৃষ্ঠা-৩                                                   [চিত্র]


বানর এল সিংহের কাছে। সিংহ বলল, কাঁদছ কেন? বানর কাঁদছে আরও জোরে। সিংহ ভাবছে, কী করবে এখন?


 


পৃষ্ঠা-৪                                                   [চিত্র]


বানরের গায়ে হাত বুলাল সিংহ। বানর কেঁদে উঠল হাউমাউ করে। শুনতে পেল সবাই।


 


পৃষ্ঠা-৫                                                   [চিত্র]


এল শেয়াল ও বাঘ। এল আরও অনেকেই। তারা বলল, কী হয়েছে বল। আরও জোরে কাঁদছে বানর।


 


পৃষ্ঠা-৬                                                   [চিত্র]


মহা মুশকিলে পড়ল সবাই।  ভাবছে আর ভাবছে। কী করবে এখন?


 


পৃষ্ঠা-৭                                                   [চিত্র]


শেয়াল কলা এনে দিল বানরের হাতে। কলা খুব প্রিয় বানরের। এবার কথা বলল বানর। বলল, কিছুই খাব না আমি। ইঁহি... ইঁহি, হনুমান আমাকে... ।


 


পৃষ্ঠা-৮                                                   [চিত্র]


 


অনেকেই বলে ওঠল, কী করেছে হনুমান? বানর বলল, হনুমান আমাকে বাঁদর বলে। ঢিল মারে, ভেংচায়, ইঁহি... ইঁহি... ।


 


 


পৃষ্ঠা-৯                                                   [চিত্র]


বানরের দুঃখ বুঝতে পারল সবাই। সিংহকে বলল, বিচার করুন মহারাজ। এসব করবে কেন হনুমান?


 


 


পৃষ্ঠা-১০                                                 [চিত্র]


ভারী গলায় ডাকল সিংহ। হনুমান, সামনে এস। সবার সামনে এল হনুমান। দাঁড়াল মাথা নিচু করে। সিংহ বলল, বানরকে কী করেছ তুমি?


 


পৃষ্ঠা-১১                                                 [চিত্র]


হনুমান বলল, আমার অপরাধ হয়েছে। মার্জনা করুন মহারাজ। বানরের কাছে গেল হনুমান। বলল, আমার ভুল হয়েছে বানর ভাইয়া। আর কখনো এমন করব না আমি।


পৃষ্ঠা-১২                                                 [চিত্র]


হনুমানকে কলা দিল বানর। কোলাকুলি করল দু’জন। খুশিতে হাততালি দিল সবাই।


 


................................................


[শিশুদের উপযোগী ইতিবাচক এই গল্পটিতে: মোট শব্দ সংখ্যা- ২০০ টি। মোট পৃষ্ঠা- ১২ টি। কোন পৃষ্ঠায় ৫ টির বেশি বাক্য নেই। কোন বাক্যে ৬ টির বেশি শব্দ নেই। কোন শব্দে ৫ টির বেশি বর্ণ নেই। একটিও যুক্তাক্ষর নেই।] তারিখ- ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

Previous Post
Next Post

0 মন্তব্য(গুলি):