ছবি- ডিসি হিল পার্কে কবিতা আবৃত্তি -আজাদী ১৮ এপ্রিল ১৯৮৬


 

প্রবন্ধ- কলাম: উচিত কথা- চাকরিতে মেয়েদের কোটা -নক ০৪ জুন ২০২০


 

প্রবন্ধ- পাবলিক পরীক্ষা কিভাবে নকল মুক্ত করা যায় - নক- ২০০২। ফল খেয়ে চাঙ্গা -যায়যায় দিন ০৫ জুলাই ২০১২


 

প্রবন্ধ- বৈশাখী মেলা -নক ১৬ এপ্রিল ২০০২। শিক্ষাক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে অব্যাহত অগ্রগতি -ইত্তেফাক ০২ জানুয়ারি ২০১১


 

প্রবন্ধ- প্রাণ থাকলেই প্রাণী হওয়া যায়, মন না থাকলে মানুষ হওয়া যায় না। আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য -ইত্তেকাক ২০ সেপ্টেম্বর ২০১১। ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১১


 

কিশোর গল্প- ভ্রমর -বিচিত্রা


 

প্রবন্ধ- সাম্প্রতিক বিতর্ক: ইটিভি -ন ক ০১অক্টোবর ২০০২


 

প্রবন্ধ- বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য প্রধানের অভাব কেন? ইত্তেফাক ১৯ জুন ২০১০


 

প্রবন্ধ- উচিত কথা: নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন -ন ক ২৩ জুলাই ২০০২


 

প্রবন্ধ- উচিত কথা: শিক্ষকদের চাঁদাবাজি -ন ক ০৬ আগস্ট ২০০২


 

প্রবন্ধ- পরীক্ষার প্রশ্নে উত্তরের ব্যাপ্তি নির্দিষ্ট থাকা প্রয়োজন -ন ক ১৮ জুন ২০০২


 

প্রবন্ধ- সেনারা পারে, পুলিশেরা পারে না কেন? ন ক ১৯ নভেম্বর ২০০২


 

প্রবন্ধ- শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনি প্রসঙ্গ -সাপ্তাহিক বিচিত্রা ১২ জুলাই ২০০২


 

দৃষ্টি আকর্ষণ: কলেজ গেটে ওভারব্রিজ চাই -প্রথম আলো ২০০৯


 

দৃষ্টি আকর্ষণ: পলাশের এক্সরে মেশিন চাই -জনকন্ঠ ১৯৯৭


 

দৃষ্টি আকর্ষণ: সেতু নির্মাণ চাই -জনকন্ঠ ১৯৯৭


 

কবিতা- প্রানময় প্রাণ -ন ক ২০০৩


 

বই প্রকাশ- যারা মূক বধির হয়ে আছে তাদের মধ্যে সৃজনশীল চেতনা জাগাবে রাহু -ন ক ২০০৩


 

চাকরিপ্রার্থীদের অধিকার ও বিড়ম্বনা -রাইজিংবিডি ২০১৯ ও ২০২০

 


চাকরিপ্রার্থীর অধিকার ও বিড়ম্বনা

 || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১৫, ৯ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০

চাকরিপ্রার্থীর অধিকার ও বিড়ম্বনা

মো. রহমত উল্লাহ্: অধিকাংশ চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, প্রথম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব/চারিত্রিক সনদ, অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা সনদের সত্যায়িত ফটোকপি চাওয়া হয়। বলা হয়, কর্মরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে। সঙ্গে রয়েছে পাঁচশ, একহাজার, দুইহাজার টকার ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার। প্রশ্ন হচ্ছে, এসবের কোনটি কী জ্ঞানে, কী প্রয়োজনে, কোন আইনে, কোন ইনটেশনে চাওয়া হয়? একটু পর্যালোচনা করে দেখা প্রয়োজন।


প্রথমত, প্রথম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব বা চারিত্রিক সনদ কেন নেয়া হয়? জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর নিয়েই তো নাগরিকত্ব যাচাই করা সম্ভব। তা করতে না চাইলে, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেয়া যেতে পারে। যদিও সেই এনআইডি আসল কি না অনলাইনে যাচাই না করে নিশ্চিত হওয়া অসম্ভব। চারিত্রিক সনদ দিয়ে কি কারো আসল চরিত্র মাপা সম্ভব? যার চরিত্র সবচেয়ে খারাপ তার কি ভালো সনদের অভাব হয়? কর্মকর্তারা তাকেই তো সবার আগে সনদ দিয়ে দেন ভয়ে। তা না হলে সে নিজেই কোনো কর্মকর্তার সিল বানিয়ে নিজেকে এবং অন্যকে দিয়ে থাকে উত্তম নৈতিক চরিত্রের সনদ। তাছাড়া, সত্যি সত্যিই গেজেটেট কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত ভালো চারিত্রিক সনদ দিয়ে চাকরি নিয়ে যারা ঘুষ খায় বা খারাপ কাজ করে তাদের দায় কি সেই সনদদাতা বহন করেন? সেই সনদদাতাকে জিজ্ঞেস করলে তো তিনি সোজা বলে দিবেন- ‘আমি লিখেছি, আমার জানামতে সে ভালো। খারাপের খবর আমার জানা ছিল না। আমি তো আর সিআইডি না।’ কী মূল্য আছে এমন চারিত্রিক সনদের? সকল আবেদনকারীর কাছে কেন চাওয়া হয় এই মূল্যহীন চারিত্রিক সনদ? বরং যাকে চাকরি দেয়া হবে, কেবল তার চরিত্র, নাগরিকত্ব ও অন্যান্য বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নেয়া কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব। এ কারণেই তো পুলিশ ভিরিফিকেশন করা হয়। তথাপী সকল আবেদনকারীর নিকট থেকে অহেতুক চারিত্রিক বা নাগরিকত্ব সনদ জমা নেয়া সম্পূর্ণ অর্থহীন ও অযৌক্তিক নয় কি?



দ্বিতীয়ত, প্রথম শ্রেণির সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা সনদাদির ফটোকপি সকল আবেদনকারীর নিকট চাওয়া হয় কেন? পরে আবার সেই সত্যায়িতকে অবিশ্বাস করে ভাইভার সময় মূলকপি নিয়ে যেতে বলা হয় কেন? জাল সনদে কেউ চাকরি করে ধরা পড়লে যিনি এই সনদের ফটোকপি সত্যায়িত করেছিলেন তিনি কি দায়ী হবেন? তিনি বলবেন, আমি মূল কাগজ দেখে ফটোকপি সত্যায়িত করেছি। মূলটা জাল কি না তা আমি জানবো কীভাবে? এত সনদ যাচাই করার সময় সুযোগ কই আমার? আসলেই লাখ লাখ আবেদনকারীর কাগজ সত্যায়িত করার সময়ই তো নেই গেজেটেড কর্মকর্তাদের। বারবার আবেদন করার জন্য একজন প্রার্থীকেই তো সত্যায়িত করাতে হয় ১০ থেকে ২০ সেট কাগজ। হয়তো তাই অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীর ব্যাগে বা ড্রয়ারে গেজেটেড কর্মকর্তার সিল থাকে বলে শোনা যায়। কথাটি সত্য হলে সেই সিলে সত্যায়িত হয় কীভাবে? সকল প্রার্থীর নিকট থেকে এই বিশ্বাসহীন সত্যায়িত কাগজ চেয়ে কেন তাহলে হয়রানি করা হচ্ছে? কেন করানো হচ্ছে অন্যের সিল বানানোর মত অপরাধ? লাখ লাখ ফটোকপি চেয়ে কেন করা হচ্ছে অপচয়? অথচ বাছাইয়ের পর যাকে বা যাদের নিয়োগ দেয়া হবে কেবল তার বা তাদের জীবন-বৃত্তান্তের বিবৃতি ও অর্জিত সনদাদির সত্যতা নিয়মমাফিক (সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র লিখে বা অনলাইনে) যাচাই করে নেয়া তো নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব। অতঃপর অফিসে সংরক্ষণের প্রয়োজনে তার বা তাদের সনদাদি যত খুশি ফটোকপি করে নিজে সত্যায়িত করে রাখাও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। প্রার্থীর সনদের ফটোকপি প্রার্থী কর্তৃক অন্যকে দিয়ে সত্যায়িত করিয়ে নিয়ে কোনভাবেই এই দায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন না নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। এসব বিষয়ে পরবর্তিতে কোন ত্রুটি পাওয়া গেলে নিয়োগকারীকেও দায়ী করা উচিত। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সরকারি চাকরিতে আবেদনের ক্ষেত্রে সত্যায়িত কাগজপত্র চাওয়া নিষেধ করা হয়েছে সেই ২০১৫ সালে (রিপোর্ট- দৈনিক কালের কণ্ঠ, ১৯ জানুয়ারি ২০১৫)। অথচ এখনো কোন জ্ঞানে, কোন যুক্তিতে, কোন আইনে বিভিন্ন চাকরির সকল প্রার্থীর নিকট থেকে সনদাদির সত্যায়িত ফটকপি চেয়ে করা হচ্ছে অপচয়, অবিশ্বাস ও হয়রানী?


তৃতীয়ত, কর্মরত প্রার্থীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হয়ে থাকে অনেক বিজ্ঞপ্তিতে। কিন্তু কেন? চাকরি বিধি ২০১৮-এর কোথাও এ কথা বলা নেই। যিনি কোথাও কর্মরত আছেন, তিনি তার বর্তমান নিয়োগপত্র বা অন্য কোন চুক্তিপত্র অনুসারে কী শর্তে আছেন, তা তিনিই ভালো জানেন। অন্য কোথাও চাকরির আবেদন করতে পারবেন কিনা, যদি পারেন তো তার বর্তমান কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে কিনা, অন্যত্র চাকরি হলে ছাড়পত্র নিতে পারবেন কিনা, ছাড়পত্র নিতে হলে কোন নির্ধারিত সময় বা অর্থদণ্ড দিতে হবে কিনা এবং দিবেন কিনা ইত্যাদি তিনিই জানবেন। তিনি অন্যত্র চাকরির আবেদন করার সময় প্রয়োজন মনে করলে তার বর্তমান কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করবেন অথবা সরাসরি করবেন। যারা চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছেন, তারা কর্মরত সবাইকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে বলছেন কোন যুক্তিতে? মোটামুটি ভালো প্রতিষ্ঠানে অনুকূল পরিবেশে কর্মরত থাকা ভালো লোকেরা সাধারণত কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে অন্যত্র আবেদন করতে চান না। কারণ, দু’একটি আবেদনে তার চাকরি হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। আবার সবাইকে জানিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বারবার আবেদন করতে গেলে বর্তমান কর্মক্ষেত্রে তার গুরুত্ব কমে যায়। তাছাড়া যে কোনো ইনটেনশনে কর্তৃপক্ষ কাউকে অন্যত্র আবেদন করার সুযোগ দিতে না চাইলে (আইনত দিতে হবে) এখানেই কর্মরত থাকতে হবে বিধায় কর্মীর তেমন কিছুই বলার বা করার থাকে না। ফলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনপত্র চাওয়া হলে অনেক কর্মী অন্যত্র আবেদন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। বিভাগীয় প্রার্থীদের বেলায় বর্তমান চাকরিকাল, বর্তমান বেতন-ভাতা, ভোগকৃত ছুটি, ভবিষ্যতে প্রাপ্য গ্র্যাচুয়িটি ইত্যাদির ধারাবাহিক হিসাবনিকাশের স্বার্থে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনপত্র নেয়া যেতে পারে। অন্যান্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যম ব্যতীত আবেদন নেয়া যাবে না এমন কোন আইন নেই আমার জানামতে। কারো অন্যত্র চাকরি হলে বর্তমান কর্তৃপক্ষ বিনা কারণে যেতে দিবে না শ্রম আইনে এমন কোনো ধারাও বিদ্যমান নেই। তাহলে এই শর্ত যুক্ত করে কেন খর্ব করা হচ্ছে অনেক যোগ্য প্রার্থীর অধিকার? নিয়োগকর্তা যাকে নিয়োগ দিবেন তার যোগদান কোন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে চাইলে প্রার্থীর নিকট থেকে সেই মর্মে একটা প্রতিশ্রুতিপত্র নিতে পারেন বড় জোর। যদিও নিয়োগপত্র পাওয়ার পর কাজে যোগদান করা না করার স্বাধীনতা প্রার্থীর থাকবেই; আবেদন যেভাবেই করুক। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলেও সেই কর্তৃপক্ষ তার কর্মীকে বাধ্য করতে পারবেন না অন্যত্র যোগদান করতে। আবার যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করার পরে কর্মী ঝামেলায় জড়িয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক বিলম্ব করতে পারেন অন্যত্র যোগদানের জন্য ছাড়পত্র দিতে। উল্লেখিত বাস্তব অবস্থাসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে অহেতুক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনপত্র চেয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকরিরত প্রার্থীদের বিব্রত করে আবেদন করার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার আইনগত ভিত্তি কী এবং এর সুবিধা বা যৌক্তিক কারণ কোথায়?


চতুর্থত, প্রায় সকল চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে পদ ভেদে পাঁচশ, একহাজার, দুইহাজার টকার ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার চাওয়া হয়ে থাকে। এটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি বড় চাপ। বিশেষ করে যারা বেকার তাদের জন্য বারবার আবেদন করার এই ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব বিষয়। এ কথা সত্য যে, নিয়োগ কার্য সম্পাদনের একটা ব্যয় কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হয়। তাই বলে এই ব্যয়ের টাকা প্রার্থীদের নিকট থেকে আদায় করতে হবে এটি যুক্তিযুক্ত নয়। তদুপরি অধিক সংখ্যক লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক ডিপার্টমেন্ট এই ব্যয়ের অতিরিক্ত অনেক টাকা আয়ও করে থাকে, যা একেবারেই মানা যায় না। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বেকার আবেদনকারীর নিকট থেকে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে অফেরত শর্তে টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ানো আইনগত ও বিবেকগতভাবে মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। অথচ সরকারি-বেসরকারি প্রায় সকল ডিপার্টমেন্টেই হচ্ছে এমন। ফলে আবেদন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন অনেক যোগ্য প্রার্থী। যে ডিপার্টমেন্ট বেশি সংখ্যক লোককে নিয়োগ ও বেতন-ভাতা দিতে পারে সে ডিপার্টমেন্ট নিয়োগের ব্যয় বহন করতে পারে না এটি কেমন কথা? উদ্দেশ্য মহৎ হলে তা পারার কথা। যোগ্য প্রার্থী বেশি পেতে চাইলে তা পারতেই হবে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানেই দু’একজন কর্মচারী/কর্মকর্তা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাওয়া হচ্ছে পাঁচশ, একহাজার, দুইহাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার। এক্ষেত্রে সাধারণত আবেদনের সংখ্যা কম থাকে বিধায় প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি লাভজনক হয় না; বরং তহবিল থেকে নিয়োগ ব্যয় সম্পন্ন করতে হয়। তবে একক প্রার্থীর পক্ষে এই টাকার পরিমাণ অনেক বেশি। কেননা দু’চারটি আবেদন করলেই যে কাঙ্খিত চাকরি হয়ে যায় তা নয়। বারবার এই অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয় বিধায় অনেক প্রার্থী আবেদন করতে ব্যর্থ হন বা করেন না। ফলে নিয়োগকারী যোগ্য প্রার্থী কম পেয়ে থাকে। যেহেতু দু’চারজন লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া তেমন বড় হয় না এবং যেহেতু আবেদনকারীর নিকট থেকে দু’এক হাজার করে টাকা নিয়েও নিয়োগ ব্যয় সম্পন্ন হয় না; সেহেতু অধিক যোগ্য প্রার্থী পাওয়ার স্বার্থে এই টাকা না নেয়া উত্তম। এমনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখা যায় যেখানে পাঁচশ, একহাজার, দুইহাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার দিয়ে আবেদন করতে বলা হয় এবং সেই নিয়োগ সম্পন্ন করা না করা ও কারো প্রার্থীতা বাতিল করা না করা কর্তৃপক্ষের ইচ্ছাধীন রাখা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরে দেখা যায় সেই নিয়োগ আর কোনো দিনই দেয়া হয় না। এভাবে নিয়োগ প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ দেয়া টাকা মেরে দেয়ার অধিকার কি কেউ (বিজ্ঞপ্তিতে লিখে দিয়ে) সংরক্ষণ করতে পারে আইনত? আসলে নিয়োগ পরীক্ষার ফি আদায় করা না করা, আদায় করা হলে পরিমাণ নির্ধারণ করা, আদায়কৃত টাকা ফেরত প্রদান করা না করা ইত্যাদি বিষয়ে সুষ্ঠু নীতিমালা জারি না থাকার কারণেই অনৈতিক সুযোগ নিচ্ছে বিভিন্ন নিয়োগকারী এবং বারবার অহেতুক অর্থদণ্ড দিচ্ছে অসংখ্য নিয়োগপ্রার্থী। যা মোটেও উচিত নয়। বাস্তবে যে প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগ হবে সেই প্রতিষ্ঠানের বহন করা উচিত নিয়োগ সক্রান্ত সকল ব্যয়।


নিয়োগ সংক্রান্ত আলোচিত বিষয়গুলোর যৌক্তিকতা ও ন্যায়পরায়ণতা গভীরভাবে ভেবে দেখা প্রতিটি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। অতীতে যেমন দেখে আসছি এখনও তেমন করতে হবে সর্বক্ষেত্রে, এটি কোনো আধুনিক বিবেকবান যোগ্য মানুষের কথা হতে পারে না। এখন যুগ পাল্টেছে। সার্বিক কল্যাণ চিন্তা করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেটি অধিক যৌক্তিক, ন্যায়সঙ্গত ও আইনসঙ্গত সেটি করাই উত্তম। প্রয়োজনে করে নিতে হবে আরো আধুনিক নিয়োগ বিধান বা বিদ্যমান বিধানের সংশোধন।



লেখক: অধ্যক্ষ, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা


 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জুলাই ২০১৯


https://www.risingbd.com/opinion/news/303207

প্রবন্ধ- শিক্ষক প্রশিক্ষণ -প্রথম আলো ২০১০


 

প্রবন্ধ- নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন -ন ক ২০০২




 

প্রবন্ধ- শিক্ষকদের চাঁদাবাজি -ন ক ২০০২


 

প্রবন্ধ- উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য চাই সুযোগ্য শিক্ষক -ন ক ২০০৩


 

প্রবন্ধ- পরীক্ষার প্রশ্নে উত্তরের ব্যাপ্তি নির্দিষ্ট থাকা প্রয়োজন -ন ক ২০০২


 

প্রবন্ধ- মিনার কি শহিদ হয়েছে - ন ক


 

প্রবন্ধ- প্রসংশাপত্রের ফি নিয়ে সরকারি আদেশ জরুরি -দৈনিক শিক্ষা ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০


প্রশংসাপত্রের ফি নিয়ে সরকারি আদেশ জরুরি

অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ্ | দৈনিক শিক্ষা। 

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি উত্তীর্ণদের প্রশংসাপত্র ও মার্কশিট দিতে টাকা নেয়ার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত অফিস সহকারীকে জরিমানা করেছে। এমন একটি প্রতিবেদন দেখেছি দৈনিক শিক্ষাডটকমে। আদালতের রায় শিরোধার্য। এমন অভিযোগের আরও অনেক সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। সব সংবাদ প্রকাশিত না হলেও বাস্তবে সারা দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই প্রশংসাপত্র দিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কম-বেশি টাকা দিয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। দিয়ে এসেছি আমরাও। ফলে এটি একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামান্য আয়ের উৎসও এটি। এই খাতে কিছু ব্যয়ও আছে প্রতিষ্ঠানের। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষও সনদের জন্য একটা ফি নিয়ে থাকে।


আমার জানামতে শিক্ষা প্রশাসন এমন কোন সার্কুলার বা আদেশ এখনো জারি করেনি যে, 'শিক্ষার্থীদের প্রসংশাপত্র দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোন ফি নিতে পারবে না।' অথবা, 'প্রশংসাপত্র দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এতো টাকা ফি নিতে পারবে।' সরাসরি এমন কোন আদেশ না থাকার সুযোগে একেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একেক ভাবে এই ফি নির্ধারণ করছে ও নিচ্ছে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। এটি অবশ্যই সারা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে চলমান একটি বিশৃঙ্খলা। এই বিশৃঙ্খলা যে কেবল ঘাগটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো বেসরকারি স্কুল, কলেজ বা মাদরাসায় বিদ্যমান তা বলা যাবে না। প্রাইভেটসহ সরকারি ও বিশেষায়িত বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আছে টেস্টিমোনিয়াল ফি নেয়ার রেওয়াজ। যদি এই ফি নেয়া অপরাধ হয়, সেটিও খতিয়ে দেখা উচিত।


মোটকথা প্রশংসাপত্র দিতে সুনির্দিষ্ট ফি নেয়ার অথবা একেবারেই না নেয়ার একটা সরকারি আদেশ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উভয় পক্ষের যৌক্তিক স্বার্থ বিবেচনায় রেখেই হওয়া উচিত সেই আদেশ। অতি দ্রুত নিরসন করা জরুরি প্রসংশাপত্র ইস্যুতে বিরাজমান বিশৃঙ্খলা ও অসমতা। এমন ভাবা মোটেও উচিত নয়- যেমনি চলছে তেমনি চলুক। যে ধরা পড়বে সে শাস্তি পাবে, যে ধরা পড়বে না সে সর খাবে। 


লেখক : অধ্যক্ষ মো. রহমত উল্লাহ্, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, ঢাকা।


পত্রিকার লিংক http://m.dainikshiksha.com/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%BF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6-%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF/196345/

প্রবন্ধ- ভাষা আন্দোলন: ভাষায় নামের প্রভাব -নরসিংদীর কথা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৩২০০৩


 

প্রবন্ধ- জাতি গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা





 

প্রবন্ধ- সার্বিক সাক্ষরতা অর্জন কীভাবে দ্রুত ও নিশ্চিত করা যায় -ন ক, ২০০২


 

সেতু, এক্সরে মেশিন, ওভারব্রিজ, সঞ্চয়পত্র


 

প্রবন্ধ- উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ অত্যাবশ্যক -ন ক, শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা হোক -আজকের কাগজ ২০০৩


 

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের দূর্নীতি প্রসঙ্গ


 

দৃষ্টি আকর্ষণ: চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, ভূমি উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ - বাংলার বাণী ১৯৮৬, ইত্তেফাক ১৯৮৭


 

প্রবন্ধ- অবাঞ্চিত উপরি ব্যয় ঔষধের মূল্য বৃদ্ধির কারণ -প্রথম আলো ২৫ এপ্রিল ২০০২


 

কবিতা: প্রথম দেখা। তুলনা চলেনা, কোন নামে ডাকবো তোমায়, সহজ


 

কবিতা: বৃত্ত, তোমার বিরহে, সংসার, পাথর সময়, সহজ ,প্রাণময় প্রাণ, তোমার বিরহে


 



কবিতা: কিন্তু তুমিই, ইদানীং আমি


 

গণপাঠ্য ছড়া: এসিডবাজ, প্রশ্ন ফাঁস, বৈশাখী গরমে, বাঙালির ঐতিহ্য


 

গণপাঠ্য ছড়া: ঘুষ, জনতার কণ্ঠ, ইতিহাস বিকৃতি, জনতার মঞ্চ


 

গণপাঠ্য ছড়া: নির্বাচনী ইশতিহার, বাড়াবাড়ি, গৃহপালিত বুদ্ধিজীবী, ঘুষ


 

গণপাঠ্য ছড়া: চাঁদাবাজি, সবুজ গাঁয়ে করু সুর, হরতাল, নামকরণ, সংসদ সমাচার, ভালোরা সব যাচ্ছে সরে